উজিরপুরের ২৪ কিমি সড়ক যেন মরণফাঁদ

উজিরপুরের ২৪ কিমি সড়ক যেন মরণফাঁদ

১ July ২০২৫ Tuesday ১২:৫৩:০০ PM

Print this E-mail this


উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি:

উজিরপুরের ২৪ কিমি সড়ক যেন মরণফাঁদ

বরিশালের উজিরপুর  উপজেলার বামরাইল ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সাতলা ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত   বৃষ্টি যেন এক আতঙ্কের নাম। এখানকার মানুষের জীবনে দুর্ভোগ হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি অবহেলিত সানুহার – সাতলা ২৪ কিলোমিটার সড়ক কাদা-মাটি আর ভাঙ্গাচোরা রাস্তা। যান চলাচল তো দূরের কথা সাধারণ মানুষ চলাচল পর্যন্ত করতে পারেনা এমনকি ঘর থেকে পর্যন্ত বের হতে পারছে না।

রাস্তায় জমা কাদা-মাটির নিচে থাকা গর্ত ও ভাঙ্গা রাস্তার এমন অবস্থায় হাসপাতাল,বাজার,ব্যাংক বা থানা কোনো জরুরি সেবাই সহজে পাচ্ছে না সাধারণ মানুষ। শিক্ষার্থীদেরও স্কুল-কলেজে যাওয়া প্রায় বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়েছে। সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া দিনমজুর ও শ্রমজীবী মানুষেরা। যারা কাজের সন্ধানে বের হতে না পেরে পরিবার নিয়ে চরম সংকটে পড়েছেন।

 স্থানী ও উপজেলা প্রকৌশলী সূত্রে জানা যায়,ঠিকাদারের গাফলতিতে সানুহার- সাতলা জন গুরুত্বপূর্ণ সরকের বেহাল দশা। চরম ভোগান্তির শিকার হাজারো মানুষ।

সরেজমিনে  গিয়ে দেখা যায় , ৫ ইউনিয়নের মানুষের সড়কপথে উপজেলার সাথে যোগাযোগের গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা বেহাল দশার জন্য বিগত অর্থ বছরে ৩ টি ভাগে টেন্ডার আহ্বান করা হলে। দুটি টেন্ডার  ইফতি ইটিসিএল নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ১৬ কিলোমিটার সড়কের কাজ পায়। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কাজ শুরু না করে বিভিন্ন রকমের তালবাহানা শুরু করে।

 ফ্যাসিষ্ট সরকারের পতন হলে ওই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধর মহিউদ্দীন মহারাজ পালিয়ে বিদেশে চলে যায়। তার সাথে সাথে রাস্তার কাজ বন্ধ হয়ে যায়। প্রতিদিন এই রাস্তাটি দিয়ে ১৫ হাজারের অধিক মানুষের চলাচল করে। স্কুল – কলেজ নূরানী ও হাফিজী মাদ্রাসা ছোট ছোট শিক্ষার্থীদের স্কুল ও মাদ্রাসায় আসা যাওয়ায় অনেকের দুর্ঘটনার স্বীকার হতে হয়।

স্থানীয় শিক্ষক সুমন হাওলাদার বলেন, এখন আমাদের জীবন যেন খাঁচায় বন্দি একটি প্রাণীর মতো হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে ভাঙ্গাচুরা রাস্তার অবস্থা আরো খারাপ হয়ে খানাখন্দে রূপ নেয়।

এ বিষয়ে উপজেলা প্রকৌশলী সুব্রত রায় বলেন, তিনটি ভাগে ২৪ কিলোমিটার রাস্তা টেন্ডার দেয়া হয়। ৮ কিলোমিটার রাস্তা  কাজ চলমান আছে ।  ১৬ কিলোমিটার রাস্তা টেন্ডার  কার্যক্রম শেষ হবার পরে নির্ধারিত সময়ে কাজ সম্পন্ন করতে ইফতি ইটিসিএল কর্তৃপক্ষকে তাগিদ দিলেও তারা কোন কর্ণপাত করে নাই। ফলে ওই রাস্তা চলাচলের অনউপযোগী হয়ে পড়েছে।

তিনি আরো বলেন, বিষয়টি নিয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান নির্ধারিত সময় কাজ সম্পূর্ন্ন করতে না পারার কারণে কার্যাদেশ  বাতিল করা হয়েছে।

ইফতি ইটিসিএল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কর্ণধর মহিউদ্দীন মহারাজ বিদেশে পালিয়ে থাকার কারণে নির্ভরযোগ্য কারো সাথে যোগাযোগ করা সম্ভব হয় নাই।

উজিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.আলী সুজা বলেন, উপজেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভায় বিষয়টি উপস্থাপন হয়েছে। রাস্তার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করে জরুরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts