পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী: যা যা লাগবে

পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী: যা যা লাগবে

মাহমুদুল হাসান সেদিন রাতভর জেগে বসে ছিল। মালয়েশিয়ায় চাকরির ইন্টারভিউ কল এসেছে। কিন্তু তার হাতে পাসপোর্ট নেই। মা-বাবার চোখে স্বপ্নের ঝিলিক, স্ত্রীর মুখে উদ্বেগ – এই দায়িত্ব তার কাঁধে। মাহমুদুলের মতো লক্ষ বাংলাদেশীর কাছে পাসপোর্ট শুধু একটি নথি নয়, এটি স্বপ্নের উড়ানপথ, পরিবারের ভবিষ্যৎ, বিদেশের মাটিতে নিজের দক্ষতার স্বীকৃতি। কিন্তু পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী: যা যা লাগবে জটিল মনে হয় অনেকের কাছেই। ভুল কাগজপত্র, দীর্ঘ লাইন, অজানা প্রক্রিয়া – এসব যেন স্বপ্নের গতিতে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু চিন্তার কোনো কারণ নেই! এই গাইডে পাসপোর্ট আবেদনের প্রতিটি ধাপ, প্রতিটি প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, এবং গোপন টিপস তুলে ধরা হবে – যাতে আপনার যাত্রা হয় মসৃণ, দ্রুত এবং সফল।

পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী: যা যা লাগবেপাসপোর্ট করার নিয়মাবলী: যা যা লাগবে

পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী: যা যা লাগবে – সম্পূর্ণ চেকলিস্ট ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের গোপন রহস্য

পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়ার প্রথম ধাপেই যে প্রশ্নটি মাথায় ঘুরপাক খায় তা হলো – “কোন কোন কাগজপত্র দরকার?” ভুল কাগজ নিয়ে হাজির হওয়া মানেই সময় নষ্ট, বাড়তি কষ্ট, আর আবেদন বিলম্বিত হওয়া। চলুন জেনে নিই পাসপোর্টের জন্য অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্রগুলোর পূর্ণাঙ্গ তালিকা এবং প্রতিটির পেছনের গুরুত্বপূর্ণ দিক:

  • জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) বা জন্ম নিবন্ধন সনদের মূল কপি ও ফটোকপি: এটা আপনার বাংলাদেশী নাগরিকত্বের প্রমাণের ভিত্তি। সতর্কতা: আপনার NID-তে আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম এবং জন্মতারিখ অফিসিয়াল রেকর্ডের সাথে শতভাগ মিলতে হবে। সামান্য বানানের গরমিল বা ভুল তারিখ থাকলে আবেদন বাতিলের ঝুঁকি থাকে। অনেকেই ভুলে যান, জন্ম নিবন্ধন সনদও সমানভাবে গ্রহণযোগ্য, বিশেষ করে যাদের NID এখনও ইস্যু হয়নি বা যাদের জন্ম নিবন্ধন সনদে তথ্য বেশি স্পষ্ট।
  • সঠিকভাবে পূরণকৃত আবেদন ফরম: বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিসের ওয়েবসাইট (https://www.passport.gov.bd/) থেকে অনলাইনে ফরম পূরণ করাই বর্তমানে আদর্শ পদ্ধতি। গুরুত্বপূর্ণ বিষয়: অনলাইন ফরমে আপনার সমস্ত তথ্য (বিশেষ করে নামের বানান, পিতার নাম, ঠিকানা) NID বা জন্ম নিবন্ধনের সাথে হুবহু মিলিয়ে দিন। “মোঃ” না “মোহাম্মদ”, “আহমেদ” না “আহম্মদ” – এই ছোটখাটো পার্থক্যও বড় সমস্যার কারণ হতে পারে।
  • সাম্প্রতিক সময়ে তোলা রঙিন পাসপোর্ট সাইজের ফটোগ্রাফ: শুধু সাইজই নয়, পাসপোর্ট ছবির রয়েছে কঠোর নীতিমালা। মনে রাখবেন:
    • পটভূমি: অবশ্যই সম্পূর্ণ সাদা (সাদা দেয়াল বা সাদা ব্যাকড্রপ)।
    • চেহারা: সম্পূর্ণ সামনে থেকে, চোখ খোলা, মুখে কোনও অভিব্যক্তি নেই এমন, মাথার কোন অংশ কাটা যাবে না।
    • চশমা: সাধারণত চশমা পরা অনুমোদিত নয় (চিকিৎসাগত কারণ থাকলে বিশেষ বিবেচনা)।
    • মাথার কাপড়: ধর্মীয় কারণে হিজাব/স্কার্ফ পরা যাবে, তবে তা মুখমণ্ডল সম্পূর্ণ উন্মুক্ত রেখে এবং কোনও ছায়া না ফেলে।
    • সংখ্যা: সাধারণত ৪-৬ কপি ছবির প্রয়োজন পড়ে। পরামর্শ: নামীদামী স্টুডিও থেকে ছবি তোলাই ভালো যারা পাসপোর্ট ছবির নিয়ম ভালোভাবে জানে।
  • প্রযোজ্য ক্ষেত্রে পুরাতন পাসপোর্টের মূল কপি: যদি আপনার আগে পাসপোর্ট ইস্যু হয়ে থাকে (মেয়াদোত্তীর্ণ বা হারিয়ে গেলেও), তার মূল কপি জমা দিতে হবে। এটা আপনার ভ্রমণ ইতিহাস যাচাই এবং পূর্বের তথ্যের সাথে সামঞ্জস্যতার জন্য জরুরি।
  • পেশাগত বা শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমাণপত্র (কিছু ক্ষেত্রে): বিশেষ ধরনের পাসপোর্ট (যেমন সরকারী কর্মকর্তাদের জন্য অফিসিয়াল পাসপোর্ট) বা ছাত্র/শিক্ষকদের জন্য কিছু বিশেষ সুবিধার ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের প্রত্যয়নপত্র লাগতে পারে। তবে সাধারণ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (MRP) এর জন্য সাধারণত এর প্রয়োজন পড়ে না।
  • আবাসিক ও পারিবারিক তথ্যের প্রমাণ: কিছু ক্ষেত্রে ইউটিলিটি বিল (বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানি), ভোটার আইডি কার্ড, বা স্থানীয় ইউনিয়ন/ওয়ার্ড কাউন্সিলরের প্রত্যয়নপত্র চাওয়া হতে পারে ঠিকানা যাচাইয়ের জন্য, বিশেষ করে যদি আপনার NID-এর ঠিকানা বর্তমান ঠিকানার সাথে না মেলে।

