রুহিন হোসেন বলেন, ‘আমরা মনে করি, চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থান ও মুক্তিযুদ্ধের আকাঙ্ক্ষা হলো গণতন্ত্রের আকাঙ্ক্ষা, আধিপত্যবাদ আর সাম্রাজ্যবাদবিরোধী আকাঙ্ক্ষা। গণ-অভ্যুত্থানকে কোনোভাবে বিতর্কিত করা যাবে না। পাহাড়িদের ওপর নির্যাতন করা যাবে না, দেশে কোনোভাবে বৈষম্য তৈরি করা যাবে না, বৈষম্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ। ইতিপূর্বে বিভিন্ন আন্দোলনে প্রাণ বিসর্জন দেওয়া সব শহীদের প্রতি আমরা শ্রদ্ধা জানাই। আমাদের সাম্রাজ্যবাদবিরোধী এ আন্দোলন দীর্ঘদিনের।’
রুহিন হোসেন আরও বলেন, ‘চট্টগ্রাম বন্দর দেশের গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সম্পদ। দেশের অর্থনীতির চালিকা শক্তি, হৃৎপিণ্ড। আমরা আশা করব, বিগত সরকারের ধারাবাহিকতায় অন্তর্বর্তী সরকার বন্দর ইজারা দেওয়াসহ যে কাজ করতে চাইছে, তা থেকে তারা পিছু হটবে। আর এটা নিয়ে আমাদের আজকের রোডমার্চের শেষে আর কোনো বৃহত্তর কর্মসূচি দিতে হবে না। কিন্তু যদি সরকার এই দায়িত্ব পালন না করে, তাহলে সমাপনী সমাবেশ থেকে আমরা ঘোষণা পাঠের সঙ্গে সঙ্গে আন্দোলনের বৃহত্তর কর্মসূচি দেব।’
সিপিবির ফেনী জেলা সভাপতি বিমল শীলের সভাপতিত্বে ও বাম গণতান্ত্রিক জোট ফেনীর সমন্বয়ক জসীম উদ্দীনের সঞ্চালনায় আরও বক্তব্য দেন বাসদ (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা। বাসদ নেতা মাসুদ রানা বলেন, ‘গণহত্যার বিচার করতে হবে, রাষ্ট্রের সংস্কার করতে হবে। গণ-অভ্যুত্থানে যাঁরা নেতৃত্ব দিয়েছেন, তাঁদের মামলা দেওয়া হচ্ছে, এটা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যাবে না। ভারতের সঙ্গে সব ধরনের চুক্তি বাতিল করতে হবে।’