কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে বিতর্ক, কারচুপির অভিযোগ ও সিলমারা ব্যালট উদ্ধারের ঘটনা

কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির কাউন্সিল ঘিরে বিতর্ক, কারচুপির অভিযোগ ও সিলমারা ব্যালট উদ্ধারের ঘটনা

দৈনিক কুষ্টিয়া অনলাইন/
কুষ্টিয়া পৌর বিএনপির সদ্য অনুষ্ঠিত দ্বিবার্ষিক কাউন্সিল ঘিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক ও অভিযোগ। সভাপতি পদে পরাজিত প্রার্থী আখতারুজ্জামান ওরফে কাজল মাজমাদার নির্বাচনে অনিয়ম ও কারচুপির অভিযোগ তুলে ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং পুনর্র্নিবাচনের দাবি জানিয়েছেন।
রোববার (২৯ জুন) বেলা ১১টার দিকে কুষ্টিয়া এন এস রোডের একটি রেস্তোরাঁয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কাজল মাজমাদার বলেন, “নির্বাচনের আগে থেকেই আমরা সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের অনুরোধ জানিয়ে আসছিলাম। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সেই প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। বরং তারা নিজেদের নিরপেক্ষতা হারিয়ে বিতর্কিত ভূমিকা পালন করেছে।”
এদিকে, সংবাদ সম্মেলন চলাকালেই খবর আসে যে, কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ ছাত্রাবাসের টয়লেটে কাজল মাজমাদারের ‘চেয়ার’ প্রতীকে সিলমারা বেশ কিছু ব্যালট পেপার পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।
কাজল মাজমাদার দাবি করেন, “ভোট গণনার সময় আমার প্রাপ্ত ভোট ছিল ৫৯৫। পুনর্গণনার পর তা বেড়ে ৫৯৯ হয়। চারটি ভোট বাড়া থেকেই প্রমাণিত হয়, কারচুপির আশঙ্কা অমূলক ছিল না। এরই মধ্যে আবার সিলমারা ব্যালট পাওয়ার ঘটনা জনমনে আরও প্রশ্ন তুলছে। আমরা এ বিষয়ে নিরপেক্ষ তদন্ত চাই।”
এদিকে কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির সদস্য সচিব প্রকৌশলী জাকির হোসেন সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নির্বাচন শতভাগ স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষভাবে সম্পন্ন হয়েছে।”
গত শুক্রবার (২৭ জুন) কুষ্টিয়া সরকারি কলেজ মাঠে অনুষ্ঠিত এই কাউন্সিলে সভাপতি পদে একে বিশ্বাস বাবু এবং সাধারণ সম্পাদক পদে কামাল উদ্দিন বিজয়ী হন। ভোট পরবর্তী সময়ে কাজল মাজমাদার ফলাফল পুনর্গণনার দাবি জানান, যা শনিবার সম্পন্ন হয়।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, জেলা বিএনপির কমিটি গঠনের পর থেকেই কিছু নেতা পদবঞ্চনার অভিযোগ তুলে প্রতিবাদ জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে সংগঠনের অভ্যন্তরে বিরাজমান ক্ষোভ ও বিভক্তি কাউন্সিল নির্বাচন ঘিরে আরও প্রকাশ্য হয়ে ওঠে। সিলমারা ব্যালট উদ্ধারের ঘটনা এ বিতর্ককে নতুন মাত্রা দিয়েছে।
আমান/

Explore More Districts