আমেরিকায় যে সংঘাত থেকে শুরু হয় স্বাধীনতা সংগ্রাম

আমেরিকায় যে সংঘাত থেকে শুরু হয় স্বাধীনতা সংগ্রাম

স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র

লেক্সিংটন ও কনকর্ডে সেই রক্তাক্ত অধ্যায়ের পর এক বছরের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র গৃহীত হয় কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসে।

ঘোষণাপত্রটির খসড়া তৈরি করেছিলেন টমাস জেফারসন, জুন মাসে তিনি খসড়া ঘোষণাপত্র তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। সে সময় তাঁর বয়স ছিল মাত্র ৩৩ বছর। জেফারসনের খসড়া ঘোষণাপত্রটি পড়ার পর তা নিয়ে বিতর্ক হয়, সেটির পরিমার্জন হয় এবং অবশেষে সেটিতে সই করেন কন্টিনেন্টাল কংগ্রেসের প্রতিনিধিরা।

তবে সব প্রতিনিধি কিন্তু ৪ জুলাই ঘোষণাপত্রে সই করেননি; বরং বেশির ভাগ প্রতিনিধি দুই দিন আগে, অর্থাৎ ২ জুলাই ঘোষণাপত্রে সই করেছিলেন। কারণ, কন্টিনেন্টাল কংগ্রেস প্রথম যে দিনকে স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য বেছে নিয়েছিল, সেটি কিন্তু ৪ জুলাই ছিল না; বরং ২ জুলাই তারা স্বাধীনতা ঘোষণার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

তবে কেন তা দুই দিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তার উত্তর হলো ২ জুলাই স্বাধীনতা ঘোষণার জন্য প্রস্তুত প্রথম ঘোষণাপত্রটির প্রতিটি অক্ষর, শব্দ ও বাক্য পরবর্তী দুই দিন ধরে সম্পাদনা করা হয়। সংশোধিত ও পরিমার্জিত খসড়াটি সঠিক ও চূড়ান্ত বলে গৃহীত হয় ৪ জুলাই। এভাবেই ‘ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স’–এর মাধ্যমে ৪ জুলাই পৃথিবীর ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন হয়ে যায়।

তবে পরিমার্জিত সেই দলিলও নিখুঁত ছিল না। জেফারসনের খসড়ায় দাসপ্রথার সমালোচনা ছিল, যেখানে ব্রিটিশ রাজাদের দাস ব্যবসার জন্য দায়ী করা হয়েছিল। কিন্তু দক্ষিণের উপনিবেশগুলোর আপত্তিতে সেই অংশ বাদ দেওয়া হয়।

এ ছাড়া দলিলটিতে আদিবাসীদের নিয়ে লেখা হয়েছিল ‘নির্দয় ভারতীয় বর্বর’, যা আজকের দৃষ্টিতে বর্ণবাদী ও অবমাননাকর ভাষা হিসেবে বিবেচিত।

নারীদের বিষয়েও ঘোষণাপত্রে কোনো উল্লেখ ছিল না। সেখানে লেখা ছিল, ‘অল মেন আর ক্রিয়েটেড ইকুয়াল’ বা সব মানুষ সমানভাবে সৃষ্টি। এখানে সব মানুষ বোঝাতে ‘মেন’ শব্দের ব্যবহার নিয়ে অনেকেই আপত্তি তোলেন।

Explore More Districts