
দিনাজপুর সংবাদাতাঃ বিরলে জমি-জমার বিরোধকে কেন্দ্র করে বাড়ী ফেরার পথে বীরমুক্তিযোদ্ধার উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলায় পিতা-পুত্র মারাত্মক আহত হয়েছে। আহত পিতা-পুত্র দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শয্যাসায়ী অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হয়েছে। ঘটনার সাথে জড়িত একজন আসামীকে আটক করে পুলিশ আদালতে পাঠিয়েছে।
মামলার এজাহারে বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী জানান, উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের কামদেবপুর গ্রামের মৃত সিরাজুল ইসলামের ছেলে কামরুজ্জামান (৪২), নুরুজ্জামান (৩৮), জিয়ারুল ইসলাম (৩৪), হেমায়েত উল্লাহ (২৬), মৃত হাসান আলীর ছেলে নাজিম উদ্দিন (৫৫), সাগির আলীর ছেলে মামুন (২২), মাসুদ (৩২), একই ইউনিয়নের বনগাঁও এর আবদুর রশিদ এর ছেলে ফরিদুল ইসলাম (৩০), মজিবর রহমান এর ছেলে ইউসুফ আলী (২৫), মৃত মন্টু মিয়া এর ছেলে শামীম হোসেন (২৫)সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৫/৬ জন বনগাঁও মৌজার ২১৭৬ ও ২১৭৮ নং দাগের ৮৩ শতক জমি থেকে উচ্ছেদের অপচেষ্টায় লিপ্ত থেকে খুন-জখমের হুমকি-ধামকী দেয়ায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারি/২১ তারিখে বিরল থানায় ৮১১ নং সাধারণ ডায়েরী ভূক্ত করেন।
আদালতের রায়ে ভোগদখলে থাকা জমি থেকে বার বার উচ্ছেদের অপচেষ্টা করেও ব্যর্থ হওয়ায় উল্লিখিত লোকজন ২০ আগস্ট/২১ শুক্রবার রাত আনুমানিক পৌণে ৯ টায় কামদেবপুর বালুপাড়াস্থ ইসমাঈল মাষ্টারের ধানভাঙ্গা মিলের সামনে বে-আইনী জনতায় দলবদ্ধ হয়ে ধারালো ছোরা, লোহার রড ও লাঠি-সোডা ইত্যাদী অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জোড়পূর্বক বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী এবং তাঁর ছেলে লতিফুর এর মোটরসাইকেল গতিরোধ করে। নাজিম উদ্দিনের নির্দেশে সকলে মোটরসাইকেল হতে পিতা-পুত্রকে টেনে হেঁচড়ে নামিয়ে এলোপাথারীভাবে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় মারপিট শুরু করে। এ সময় মারপিটে পিতা ও পুত্র রক্তাক্ত জখম হয় এবং নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয় হামলাকারীরা।
আহতদের চিৎকারে পথচারীরা এগিয়ে এলে, আজকে বেঁচে গেলেও ভবিষ্যতে সুযোগমত একলা পাইলে বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান আলীর পুরো পরিবারকে খুন করার হুমকি প্রদান করে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পথচারীদের সহায়তায় পরিবারের লোকজন সংবাদ পেয়ে আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় উন্নত চিকিৎসার জন্য দিনাজপুর এম আবদুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। পরদিন বীরমুক্তিযোদ্ধা হাসান আলী উল্লিখিত ১০জনসহ অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় ১৮ নং মামলা দায়ের করে।
থানা পুলিশ মামলার ০১ নং আসামি মোঃ কামরুজ্জামানকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করে। ২২ আগস্ট রোববার আদালত থেকে কামরুজ্জামান জামিনে বের হয়ে আবারো অব্যাহত হুমকি দেয়ায় বাদীসহ পরিবার চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছে বলে জানিয়েছে। হামলার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনুগ ব্যবস্থা ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ভূক্তভোগী ও তাঁর পরিবার।
মন্তব্য লিখুন (ফেসবুকে লগ-ইন থাকতে হবে)