কীভাবে প্রস্তুত হবেন? সমস্ত কাগজপত্র আগে থেকে প্রিন্ট করে, ফটোকপি করে, সাজিয়ে একটি ফাইলে রাখুন। প্রতিটি কপি পরিষ্কার ও পাঠযোগ্য কিনা নিশ্চিত করুন। NID বা জন্ম নিবন্ধনের সাথে অনলাইন ফরমের তথ্য মিলিয়ে দেখুন বারবার। ছবির স্পেসিফিকেশন কঠোরভাবে মেনে চলুন। এই প্রস্তুতিই আপনার পাসপোর্ট যাত্রাকে অর্ধেক করে দেবে।

অনলাইন আবেদন পদ্ধতি: ধাপে ধাপে আপনার পাসপোর্টের ডিজিটাল যাত্রা

ডিজিটাল বাংলাদেশের ছোঁয়ায় পাসপোর্ট আবেদন প্রক্রিয়াও এখন সহজ ও স্বচ্ছ। হাতে কলমে শিখে নিন কিভাবে ঘরে বসেই সম্পন্ন করবেন অনলাইন আবেদন:

  1. অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন: প্রথমেই ভিজিট করুন বাংলাদেশ পাসপোর্ট ও ডিআইএমই’র অফিসিয়াল ওয়েবসাইট: https://www.passport.gov.bd/. সাইটটি হালনাগাদ তথ্য ও নির্ভরযোগ্যতার জন্য একমাত্র সরকারী উৎস। সতর্কতা: ফিশিং সাইট বা এজেন্টদের দাবিতে বিভ্রান্ত হবেন না।
  2. নতুন অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন: হোমপেজে “Apply for MRP” বা “নতুন আবেদন” অপশনে ক্লিক করুন। নতুন ব্যবহারকারী হলে “নতুন নিবন্ধন” (New User Registration) এ ক্লিক করে আপনার নাম, ইমেইল, মোবাইল নম্বর (যে নম্বরে OTP আসবে), এবং একটি শক্তিশালী পাসওয়ার্ড দিয়ে অ্যাকাউন্ট রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করুন। ইমেইল ও মোবাইল নম্বর অবশ্যই সক্রিয় ও সঠিক হতে হবে।
  3. লগইন করে আবেদন ফরম পূরণ শুরু করুন: রেজিস্ট্রেশনের পর আপনার ইউজারনেম ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন। “Apply for Passport” বা “পাসপোর্টের জন্য আবেদন করুন” বাটনে ক্লিক করে ফরম পূরণ শুরু করুন।
  4. ধাপে ধাপে তথ্য প্রদান (পার্ট-১, পার্ট-২, পার্ট-৩): ফরমটি তিনটি প্রধান অংশে বিভক্ত:
    • পার্ট-১: ব্যক্তিগত তথ্য (Personal Particulars): এখানে আপনার NID/জন্ম নিবন্ধন নম্বর ইনপুট করতেই হবে। সঠিক নম্বর দিলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্মতারিখ ইত্যাদি তথ্য ভরে যাবে (NID ডাটাবেজ থেকে)। অতীব গুরুত্বপূর্ণ: এই তথ্যগুলো যদি ভুল দেখায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করে NID সংশোধন করানোর পরেই পাসপোর্টের আবেদন করবেন। বাকি তথ্য যেমন স্থায়ী ঠিকানা, বর্তমান ঠিকানা, জরুরি যোগাযোগের নম্বর ইত্যাদি সাবধানে পূরণ করুন।
    • পার্ট-২: পরিবার সম্পর্কিত তথ্য (Family Particulars): পিতা, মাতা এবং স্বামী/স্ত্রীর (বিবাহিত হলে) নাম, জাতীয়তা, NID/পাসপোর্ট নম্বর (যদি থাকে) ইত্যাদি তথ্য দিতে হবে।
    • পার্ট-৩: অন্যান্য তথ্য (Other Information): এখানে আপনার পেশা, শিক্ষাগত যোগ্যতা, পূর্বে পাসপোর্ট থাকলে তার বিবরণ, ভ্রমণের উদ্দেশ্য ইত্যাদি প্রশ্নের উত্তর দিতে হবে। সততার সাথে পূরণ করুন।
