আটক হওয়া শুটার রিয়াজকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর

আটক হওয়া শুটার রিয়াজকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর

আটক হওয়া শুটার রিয়াজকে রূপগঞ্জ থানায় হস্তান্তর

সিলেটে বেড়াতে এসে গোয়াইনঘাটে জনতার হাতে থেকে আটক হওয়া রিয়াজুল ইসলাম ওরফে ‘শুটার রিয়াজ’কে নারায়নগঞ্জের রূপগঞ্জ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে রূপগঞ্জ থানা পুলিশের একটি দল গোয়াইনঘাট থানায় এসে তাকে নিজেদের জিম্মায় নেয়। এরপর সকাল ১০টার দিকে তাকে নিয়ে নারায়ণগঞ্জের উদ্দেশে রওনা দেয় বলে জানিয়েছেন গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. তারিকুল ইসলাম।

ওসি জানান, রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা তদন্তাধীন থাকায় মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আসামিকে হেফাজতে নিয়েছেন।

তিনি আরও জানান, আটক রিয়াজের সঙ্গে থাকা তার দুই শিশু সন্তানকে সকালে তাদের মায়ের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।

রিয়াজের বিরুদ্ধে হত্যা, হত্যাচেষ্টা, অস্ত্র, মাদক ও বিস্ফোরক মামলাসহ অন্তত ২২টি মামলা রয়েছে। পুলিশের নথি অনুযায়ী, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ ও সোনারগাঁও থানায় গত কয়েক বছরে দণ্ডবিধি, অস্ত্র আইন ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একাধিক মামলা হয়েছে তার নামে।

এসব মামলার মধ্যে রয়েছে—২০১৮ সালের হত্যাচেষ্টা মামলা, ২০২১ সালের অস্ত্র ও মাদক মামলা, ২০২২ সালের বিস্ফোরক ও অস্ত্র মামলা এবং ২০২৫ সালের সাম্প্রতিক সময়ে দায়ের হওয়া একাধিক মামলা।

পুলিশ জানায়, রিয়াজ একাধিকবার গ্রেপ্তার হলেও জামিনে বের হয়ে আবারও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। কখনও ‘রিয়াজ’, কখনও ‘শওকত আলী রিয়াজ’, আবার কখনও ‘শুটার রিয়াজ’ নামে পরিচয় দিলেও সব মামলার মূল আসামি একই ব্যক্তি।

নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন থানায় দায়ের হওয়া ২২টি মামলার মধ্যে রয়েছে—অস্ত্র আইনে ৪টি, মাদক আইনে ৩টি, বিস্ফোরক আইনে ৩টি, চাঁদাবাজির ২টি, ডাকাতির ১টি এবং মারামারির ঘটনায় ৯টি মামলা।

গত বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সিলেটের গোয়াইনঘাটে জনতার হাতে ধরা পড়েন শুটার রিয়াজ।

জানা যায়, সিলেটের জাফলং বেড়াতে এসেছিলেন রিয়াজুল ইসলাম ওরফে শুটার রিয়াজ। পুলিশের চেকপোস্টে সিগন্যাল না মেনে যাওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। এক পর্যায়ে সঙ্গে থাকা দুই শিশু-সন্তানকে গাড়িতে রেখে পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ ও স্থানীয় জনতা তাঁকে ধাওয়া করেন। প্রথমে তাঁকে শিশু অপরহরণকারী মনে করছিলেন স্থানীয়রা। আটকের পর তাঁর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ।

গোয়াইনঘাট থানার ওসি তরিকুল ইসলাম বুধবার জানিয়েছিলেন, রিয়াজ তাঁর দুই সন্তান নিয়ে জাফলং বেড়াতে গিয়েছিলেন। বুধবার বিকেল ৩টার দিকে আলীরগাঁও ইউনিয়নের আলীরগাঁও এলাকায় পুলিশ চেকপোস্টে সিগন্যাল দেয়। রিয়াজ তাঁর ব্যক্তিগত গাড়িতে দুই শিশুসন্তান রেখে পালানোর চেষ্টা করেন। পরে তাঁকে ধাওয়া করে আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁর পরিচয় জানা যায়।

স্থানীয়রা জানান, একটি বাড়ির সামনে আটকের সময় রিয়াজকে মারধর করা হয়। গোয়াইনঘাট সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম রব্বানী জানান, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান। উত্তেজিত জনতার কবল থেকে তাঁকে রক্ষা করে পুলিশে দেওয়া হয়। প্রথমে তারা পালানোর ঘটনায় অন্য কোনো কাহিনি বলে মনে করছিলেন।

Explore More Districts