- আড়াইহাজার, নারায়ণগঞ্জ, শহরের বাইরে
- আড়াইহাজারে ১৯ বছর পর ডাকাত হানিফা গ্রেফতার
ফতুল্লায় চার মাসের চুরি হওয়া শিশু উদ্ধার
- আপডেট টাইম : মে, ১৪, ২০২৫, ১১:৩৭ অপরাহ্ণ
- 164 পড়েছেন
নারায়ণগঞ্জ প্রতিদিন ::
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় ৪ মাসের শিশু কন্যাকে চুরি করে নিজের সন্তান হিসাবে প্রচার নি:সন্তান দম্পতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
গত ৭ মে ২০২৫ বিসিক শিল্প এলাকায় গাইবান্ধা টেইলার্সের সামনে থেকে সকাল ১০টায় অটোচালক মনোয়ারুল (৩২) ও গার্মেন্টস শ্রমিক তহসিনা আক্তার (২৮) এর ০৪ মাস বয়সী শিশু কন্যাকে তিশাকে তার বড় বোন মরিয়ম (১০) মায়ের কাছে বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্যে নিয়ে যাওয়ার সময় সময় গ্রেফতার কৃত আসামী মাহমুদা (২৮) কৌশলে শিশু কন্যা তিশাকে কোলে নিয়ে তার বড় বোন মরিয়মকে কিছু টাকা দেয় চকলেট খাওয়ার জন্য।
মরিয়ম চকলেট কিনতে গেলে মাহমুদা শিশু কন্যা তিশাকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়ে যায়।
এরপর চার মাসের বাচ্চা তিশাকে খুজে না পাওয়া গেলে তার বাবা মা ফতুল্লা থানায় যোগাযোগ করলে ফতুল্লা থানার এসআই ইয়াসিন আরাফাতকে শিশুটি কে উদ্ধারে দায়িত্ব দেয়া হয়। ৭ মে থেকে নিরলশ প্রচেষ্টায় শুধু মাত্র একটি অস্পষ্ট সিসিটিভি ভিডিও ফুটেজ কে পুজি করে শিশু উদ্ধার প্রচেষ্টা চলতে থাকে।
অবশেষে ১৪ মে মঙ্গলবার পূর্ব মাসদাইর এলাকা থেকে মাহমুদার কাছ থেকে শিশু বাচ্চা তিশাকে উদ্ধার করা হয়। এই অপারেশনে তথ্যপ্রযুক্তিগত বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ র্যাব ১১ সহায়তা করেন।
অত:পর মাহমুদা ও তার স্বামী অটোরিকশা চালক আসাদুল (আদিতমারি, লালমনিরহাট) কে ফতুল্লা থানা হেফাজতে নেয়।
পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে মাহমুদা শিশু তিশাকে চুরির বিষয় স্বীকার করে। কারণ হিসাবে বলেন দীর্ঘ ১২ বছরের সংসারে নি:সন্তান হওয়ার কারণে সামাজিক ও পারিবারিক চাপে থাকেন।
অত:পর গত ৭ মাস আগে মাহমুদা কন্সিভ করলেও পাচ মাস পর তা মিসক্যারিয়েজ হয়ে যায়। মিসক্যারিয়েজ এর বিষয়টি মাহমুদা তার স্বামী ও শ্বশুর বাড়ীর সবাইকে বিষটি লুকিয়ে যায়।
শিশু বাচ্চাকে চুরি করে পরবর্তী তার বাচ্চা বলে আত্বিয়-স্বজনের কাছে প্রচার করে নিজের বাচ্চা হিসাবে।
নিজের সংসার বাচানোর জন্যে বাচ্চা চুরি করার কথা স্বীকার করে মাহমুদা বলেন, তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন সন্তান না হয়ার জন্যে তাকে ডিভোর্স দেয়ার জন্যে চাপ দেয়ার কথা উল্লেখ করে। এজন্য বাচ্চা চুরির ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে স্বীকার করে।
নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক সার্কেল) মো: হাসিনুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাচ্চা চুরির ঘটনায় সহযোগী সন্দেহে আরও দুই জনে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। গত ১৩ তারিখে ফতুল্লা থানায় উক্ত ঘটনায় রুজুকৃত মামলায় আসামীদের কোর্টে চালান করার কথা জানান তিনি ।