  5. আবেদনকারীর ছবি ও স্বাক্ষর আপলোড করুন: এই ধাপটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
    • ছবি: আগে থেকে তোলা নির্ধারিত স্পেসিফিকেশন মেনে তোলা পাসপোর্ট সাইজের ডিজিটাল ছবি (সাধারণত .jpg ফরম্যাটে, নির্দিষ্ট সাইজে ও রেজুলেশনে) আপলোড করুন। সাইটে দেয়া গাইডলাইন ও সাইজ চেকার টুল ব্যবহার করুন।
    • স্বাক্ষর: সাদা কাগজে কালো কালি/বলপয়েন্টে আপনার স্বাভাবিক স্বাক্ষর করুন। এর একটি পরিষ্কার স্ক্যান বা ছবি আপলোড করুন। স্বাক্ষর অবশ্যই আপনার অন্যান্য প্রাতিষ্ঠানিক নথির (ব্যাংক, শিক্ষা সনদ) সাথে মিল থাকা উচিত। টিপ: আপলোডের পর প্রিভিউ করে নিশ্চিত হোন ছবি ও স্বাক্ষর স্পষ্ট এবং কাটা না গেছে।
  6. আবেদন ফি ক্যালকুলেশন ও পেমেন্ট স্লিপ প্রিন্ট: ফরম সাবমিট করার পর সিস্টেম আপনার আবেদনের ধরন (নতুন/নবায়ন), পেজ সংখ্যা (৪৮/৬৪), এবং ডেলিভারি মোড (সাধারণ/এক্সপ্রেস) অনুযায়ী ফি ক্যালকুলেট করবে। পেমেন্ট স্লিপ (যাতে ইউনিক অ্যাপ্লিকেশন আইডি ও বারকোড থাকে) প্রিন্ট করে নিন। এটিই আপনার পেমেন্ট রসিদ এবং পরবর্তী ধাপের টিকিট।
  7. আবেদন ফি পরিশোধ: প্রিন্ট করা পেমেন্ট স্লিপ নিয়ে নির্ধারিত ব্যাংকসমূহে (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, সিটি ব্যাংক ইত্যাদির শাখা বা এজেন্ট আউটলেট) গিয়ে ফি জমা দিন। অনলাইন ব্যাংকিং/মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমেও ফি পরিশোধ করা যায়। রসিদটি সযত্নে সংরক্ষণ করুন।
  8. এনরোলমেন্ট সেন্টারে উপস্থিতি ও বায়োমেট্রিক নিবন্ধন: পেমেন্টের পর আবেদন সিস্টেমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে একটি তারিখ ও সময় (স্লট) নির্ধারিত হবে। আপনার পেমেন্টের রসিদ, প্রিন্ট করা আবেদন ফরমের কপি, এবং সমস্ত মূল কাগজপত্র (NID, পুরাতন পাসপোর্ট, ছবির কপি) নিয়ে নির্ধারিত তারিখ ও সময়ে আপনার নির্বাচিত পাসপোর্ট অফিস/এনরোলমেন্ট সেন্টারে উপস্থিত হোন। সেখানে আপনার:
    • আঙ্গুলের ছাপ (Fingerprints) নেয়া হবে।
    • ডিজিটাল স্বাক্ষর (Signature) নেয়া হবে (একটি ইলেকট্রনিক ডিভাইসে স্বাক্ষর করবেন)।
    • ক্যামেরায় ছবি (Live Photograph) তোলা হতে পারে (আপনার আপলোড করা ছবি ফাইনাল না হলে)।
    • মূল কাগজপত্র যাচাই (Document Verification) করা হবে।
  9. আবেদনের স্ট্যাটাস ট্র্যাকিং: এনরোলমেন্ট শেষে আপনি একটি রিসিপ্ট পাবেন যাতে ট্র্যাকিং আইডি/অ্যাপ্লিকেশন নম্বর থাকবে। https://www.passport.gov.bd/Online-Tracking লিংকে গিয়ে এই আইডি দিয়ে আপনি আপনার পাসপোর্টের বর্তমান অবস্থা (যেমন: প্রসেসিং, প্রিন্টিং, ডেলিভারি রেডি) অনলাইনে ট্র্যাক করতে পারবেন। SMS সার্ভিসের মাধ্যমেও স্ট্যাটাস আপডেট পেতে পারেন (সাইন-আপ করে)।

