এক ট্রলারেই ধরা পড়লো ৩৮ লাখ টাকার ইলিশ

এক ট্রলারেই ধরা পড়লো ৩৮ লাখ টাকার ইলিশ

১৩ July ২০২৫ Sunday ৮:২৫:৪৯ PM

Print this E-mail this


কলাপাড়া (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি:

এক ট্রলারেই ধরা পড়লো ৩৮ লাখ টাকার ইলিশ

দীর্ঘদিন পর বৈরী আবহাওয়া উপেক্ষা করেই সাগরে নেমেছেন জেলেরা। তবে হতাশ হতে হয়নি তাদের। এক ট্রলারে ৬৫ মণ ইলিশ মাছ নিয়ে ফিরেছেন ঘাটে। বিক্রি হয়েছে ৩৮ লাখ টাকায়।

পটুয়াখালীর আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে রোববার (১৩ জুলাই) দুপুরে এসব মাছ মেসার্স খান ফিস নামের একটি আড়তে নিয়ে নিলামে তোলা হয়। সেখানে ৩৮ লাখ টাকায় বিক্রি হয় মাছগুলো।

এরআগে শনিবার (১২ জুলাই) কুয়াকাটা থেকে পূর্ব-দক্ষিণ দিকে ১৫০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে ইলিশগুলো ধরা পড়ে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এফবি সাদিয়া-২ নামের মাছ ধরার ট্রলারটি বৃহস্পতিবার (১০ জুলাই) আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে মাছ ধরতে যায়। গত দুদিন সমুদ্রের বিভিন্ন এলাকায় জাল ফেলে কাঙ্ক্ষিত মাছগুলো ধরা পড়ে।

আড়ত সূত্রে জানা যায়, মাছগুলো আলীপুর মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে নিয়ে এসে আকার অনুযায়ী তিন ভাগ করা হয়। ৯০০ গ্রাম থেকে এককেজি ওজনের ইলিশ মণ ৯৫ হাজার টাকা (কেজি ২৩৭৫ টাকা), ৬০০ থেকে ৮০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৭০ হাজার টাকা (কেজি ১৭৫০ টাকা) এবং ৪০০ থেকে ৫০০ গ্রাম ওজনের ইলিশ ৫৬ হাজার টাকা (কেজি ১৪০০ টাকা) দরে বিক্রি হয়েছে। অন্যান্য মাছ এক লাখ ১৭ হাজার টাকায় বিক্রি হয়। সবমিলিয়ে ৩৯ লাখ ৬০ হাজার ১৪০ টাকার মাছ বিক্রি হয়েছে।

ট্রলারের মাঝি শাহাবুদ্দিন বলেন, ‘৯ জুলাই আলীপুর ঘাট থেকে ২৩ জন জেলে নিয়ে সমুদ্রে যাই। ফিশিং করতে করতে কুয়াকাটা সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে জাল ফেলে মাছগুলো পেয়েছি। ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞার পরে দফায় দফায় বৈরী আবহাওয়ার কবলে পড়েছি বহুবার। এই প্রথম ভালো পরিমাণে মাছ পেয়েছি আলহামদুলিল্লাহ।’

খান ফিশের ম্যানেজার মো. সাগর ইসলাম বলেন, ‘অনেক দিন ধরে সাগরে খুব কম মাছ ধরা পড়ছে। বৈরী আবহাওয়া জেলেরা দিশেহারা হয়ে পড়েন। এই মাছ বিক্রি করে আগের লোকসান কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন জেলেরা।’

এ বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা অপু সাহা বলেন, দীর্ঘদিন নিষেধাজ্ঞা ও বৈরী আবহাওয়ায় জেলেরা লোকসানে জর্জরিত হয়েছেন। কিছুদিন ধরে ভালো পরিমাণ মাছ পেয়েছে। এটা নিষেধাজ্ঞার সুফলও বলা যায়। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সামনে বেশ ভালো পরিমাণ মাছ পাবেন বলে আশা করি।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts