যশোর জেলা ছাত্রদলের বিক্ষোভ কর্মসূচিতে নেতৃবৃন্দ বলেছেন, একটি রাজনৈতিক দল দেশে একটির পর একটি ইস্যূ সৃষ্টির মাধ্যমে অতি রঞ্জিত করে নির্বাচনকে বাঁধা গ্রস্থ করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে।
এভাবে তারা ঘোলা পানিতে শিকার করতে চায়। বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের ভিতরে থাকা ক্ষুদ্র যে অংশটি নির্বাচন বাদেই রাষ্ট্রক্ষমতা দীর্ঘায়িত করতে চায়, তাদের সাথে আতাত করে সেই রাজনৈতিক দলটি ক্ষমতার স্বাধ গ্রহণ করেছে। দেশ ও জনগণের স্বার্থকে বিসর্জন দিয়ে তারা দীর্ঘ সময় ধরে ক্ষমতার স্বাধ নিতে চায় বলেই ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।
গোপন তৎপরতায় দীর্ঘদিন ধরে অভ্যস্ত গুপ্ত সংগঠন কর্তৃক মব সৃষ্টির অপষ্টো, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বিনষ্ট করা এবং সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির প্রতিবাদে অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এই কথা বলেন। সোমবার বিকেলে জেলা বিএনপি কার্যালয় থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে চৌরাস্তা মোড়, আর এন রোড হয়ে মনিহারের গিয়ে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়।
নেতৃবৃন্দ আরও বলেন, সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে যা বর্তমান অর্ন্তবর্তীকালীন সরকার নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না। কিন্তু সেই রাজনৈতি দল নিজেদের দায়মুক্ত করে বিএনপির ওপর চাপানোর অপচেষ্টা করছে। বিএনপি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় না থাকার সত্ত্বেও তারা দেশের সবকিছুর দায় দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ঘাড়ে চাপানোর অপচেষ্টা চালাচ্ছে। এর মাধ্যমে তারা পরিকল্পিতভাবে বিএনপিকে বিতর্কিত করার পায়তারা করছে। অন্যদিকে একটি ছাত্র সংগঠন দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারকে অপব্যবহার করে গুপ্ত রাজনীতির করে ছাত্রদলকে কালিমা লেপনের অপচেষ্টা করছে। তাদের উস্কানী মূলক কর্মকান্ডে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সুষ্ঠু ও স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করছে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন, সদর উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আঞ্জুরুল হক খোকন, জেলা যুবদলের সদস্য সচিব আনসারুল হক রানা, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মোস্তফা আমির ফয়সাল, সদস্য সচিব রাজিদুর রহমান সাগর, জেলা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ওমর ফারুক তারেক, সাধারণ সম্পাদক কামরুজ্জামান বাপ্পি, সদর উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আলমগীর হোসেন লিটন, সদস্য সচিব পিকুল হোসেন, সরকারি এম এম কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক শেখ হাসান ইমাম।