গুরুত্বপূর্ণ টিপস: স্লটের সময়ের কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে সেন্টারে পৌঁছান। পোশাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও শালীন হতে হবে। মূল কাগজপত্রের ফটোকপিগুলোও সাথে রাখুন। এনরোলমেন্ট অফিসারকে সমস্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে হস্তান্তর করুন। এই ডিজিটাল যাত্রায় একটু সতর্কতাই আপনার পাসপোর্ট দ্রুত হাতে পেতে সাহায্য করবে।

পাসপোর্ট ফি কাঠামো: কত খরচ হবে আপনার স্বপ্নের নথিটি পেতে?

পাসপোর্ট ফি নির্ভর করে তিনটি মূল বিষয়ের উপর: পাসপোর্টের ধরন, পেজ সংখ্যা এবং ডেলিভারির গতি। বর্তমান ফি কাঠামো (সর্বশেষ হালনাগাদের জন্য সরকারী ওয়েবসাইট চেক করুন) সাধারণত নিম্নরূপ:

  • পাসপোর্টের ধরন ও পেজ সংখ্যা:
    • সাধারণ মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (Ordinary MRP):
      • ৪৮ পেজ: দীর্ঘমেয়াদী ভ্রমণের জন্য আদর্শ।
      • ৬৪ পেজ: যারা ঘন ঘন ভ্রমণ করেন তাদের জন্য।
    • সরকারী/অফিসিয়াল পাসপোর্ট (Official Passport): সরকারী দায়িত্বে বিদেশ গমনকারী কর্মকর্তাদের জন্য।
    • কূটনৈতিক পাসপোর্ট (Diplomatic Passport): কূটনৈতিক কর্মকর্তা ও তাদের পরিবারের জন্য। (সাধারণ নাগরিকদের জন্য প্রযোজ্য নয়)।
  • ডেলিভারির গতি:
    • সাধারণ ডেলিভারি (Normal Delivery): প্রক্রিয়াকরণ ও ডেলিভারিতে সাধারণত ১৫ থেকে ২১ কার্যদিবস সময় লাগে। ফি তুলনামূলকভাবে কম।
    • জরুরি/এক্সপ্রেস ডেলিভারি (Urgent/Express Delivery): প্রক্রিয়াকরণ ও ডেলিভারিতে অগ্রাধিকার পায়, সাধারণত ৭ কার্যদিবসের মধ্যে হাতে পৌঁছায়। ফি সাধারণ ডেলিভারির চেয়ে উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি।

ফি ক্যালকুলেশনের উদাহরণ (সাধারণ নাগরিকদের জন্য):

  • সাধারণ ডেলিভারি, ৪৮ পেজ: আনুমানিক ৩,০০০ – ৪,০০০ টাকা।
  • সাধারণ ডেলিভারি, ৬৪ পেজ: আনুমানিক ৪,২০০ – ৫,২০০ টাকা।
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি, ৪৮ পেজ: আনুমানিক ৬,০০০ – ৮,০০০ টাকা।
  • এক্সপ্রেস ডেলিভারি, ৬৪ পেজ: আনুমানিক ৮,০০০ – ১০,০০০ টাকা।

