ভাঙা ঘরে দুঃসহ জীবন বৃদ্ধা আমেনা খাতুনের

ভাঙা ঘরে দুঃসহ জীবন বৃদ্ধা আমেনা খাতুনের

১৯ June ২০২৫ Thursday ৮:৪৬:২৬ PM

Print this E-mail this


ঝালকাঠি প্রতিনিধি:

ভাঙা ঘরে দুঃসহ জীবন বৃদ্ধা আমেনা খাতুনের

থাকার কষ্ট, খাওয়ার কষ্ট, একটু বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে, ঘুমাতে পারি না। করমু কী, কিছু করার উপায় আছে? মানুষে দিলে খাই, না দিলে না খাইয়াই থাকি।

বন্যা হলে অনেক ভয় করে তারপরও ভাঙা ঘরে বসে থাকি, পরের ঘরে গেলে তারা কি আমার জন্য বারবার দুয়ার (দরজা) খুলবে।  

তাই নিজের ঘরেই বসে থাকি।

আর অসুখ বিসুখ হলে আল্লাহর ওপর ভরসা করে থাকি এমনটাই বলছিলেন ঝালকাঠি সদর উপজেলার পোনাবালিয়া ইউনিয়নের মির্জাপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত নুর মোহাম্মদের স্ত্রী আমেনা খাতুন।  

৭০ বছর বয়সী এই বৃদ্ধা বিধবা হয়েছেন ৩০ বছর আগে। দুই ছেলে ও এক মেয়ে তারাও প্রতিবন্ধী। ছেলেদের স্ত্রীরা মানুষের বাড়িতে কাজ করে তাদের সংসার চালান। আর মেয়ে থাকেন তার শ্বশুরবাড়িতে। 

সম্প্রতি সরেজমিন দেখা যায়, আমেনা খাতুনের স্বামীর রেখে যাওয়া একমাত্র সম্বল এই ঘরে একা বাস করেন তিনি।  ঘূর্ণিঝড় সিডরে গাছ পড়ে সেটিও ভেঙে যায়। একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে তলিয়ে যায় ঘর। নিরুপায় হয়ে এই ভাঙা ঘরে বসবাস করেন, আশপাশের মানুষ যে খাবার দেয় তা দিয়ে দুবেলা দু-মুঠো খেয়ে বেঁচে আছেন তিনি। 

প্রতিবেশীরা জানান, আমেনা খাতুনের ছেলে মেয়েরা প্রতিবন্ধী হওয়ার কারণে তারা তার খোঁজ খবর নিতে পারেন না। বাড়িতে তিনি একাই থাকেন। সংসারে উপার্জনক্ষম কেউ না থাকায় খেয়ে না খেয়ে দিন যায় তার। মাঝেমধ্যে চাল-ডাল যা পারেন, দেন। সরকারি কিংবা কোনো ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান তার পাশে দাঁড়ালে তিনি শেষ জীবনটা ভালোভাবে কাটাতে পারবেন। 

মির্জাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মঞ্জুর হোসেন শরীফ বলেন, আমেনা বেগম খুবই অসহায়। বৃদ্ধ মহিলা তিনি একাই থাকেন। ঝুপড়িতে বৃষ্টি-বাদল আর শীতের দিনে খুব কষ্ট হয় তার। এখন মাথা গোঁজার ঠাঁই একটা ঘর হলে তিনি ভালোভাবে থাকতে পারবেন। সরকারি চাল আর বিধবা ভাতা পান এছাড়া আশপাশের মানুষ কিছু দিলে সেটা খেয়েই জীবনধারণ করছেন তিনি।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক


শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts