মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে জমি নিয়ে বিরোধে দু’পক্ষের সংঘর্ষে রোজিনা বেগম (৪০) নামে এক শিক্ষিকাকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ৫ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (২৬ মে) সকালে উপজেলার মাধবপুর ইউনিয়নের ভাষানীগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। নিহত নারী একই এলাকার মৃত নিজাম মিয়ার মেয়ে ও স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্ডেন স্কুলের শিক্ষিকা।
এ ঘটনায় আহতরা হলেন, ধলাইরপার এলাকার মৃত চেরাগ মিয়ার ছেলে জালাল মিয়া, ভাষানীগাঁও গ্রামের মৃত নিজাম উদ্দীনের ছেলে হারুন মিয়া, তার স্ত্রী নুরুন নাহার লুবনা, আব্দুর রহিমের ছেলে রেজাউল আহমেদ সাগর ও সাগরের মামা আজবর মিয়া।
স্থানীয় ও নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, মাধবপুর ইউনিয়নের ভাষানীগাঁও গ্রামে জমি নিয়ে শিক্ষিকা রোজিনা বেগমের পরিবারের সাথে প্রতিবেশি আব্দুর রহিমের পরিবারের বিরোধ চলছিলো,সোমবার সকালে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থাকার পরও আব্দুর রহিম ও তার ছেলে রেজাউল করিম সাগরসহ কয়েকজন ধারালো দেশীয় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ওই জমি দখল করে ভেকু মেশিন দিয়ে মাটিকাটা শুরু করেন। এসময় রোজিনা বেগমের পরিবারের লোকজন বাধা দিলে আব্দুর রহিম ও তার ছেলে রেজাউল করিম সাগরের নেতৃত্বে ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা করে।হামলায় রোজিনার আত্মীয় জালাল আহমেদের পায়ের রগ কাটা পড়ে। কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয় রোজিনা বেগমকে। অপরদিকে আহত হন রেজাউল আহমেদ সাগর ও তার মামা আজবর। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে কমলগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক রোজিনাকে মৃত ঘোষণা করেন। অন্যান্য আহতদের মৌলভীবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোতাহের আলী বলেন, জমি তাদের দু’পক্ষের মধ্যে বিরুধ চলছিলো। বিষয়টি সমাধানে তাদের মধ্যে একাধিকবার বৈঠকও হয়, বৈঠকে নিস্পত্তি না হওয়ায়, আদালতে গড়ায়,ওই জমিতে আদালতের নিষেধাজ্ঞ ছিল, কিন্তু আজ সকালে নিষেধাজ্ঞা না মেনে বিরুধপূর্ণ জমিতে আব্দুর রহিম গং দখল করতে যায়, এসময় অপর পক্ষ বাধা দেয় তখন সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
কমলগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সৈয়দ ইফতেখার হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত পুলিশ পাঠানো হয়েছে।এঘটনায় এখনো মামলা হয়নি, তবে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তিনজনকে থানায় নিয়েআসা হয়েছে।এবং লাশের সুরতহাল তৈরী করে ময়না তদন্তের জন্য মৌলভীবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় জড়িতদের দ্রুত আটকে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।