টাকা জমার পদ্ধতি: অনলাইন আবেদন ফরম জমা দেয়ার পর প্রিন্ট করা পেমেন্ট স্লিপের মাধ্যমে নির্ধারিত ব্যাংকগুলোতে (সোনালী, জনতা, অগ্রণী, রূপালী, সিটি ব্যাংক ইত্যাদি) নগদ জমা দিতে হবে। অনলাইন ব্যাংকিং বা মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসেস (বিকাশ, নগদ, রকেট) থেকেও পেমেন্ট করা যায়। ফি কাঠামো পরিবর্তনশীল। সর্বশেষ ও সঠিক ফি জানতে সরকারী পাসপোর্ট ওয়েবসাইট বা অফিসিয়াল নোটিশ দেখুন।

পাসপোর্ট সংগ্রহ: আপনার স্বপ্নের নথি হাতে পাওয়ার শেষ ধাপ

এনরোলমেন্ট ও প্রক্রিয়াকরণ শেষ হলে পাসপোর্ট প্রস্তুত হয়ে গেলে স্ট্যাটাস ট্র্যাকিং সিস্টেমে “Passport is ready for delivery” বা “পাসপোর্ট ডেলিভারির জন্য প্রস্তুত” এমন মেসেজ দেখাবে। সংগ্রহ পদ্ধতি দুই রকম:

  1. হোম ডেলিভারি: অনলাইন আবেদনের সময় হোম ডেলিভারি অপশন নির্বাচন করলে, প্রস্তুত পাসপোর্টটি বাংলাদেশ ডাক বিভাগ (Bangladesh Post) এর মাধ্যমে আপনার দেয়া বর্তমান ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠানো হবে। ডাকটিকিট ও ডেলিভারি চার্জ আপনাকে ডাক কর্মচারীকে প্রদান করতে হবে। সতর্কতা: ঠিকানা অবশ্যই সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ দিতে হবে। ডেলিভারি ট্র্যাক করতে ডাক বিভাগের ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করুন।
  2. অফিস থেকে সংগ্রহ: যদি আপনি অফিস থেকে সংগ্রহ করার অপশন বেছে নেন বা হোম ডেলিভারি না পাওয়া যায়, তাহলে পাসপোর্ট প্রস্তুত হওয়ার SMS বা স্ট্যাটাস দেখে আপনার আবেদন করা পাসপোর্ট অফিস/রিজিওনাল পাসপোর্ট অফিসে গিয়ে সংগ্রহ করতে হবে। সাথে অবশ্যই মূল জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) এবং এনরোলমেন্ট রিসিপ্ট নিয়ে যাবেন। কিছু ক্ষেত্রে পাসপোর্টের ডেলিভারি স্লিপও চাওয়া হতে পারে।

পাসপোর্ট হাতে পেয়েই করণীয়:

  • জরুরি ভিত্তিতে চেক করুন: আপনার নাম, পিতার নাম, মাতার নাম, জন্মতারিখ, জন্মস্থান, লিঙ্গ, পাসপোর্ট নম্বর, ইস্যু ও মেয়াদোত্তীর্ণের তারিখ – প্রতিটি তথ্য শতভাগ সঠিক কিনা। কোনও ভুল পেলে সাথে সাথে পাসপোর্ট অফিসে জানান।
  • স্বাক্ষর করুন: পাসপোর্টের নির্ধারিত জায়গায় (সিগনেচার পেজে) অবশ্যই আপনার স্বাভাবিক স্বাক্ষর করুন। স্বাক্ষরবিহীন পাসপোর্ট ব্যবহার করা যায় না।
  • নিরাপদ স্থানে সংরক্ষণ করুন: পাসপোর্ট একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি। এটি নিরাপদ স্থানে (যেমন: লকার) সংরক্ষণ করুন। ফটোকপি বা স্ক্যান কপি রাখুন এবং মূল নথি ঘন ঘন বহন না করাই ভালো। ভ্রমণের সময় মূল নথির পাশাপাশি ফটোকপিও সাথে রাখুন।

পাসপোর্ট নবায়নের নিয়মাবলী: সময়মতো হালনাগাদ রাখুন

আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার কমপক্ষে ছয় মাস আগেই নবায়নের প্রক্রিয়া শুরু করা বুদ্ধিমানের কাজ। ভিসা আবেদন বা ভ্রমণের সময় মেয়াদ উত্তীর্ণের কাছাকাছি পাসপোর্ট গ্রহণযোগ্য হয় না। নবায়নের প্রক্রিয়া নতুন পাসপোর্ট আবেদনের প্রক্রিয়ার সাথে প্রায় একই, তবে কিছু পার্থক্য আছে:

