অর্থাভাবে পড়াশোনা ছেড়ে দেওয়া মিরসরাইয়ের সানজিদা আক্তারের শিক্ষার দায়িত্ব নিয়েছে সামাজিক সংগঠন ‘ইগনাইট মিরসরাই’।
সানজিদা আক্তার মিরসরাই বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। কিন্তু সপ্তম শ্রেণি পেরোনোর পর পরিবারের আর্থিক সংকটে তার পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। বাবার মৃত্যু, সংসারের দারিদ্র্য—সব মিলিয়ে স্কুলজীবন থেমে গিয়েছিল সানজিদার।
তবে এখন আশার আলো দেখা দিয়েছে। ‘ইগনাইট মিরসরাই’ তার ভর্তি ফি, মাসিক বেতন, পরীক্ষা ফি ও শিক্ষা উপকরণের সম্পূর্ণ ব্যয়ভার গ্রহণ করেছে। সংগঠনের পক্ষ থেকে এসব উপকরণ সানজিদার হাতে তুলে দেওয়া হয়। এরআগে, দেশের বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে বিষয়টি প্রকাশিত হওয়ার পর সংগঠনটি তার পাশে দাঁড়ায়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন—সাংবাদিক আশরাফ উদ্দিন, ‘ইগনাইট মিরসরাই’র প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান, সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আরশেদ আহমেদ এবং সদস্য আজিমুল হাসান প্রমুখ।
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন বলেন, “সংবাদে সানজিদার গল্প দেখে আমরা দ্রুত সিদ্ধান্ত নিই। তার শিক্ষার সব খরচ আমরা দিচ্ছি। এই সহায়তা শুধু একবারের নয়, ভবিষ্যতেও চলবে।”
প্রতিষ্ঠাতা অ্যাডভোকেট নাজমুল হাসান বলেন, “এই যুগে এসে আর্থিক কারণে কারও শিক্ষাজীবন থেমে যাওয়া কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না। মিরসরাইয়ে কেউ অর্থের অভাবে পড়তে না পারলে তার দায়িত্ব ‘ইগনাইট মিরসরাই’ নেবে।”
উল্লেখ্য, সানজিদার বাবা লিভার ক্যান্সারে মারা গেছেন। দুই ভাই-বোনের মধ্যে সে সবচেয়ে ছোট। বড় বোনের বিয়ে হয়ে গেছে। একমাত্র ভাই দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী, পাশাপাশি স্থানীয় এক পেট্রোল পাম্পে কাজ করে সংসার চালায়। এমন দারিদ্র্যের মধ্যেও সানজিদার চোখে নতুন করে ফিরে এসেছে স্কুলের স্বপ্ন।
এমজে/সিটিজিনিউজ