চট্টগ্রামে বিএনপির ‘তারুণ্যের সমাবেশ’ ঘিরে চরম বিশৃঙ্খলা এবং সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে এবং সংবাদমাধ্যমে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। আয়োজনে শৃঙ্খলার অভাব, নেতাদের জন্য নির্ধারিত আসন ভেঙে পড়া, এবং সংবাদকর্মীদের হেনস্তার ঘটনায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা।
সমাবেশের মঞ্চের সামনে চট্টগ্রাম বিভাগের বিএনপি ও কেন্দ্রীয় নেতাদের জন্য নির্ধারিত আসন রাখা হলেও মিছিলকারীদের চাপে তা ভেঙে পড়ে। ফলে চেয়ার সরিয়ে ফেলতে হয় এবং নেতাদের দাঁড়িয়ে বক্তব্য শুনতে হয়। কুমিল্লা ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন জেলা থেকে আসা মহিলা দলের নেত্রীরাও নিরাপত্তাহীনতায় সমাবেশ মাঝপথে ত্যাগ করেন।
একাধিক সিনিয়র নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, “শৃঙ্খলার ঘাটতি ছিল, তবে তা নেতাদের প্রতি অবমাননা নয়, বরং সাংগঠনিক ত্রুটির ফল।”
সমাবেশ চলাকালীন মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা মঞ্চের এক কোণ থেকে লাইভ সম্প্রচার ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করছিলেন। এ সময় ওয়াকিটকি হাতে মঞ্চে উপস্থিত হয়ে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি এবং খুলশী থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক রায়হান আলম সাংবাদিকদের উদ্দেশে রূঢ় ভাষায় মঞ্চ ছাড়ার নির্দেশ দেন এবং একাধিক সংবাদকর্মীকে শারীরিকভাবে ধাক্কা দিয়ে নামিয়ে দেন।
দেশ রূপান্তর, বাংলানিউজ২৪, কালবেলা, আজকের পত্রিকা, কালের কণ্ঠ, বাংলাদেশ টাইমস, দৈনিক জনবানী, যায়যায়দিন ও সিটিজি নিউজসহ একাধিক গণমাধ্যমের ফটো ও মাল্টিমিডিয়া সাংবাদিকরা অভিযোগ করেন, ছবি ও ভিডিও সংগ্রহে বাধা দেওয়া হয়েছে।
এ ঘটনায় মাল্টিমিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম এক প্রতিবাদ বিবৃতিতে বলেছে—
“এই আচরণ সাংবাদিকতার প্রতি সরাসরি অশ্রদ্ধা। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। সমাবেশে দায়িত্ব পালনরত সাংবাদিকদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার ও শারীরিক হেনস্তা করা হয়েছে, যা ছিল চরম অপেশাদার এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতার পরিপন্থী।
আমরা ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করছি এবং দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছি।”
এসসি/সিটিজিনিউজ