  • পুরাতন পাসপোর্ট: নবায়ন আবেদনের সময় অবশ্যই মূল মেয়াদোত্তীর্ণ/পুরাতন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে। এটি আবেদন ফরমের পুরাতন পাসপোর্ট নম্বর ও অন্যান্য তথ্য যাচাইয়ের জন্য এবং কখনও কখনও ভিসা স্ট্যাম্প ট্রান্সফারের জন্য প্রয়োজন হয়।
  • আবেদন ফরম: অনলাইন ফরমে “Renewal” বা “নবায়ন” অপশনটি সিলেক্ট করতে হবে। পুরাতন পাসপোর্টের নম্বর ও অন্যান্য তথ্য সঠিকভাবে দিতে হবে।
  • কাগজপত্র: নতুন পাসপোর্টের জন্য প্রযোজ্য সমস্ত কাগজপত্রের পাশাপাশি মূল পুরাতন পাসপোর্ট জমা দিতে হবে।
  • ফি: নবায়নের ফিও নতুন পাসপোর্টের ফি কাঠামোর মতোই (পেজ সংখ্যা ও ডেলিভারির গতি অনুযায়ী)।
  • নতুন পাসপোর্টে ভিসা ট্রান্সফার: আপনার পুরাতন পাসপোর্টে যদি বৈধ ভিসা থাকে, সাধারণত নবায়নের পর নতুন পাসপোর্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ভিসা ট্রান্সফার হয় না। আপনাকে সংশ্লিষ্ট দেশের দূতাবাস/ভিসা সেন্টারে যোগাযোগ করে ভিসা ট্রান্সফার বা নতুন করে ভিসা নেয়ার প্রক্রিয়া জানতে হবে। পুরাতন পাসপোর্টটি (যাতে ভিসা স্ট্যাম্প আছে) সাথে রাখুন।

সাধারণ ভুল এবং সেগুলো এড়ানোর উপায়: পাসপোর্ট আবেদনে সফলতার গোপন মন্ত্র

ছোটখাটো ভুলে পাসপোর্ট আবেদন বিলম্বিত বা বাতিল হয়ে যেতে পারে। জেনে নিন সাধারণ ভুলগুলো ও সতর্কতার উপায়:

  • নাম, পিতার নাম, মাতার নাম বা জন্মতারিখে অমিল: NID/জন্ম নিবন্ধন, অনলাইন ফরম এবং অন্যান্য কাগজপত্রে অভিন্ন তথ্য না থাকা সবচেয়ে বড় ভুল। সমাধান: আবেদনের আগে NID/জন্ম নিবন্ধনের তথ্য যাচাই করুন। ভুল থাকলে সংশোধন করুন।
  • পাসপোর্ট ছবির স্পেসিফিকেশন না মানা: সাদা ব্যাকগ্রাউন্ড না থাকা, মুখে অভিব্যক্তি, চশমা পরা (যদি বাধ্যতামূলক না হয়), মাথার অংশ কাটা যাওয়া। সমাধান: পাসপোর্ট ছবির বিশেষজ্ঞ ফটোগ্রাফারের কাছে ছবি তুলুন। সরকারী ওয়েবসাইটের গাইডলাইন কঠোরভাবে মেনে চলুন।
  • অনলাইন ফরমে ভুল তথ্য দেয়া: তাড়াহুড়া করে ফরম পূরণ করা, তথ্য ডাবল-চেক না করা। সমাধান: ধীরে-সুস্থে ফরম পূরণ করুন। প্রতিটি তথ্য NID/জন্ম নিবন্ধনের সাথে মিলিয়ে নিন। সাবমিট করার আগে পুরো ফরম একবার প্রিন্ট করে দেখে নিন।
  • প্রয়োজনীয় মূল কাগজপত্র না নেয়া: NID/জন্ম নিবন্ধনের মূল কপি, পুরাতন পাসপোর্টের মূল কপি (নবায়নের ক্ষেত্রে) সাথে না নেয়া। সমাধান: এনরোলমেন্ট সেন্টারে যাওয়ার আগে চেকলিস্ট দিয়ে সব মূল কাগজপত্র গুছিয়ে নিন।
  • এনরোলমেন্ট সেন্টারে দেরিতে পৌঁছানো বা স্লট মিস করা: সমাধান: স্লটের সময়ের কমপক্ষে ৩০-৪৫ মিনিট আগে পৌঁছানোর চেষ্টা করুন। ট্রাফিক জ্যামের সম্ভাবনা মাথায় রাখুন।
  • পেমেন্ট রসিদ বা এনরোলমেন্ট রিসিপ্ট না রাখা: সমাধান: এই রসিদ/রিসিপ্টগুলো পাসপোর্ট না পাওয়া পর্যন্ত খুব যত্নে সংরক্ষণ করুন। স্ক্যান বা ফটো তুলে রাখুন।
  • এজেন্টের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা: অনেক এজেন্ট অতিরিক্ত টাকা নেয়, সময় নষ্ট করে বা ভুল তথ্য দেয়। সমাধান: নিজে অনলাইন পদ্ধতি শিখুন। সরকারী ওয়েবসাইট ও হেল্পলাইনই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য উৎস। এজেন্ট ব্যবহার করলে খোঁজখবর নিয়ে বিশ্বস্ত কাউকে বেছে নিন।

