দেখা দিয়েছে নতুন করোনা ভ্যারিয়েন্ট। এই সময়ে ওষুধের পাশাপাশি সঠিক ও পুষ্টিকর খাবার খাওয়া গুরুত্বপূর্ণ। একমাত্র পুষ্টিসমৃদ্ধ খাবারই পারে রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে।
যা করতে হবে
১ খাবারের পরিমাণ যা-ই হোক, তা যেন পুষ্টিকর হয়, সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
২ স্বাভাবিক খাবারের পাশাপাশি তরল ও পানিজাতীয় খাবার বেশি গ্রহণের চেষ্টা করতে হবে। কোনোভাবে যেন শরীর পানিশূন্য না হয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
৩ মাছ, মুরগি, দুধ, ডিম, বাদাম ও দইজাতীয় খাবার স্বাভাবিকের চেয়ে একটু বেশি খেতে হবে। খেতে হবে মৌসুমি ফল। শাকসবজি, সালাদ ও লেবুজাতীয় খাবারও খেতে হবে।
৪ সাধারণভাবে তৈরি করা খাবার খেতে অসুবিধা হলে খাবার তৈরির প্রক্রিয়া বদল করে সহজে হজম হয়, তেমন উপায়ে তৈরি করে রোগীকে দিতে হবে। মাছ বা মুরগির স্টু কিংবা সবজি এবং স্যুপ করেও দেওয়া যেতে পারে।
৫ খুব বেশি তেল-মসলাযুক্ত খাবার খাওয়া যাবে না। বাইরের কেনা অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া বন্ধ করতে হবে। এগুলো শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা তৈরির জন্য দায়ী।
৬ যাঁদের ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, হার্টের বা কিডনি রোগ আছে, তাঁরা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে বিশেষ সতর্ক থাকতে হবে। তাঁদের রোগ অনুসারে খাবার খেতে হবে। গর্ভবতী ও বয়োজ্যেষ্ঠদের এ সময় সতর্ক থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনে একজন পুষ্টিবিদের পরামর্শ নেওয়া।
৭ ওজন ও বয়সের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে পর্যাপ্ত ক্যালরি এবং বেশি প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। নয়তো শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে এবং রোগ প্রতিরোধক্ষমতা কমে যাবে।
৮ করোনায় আক্রান্ত কারও ডায়রিয়া হলে সহজপাচ্য খাবার খেতে হবে। ডাবের পানি, কাঁচা কলা, আয়রনযুক্ত খাবার খাদ্যতালিকায় রাখতে হবে।
আয়রনসমৃদ্ধ খাবার
শাকসবজি: পালংশাক, কচুশাক, ব্রকলি
ডাল ও বীজজাতীয় খাবার: মটরশুঁটি, মসুর ডাল, রাজমা, ছোলা
মাংস ও মাছ: লাল মাংস (যেমন গরুর মাংস), মুরগির মাংস, ডিম, কলিজা, চিংড়ি
শুকনা ফল: কিশমিশ, খেজুর, অ্যাপ্রিকট
বাদাম: কাজু, কাঠবাদাম
আইএ