মোঃ আলী ছোবান ,নেত্রকোনা প্রতিনিধি :
নেত্রকোনার দুর্গাপুরে কুলুঞ্জা গ্রামের মোটরসাইকেল চালক শফিকুল ইসলাম হত্যারহস্য উদ্ঘাটন হয়েছে। মোটরসাইকেল ছিনতাই করতে গিয়ে ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার গোপীনাথপুর গ্রামের বখাটে জয়তুল এলায়িত ওরফে আশিক (২৪) এক সহযোগী নিয়ে শফিকুলকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে। মঙ্গলবার নেত্রকোনা সিআইডি কার্যালয়ে সহকারী পুলিশ সুপার অরিত সরকার সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি জানান।
সিআইডি পুলিশের এসআই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. শাহজাহান জানান, জেলার দুর্গাপুরের কুলুঞ্জা গ্রামের মিরাস উদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম ভাড়ায় মোটরসাইকেল চালিয়ে সংসার চালাতেন। গত ২০১৮ সালের ১১ ডিসেম্বর রাতে দুর্বত্তরা দুর্গাপুর যাবার কথা বলে মোটরসাইকেলে উঠে। পরে দুর্গাপুরের কাকৈরগড়া গ্রামের নির্জন স্থানে নিয়ে তাকে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাতে হত্যা করে মোটরসাইকেলটি নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পরদিন নিহতের স্ত্রী হাসিনা বেগম বাদী হয়ে দুর্গাপুর থানায় অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।
দীর্ঘদিন পুলিশ এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারিনি। পরে গত ২০১৯ সালের ১০জুন মামলাটি সিআইডির কাছে হস্তান্তর করা হয়। সিআইডি পুলিশ মোবাইল ট্রেকিংয়ের মাধ্যমে হত্যাকান্ডের দুই বছর পর গত ২২ সেপ্টেম্বর জেলার পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ থেকে আশিককে গ্রেপ্তার করে। তার দেয়া জবানবন্দী গ্রহন করে মোটরসাইকেল উদ্ধারের জন্য ওইদিন রাত ৩টার দিকে আশিককে পূর্বধলার জারিয়ায় নিয়ে যায় সিআইডি পুলিশ।
সেখান থেকে কৌশলে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যায় আশিক। এ ঘটনায় সিআইডি পুলিশ বাদী হয়ে আশিকের বিরুদ্ধে পূর্বধলা থানায় পৃথক দুটি মামলা করে। শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে পুলিশ ও সিআইডি যৌথ অভিযান চালিয়ে উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ওটি গ্রাম থেকে আশিককে ফের গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে আদালতে হাজির করলে ১৬৪ ধারায় জবানবন্ধী প্রদান করে।
বিজ্ঞ বিচারক আশিককে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। নেত্রকোনা সিআইডির সহকারী পুলিশ সুপার অরিত সরকার বলেন, মোটরসাইকেল ছিনতাইয়ের জন্য আশিক এক সহযোগী নিয়ে শফিকুল ইসলামকে হত্যা করেছে। তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে হত্যাকান্ডের ব্যাপারে আদালতে স্বাকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। তার সহযোগীকে গ্রেপ্তারের জন্য চেষ্টা চালানো হচ্ছে।