বেজপাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির কারণে হাজার হাজার মানুষের জীবন সংশয়

বেজপাড়ায় ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির কারণে হাজার হাজার মানুষের জীবন সংশয়

যশোর শহরের বেজপাড়া গয়ারাম সড়কে একটি ঝুঁকিপূর্ণ বাড়ির কারণে হাজার হাজার মানুষের জীবন সংশয় হয়ে উঠেছে। এলাকার মানুষ বহুবার অভিযোগ করলেও কোন কর্ণপাত করছে না বাড়ির মালিক আতিয়ার রহমান। উল্টো এলাকার মানুষদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধামকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে থাকেন। এ ব্যাপারে ওই এলাকার বাসিন্দা যশোর পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে ব্যবস্থা নিতে আবেদন করেছেন।

লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, গয়ারাম রোডে আতিয়ার রহমান ও তার স্ত্রী শাকিলা রহমানের নামে ৭ দশমিক ৮ শতক জমির উপর অতি প্রাচীন একটি বিল্ডিং রয়েছে। ব্রিটিশ আমলে নির্মিত একতলা বাড়ির উপর ৩৫ বছর আগে চার তলা বিল্ডিং নির্মাণ করেন। পৌরসভার অনুমোদন ছাড়াই ঝুঁকিপূর্ণ এই বিল্ডিংটির কারণে এখন এলাকার হাজার হাজার মানুষের জীবন সংশয় দেখা দিয়েছে। যে কোন সময় বিল্ডিংটি ধসে পড়তে পারে। বাড়িটির দু’পাশ দিয়ে এলাকার মানুষ প্রতিনিয়ত যাতাযাত করে থাকে। শারদীয় দূর্গা উৎসবের সময় লাখ লাখ সনাতন ধর্মলম্বীরা এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করে থাকে।

ঝুঁকিপূর্ণ বিল্ডিং এর কারণে প্রতিবেশিরা এখন বাড়ি-ঘর নির্মাণ করতে পারছে না। এলাকার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে বাড়ির মালিক আতিয়ার রহমানের কাছে অভিযোগ দিলেও তিনি কোন কিছুর কর্ণপাত করেন না। উল্টো মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রাণিসহ নানা রকম হুমকি-ধামকি দিয়ে থাকেন।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বেজপাড়ার গয়ারাম সড়কটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিদিন শত শত ব্যবসায়ী, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা চলাচল করে থাকে। তাদের জীবন হাতে করে চলতে হয়। আতিয়ারের কারণে সাধারণ মানুসের জীবন ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। যদি কোন মানুষের ক্ষয়ক্ষতি হয় তার জন্য আতিয়ার দায়ী থাকবে। আমরা এ ব্যবাপারে পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।

এ ব্যাপারে শেখ রকিবুল ইসলাম বলেন, এলাকার মানুষের জীবনের কথা চিন্তা করে পৌর কর্তৃপক্ষ যাতে ব্যবস্থা নেয় তার জন্য অভিযোগ করেছি। কাউকে না কাউকে সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করতে হবে। আমি তার প্রতিবেশি। আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। আমি আইনের প্রতিশ্রদ্ধাশীল। আইন যা করার করবে।
তিনি আরো বলেন, ব্রিটিশ আমলে নির্মিত বাড়ির কোন প্লান নেই। যে কোন সময় ধ্বসে পড়তে পারে। এই বাড়ির কারণে কারো কোন ক্ষতি হলে তার দায় আতিয়ার রহমানকে বহন করতে হবে। কারণ তিনি প্লান ছাড়া পৌরসভার অনুমোদন না নিয়েই বাড়ি নির্মাণ করেছেন।

অভিযোগ সম্পর্কে জানতে আতিয়ার রহমানের ০১৭১৫-১৩৫৭৭১ নং মোবাইলে কয়েকবার ফোন করা হলেও তিনি তা রিসিভ করেননি।

এ সম্পর্কে জানতে চাইলে যশোর পৌরসভার প্রশাসক রফিকুল ইসলাম বলেন, কাগজপত্র না দেখে আমি কিছু বলতে পারবো না। অভিযোগ থাকলে কাগজপত্র দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরো বলেন, এ ব্যপারে যশোর পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার সাহেব বেশি বলতে পারবে। কারণ তারা বাড়ির প্লান দেখে অনুমোদন দেয়। যাদের অনুমোদন নেই তাদের বাড়ি কিভাবে রয়েছে তা তারা দেখভাল করে।
পৌরসভার ইঞ্জিনিয়ার বি এম কামাল আহমেদকে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।

Explore More Districts