সাহাবিরা কুয়া থেকে পানি তুলে দেখেন যে এর পানি অত্যন্ত লবণাক্ত ও বিষাক্ত। পিপাসায় কাতর সাহাবিরা মহানবী (সা.)-এর কাছে এই সমস্যার কথা জানান। তখন রাসুল (সা.) কুয়ার পাশে একটি পাথরের ওপর বসে আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন এবং তাঁর পবিত্র থুতু কুয়ার পানিতে ফেলেন। আল্লাহর অশেষ করুণায় কুয়ার পানি সুপেয় ও সুমিষ্ট পানিতে পরিণত হয়।
কুয়ার পানি পান করার পর সাহাবিরা তাঁদের পিপাসা মেটান এবং অসুস্থ সাহাবিরা সুস্থতা লাভ করেন। এর পর থেকে এই কুয়া ‘শিফা’ বা আরোগ্যের প্রতীক হিসেবে পরিচিতি পায়। আজও অনেকে রোগমুক্তির আশায় কুয়ার পানি সংগ্রহ করেন। মদিনা থেকে দূরত্বের কারণে এটি একটি নির্জন ও শান্ত এলাকা। দর্শনার্থীরা এই কুয়ার পানি সংগ্রহ করে তা বোতলে ভরে দেশে নিয়ে যান। ফলে এই কুয়ার পানি পান করে তাঁরা শুধু পিপাসা মেটায় না, বরং তাঁদের মধ্যে আধ্যাত্মিক শান্তি ও প্রশান্তিও অনুভব করেন।