জরুরি পাসপোর্ট: অপ্রত্যাশিত মুহূর্তে যা করতে হবে

জীবনে হঠাৎ জরুরি ভ্রমণের প্রয়োজন হতে পারে (যেমন: চিকিৎসা, পরিবারের সদস্যের অসুস্থতা বা মৃত্যু, জরুরি ব্যবসায়িক সফর)। এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ প্রক্রিয়ায় অপেক্ষা করা সম্ভব নাও হতে পারে। বাংলাদেশ পাসপোর্ট অফিস কিছু ক্ষেত্রে জরুরি ভিত্তিতে (Emergency Basis) পাসপোর্ট ইস্যুর সুযোগ দেয়। তবে এটি নিশ্চিত করার জন্য কঠোর প্রমাণপত্রের প্রয়োজন:

  • প্রয়োজনীয়তা: জরুরি পাসপোর্টের আবেদন করতে হবে সরাসরি সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে (সাধারণত হেডকোয়ার্টার বা বিভাগীয় অফিস) গিয়ে। অনলাইন আবেদনের সময় “এক্সপ্রেস ডেলিভারি” অপশন জরুরি পাসপোর্ট নিশ্চিত করে না, এটি শুধু দ্রুত প্রসেসিং নির্দেশ করে।
  • অত্যাবশ্যকীয় কাগজপত্র:
    • জরুরি ভ্রমণের কারণের প্রমাণপত্র (যেমন: বিদেশে আত্মীয়ের ক্রিটিক্যাল মেডিকেল রিপোর্ট ও হাসপাতালের চিঠি, মৃত্যু সনদ, ব্যবসায়িক জরুরীতার প্রমাণপত্র ইত্যাদির সত্যায়িত অনুবাদসহ)।
    • ফ্লাইট ইটিনারারি/টিকেট (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
    • সাধারণ পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় সকল কাগজপত্র (NID, ছবি, পুরাতন পাসপোর্ট ইত্যাদি)।
    • জরুরি আবেদনের জন্য নির্ধারিত অতিরিক্ত ফি পরিশোধের প্রমাণ।
  • প্রক্রিয়া: সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসের কর্তৃপক্ষের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করে আপনার পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করুন এবং জরুরি আবেদনের অনুমতি চান। তারা প্রয়োজনীয় কাগজপত্র যাচাই করে বিশেষ বিবেচনায় প্রসেসিং শুরু করতে পারেন। সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ কর্তৃপক্ষের বিবেচনার উপর নির্ভর করে।
  • সময়সীমা: জরুরি পাসপোর্ট সাধারণত ৩-৭ কার্যদিবসের মধ্যে ইস্যু করার চেষ্টা করা হয়, তবে এটি নিশ্চিত নয় এবং পরিস্থিতি ও কাগজপত্রের সঠিকতার উপর নির্ভর করে।

পরামর্শ: জরুরি পাসপোর্টের ব্যবস্থা কঠিন এবং সর্বদা পাওয়া যায় না। তাই সম্ভব হলে আপনার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই নবায়ন করে ফেলাই সর্বোত্তম পন্থা।

পাসপোর্ট করার নিয়মাবলী: যা যা লাগবে শুধু কাগজপত্রের তালিকা নয়, এটি আপনার সম্ভাবনার দুনিয়ায় প্রবেশের সুনিশ্চিত পথ। আজই আপনার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র গুছিয়ে নিন, অনলাইন পোর্টালে পদক্ষেপ নিন। আপনার স্বপ্নের পথে এই নথিই প্রথম সোপান। সময় নষ্ট করবেন না, আপনার ভবিষ্যতের যাত্রা শুরু হোক এখনই!

