মুম্বাই, ১১ মে – ২০১৯ সালে মাত্র ৪৫ বছর বয়সে মারা যান মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এবং জয়ন্ত মুখোপাধ্যায়ের প্রথম সন্তান পায়েল। শোনা গিয়েছিল, মেয়ে যখন হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তখন নাকি তাকে দেখতে একটিবারের জন্যও হাসপাতালে যাননি মৌসুমী।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পায়েলের শ্বশুরবাড়ির তরফ থেকে তোলা হয়েছিল এমন অভিযোগ। মেয়ের মৃত্যু নিয়ে পুরো সময়ই চুপ ছিলেন মৌসুমী। তবে সম্প্রতি ইন্ডিয়া টুডেকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে মুখ খুলেছেন তিনি।
তার পাল্টা অভিযোগ, মর্গে রেখে দেওয়া হয়েছিলেন মেয়ের দেহ। কারণ শ্বশুরবাড়ির লোক হাসপাতালের বিল মেটায়নি।
সেই বেদনাদায়ক ঘটনার কথা বর্ণনা করে অভিনেত্রী বলেন, ‘যখন হাসপাতালে পৌঁছাই পায়েল তখন নেই। হাসপাতালের মর্গে ফেলে রাখা হয়েছিল পায়েলকে। সেসব ঝামেলা আমি মিটিয়েছি। যা গিয়েছে তা ফেরানো যাবে না। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা কখনওই ঠিক হয় না।’
মৌসুমীর ছোট মেয়ের নাম মেঘা। পায়েল ও মেঘার বয়সের ফারাক প্রায় আট বছরের। বর্ষীয়ান এই অভিনেত্রী জানান, মেঘার কাছে পায়েল ছিলেন দ্বিতীয় মা। দিদি হারানোর শোক দগ্ধ করেছিল তাকেও।
স্বামী জয়ন্ত মুখোপাধ্যায় আজও ভুলতে পারেননি বা বলা ভাল মেনে নিতে পারেননি বড় মেয়ের মৃত্যু। তার কথায়, ‘এই শূন্যতা কখনও পূর্ণ হবে না।’
পায়েলের স্বামীর নাম ডিকি সিনহা। শুরু থেকেই ব্যবসা সংক্রান্ত কারণে তার সঙ্গে মৌসুমীর পরিবারের সম্পর্ক ভালো ছিল না। ২০১৮ সালে অভিনেত্রী আদালতে পায়েলের আইনত অভিভাবক হওয়ার আবেদন জানান।
ছোট থেকেই ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ছিলেন পায়েল। মৃত্যুর আগে দুই বছর কোমায় ছিলেন তিনি। মৌসুমীর অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির তরফে ঠিক মতো খেয়াল রাখা হয়নি তার। ঠিকঠাক চিকিৎসাও হয়নি।
মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় এই বিষয়ে জানান, ‘পায়েলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন তার ছোট মেয়ে মেঘা চট্টোপাধ্যায় এবং তার স্বামীকেও নানা ভাবে অপমান করত।’
পায়েলের মৃত্যুর পর দুই পরিবারের মধ্যে প্রচুর জলঘোলা হয়। সন্তান হারানোর যন্ত্রণা আজও প্রতি মুহূর্তে দগ্ধ করে অভিনেত্রীকে।
আইএ/ ১১ মে ২০২৫