কালোজিরার তেল নিয়মিত খেলে যা ঘটবে আপনার শরীরে

জেনে রাখুন-

১. পাসপোর্ট করতে কত সময় লাগে?
সাধারণ ডেলিভারিতে পাসপোর্ট পেতে ১৫ থেকে ২১ কার্যদিবস সময় লাগতে পারে। এক্সপ্রেস সার্ভিস নির্বাচন করলে সাধারণত ৭ কার্যদিবসের মধ্যে ডেলিভারি দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে, আবেদনের ভলিউম, ছুটির দিন, এবং প্রযুক্তিগত জটিলতার কারণে সময় কিছুটা পরিবর্তনশীল হতে পারে। অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম ব্যবহার করে আপনার আবেদনের বর্তমান অবস্থা জানতে পারবেন।

২. পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে কি বয়সের ন্যূনতম সীমা আছে?
না, পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে ন্যূনতম বয়সের কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। নবজাতক শিশুদের জন্যও পাসপোর্ট করা যায়। তবে, ১৮ বছরের কম বয়সী নাবালকদের ক্ষেত্রে পিতা-মাতা বা আইনানুগ অভিভাবকের সম্মতি এবং তাদের পরিচয়পত্র ও জন্মনিবন্ধন সনদ প্রয়োজন হয়। নাবালকদের পাসপোর্টের মেয়াদ আলাদা হতে পারে।

৩. আমার NID কার্ড নেই, পাসপোর্ট করতে পারব কি?
হ্যাঁ, NID কার্ড না থাকলেও জন্ম নিবন্ধন সনদের মূল কপি জমা দিয়ে পাসপোর্টের জন্য আবেদন করা যায়। জন্ম নিবন্ধন সনদ বাংলাদেশী নাগরিকত্বের বৈধ প্রমাণ হিসেবে স্বীকৃত। তবে, আপনার জন্মনিবন্ধন সনদে সমস্ত তথ্য সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ হতে হবে। NID থাকলে সেটি ব্যবহার করাই সহজ।

৪. পাসপোর্ট হারিয়ে গেলে বা চুরি হলে কী করব?
পাসপোর্ট হারানো বা চুরি হওয়ার ঘটনা ঘটলে অবিলম্বে নিকটস্থ থানায় জিডি (জেনারেল ডায়েরি) করতে হবে। তারপর, জিডি কপি, হারানো পাসপোর্টের তথ্য (যদি মনে থাকে), NID/জন্ম নিবন্ধন সনদ এবং অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করে একটি নতুন পাসপোর্টের জন্য আবেদন করতে হবে। এটি একটি “নতুন আবেদন” হিসাবে গণ্য হবে (নবায়ন নয়), তাই সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ও ফি নতুন আবেদনের মতোই প্রযোজ্য হবে। হারানো পাসপোর্টটি বাতিল হিসেবে চিহ্নিত করা হবে।

৫. পাসপোর্টে ভুল তথ্য পেলে কিংবা ডেলিভারির আগে ঠিকানা বদল করতে চাইলে কী করব?
পাসপোর্ট হাতে পাওয়ার পর যদি কোনো তথ্যে ভুল (নাম, জন্ম তারিখ ইত্যাদি) দেখেন, অথবা ডেলিভারির আগে আপনার ঠিকানা পরিবর্তন হয়ে থাকে, তাহলে দ্রুত সংশ্লিষ্ট পাসপোর্ট অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। ভুল তথ্যের ক্ষেত্রে পাসপোর্টটি ফেরত দিয়ে একটি সংশোধনী আবেদন করতে হবে, যার জন্য অতিরিক্ত ফি ও প্রক্রিয়া লাগতে পারে। ঠিকানা পরিবর্তনের জন্য ডেলিভারি প্রক্রিয়া শুরুর আগে (স্ট্যাটাস দেখে) অফিসকে নতুন ঠিকানা জানালে তারা তা আপডেট করার চেষ্টা করবেন। হোম ডেলিভারি নির্বাচন করলে ডাক বিভাগের মাধ্যমেও ঠিকানা আপডেটের চেষ্টা করা যেতে পারে, তবে সফলতা নিশ্চিত নয়।

৬. বিদেশে অবস্থানকালে পাসপোর্ট নবায়ন করব কিভাবে?
বিদেশে অবস্থানরত বাংলাদেশী নাগরিকরা নিকটস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস বা কনস্যুলেটে গিয়ে পাসপোর্ট নবায়নের জন্য আবেদন করতে পারবেন। দূতাবাস/কনস্যুলেটের নিজস্ব অনলাইন পোর্টাল বা সরাসরি যোগাযোগ করে প্রক্রিয়া ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জেনে নিতে হবে। সাধারণত স্থানীয় ঠিকানা প্রমাণ, বিদেশে বসবাসের বৈধতার প্রমাণ (ভিসা/পারমিট), পুরাতন পাসপোর্ট এবং অন্যান্য নথি দরকার হয়। দূতাবাসে নবায়ন প্রক্রিয়ার সময়সীমা স্থানীয় ব্যবস্থার উপর নির্ভর করে।

Explore More Districts