১৯৯৯ থেকে ২০০১ সালের মধ্যে বয়স্ক শিক্ষা কর্মসূচির আওতায় যেসব এলাকায় বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি, সেখানে রাতের বেলায় ক্লাস নিতে হ্যাছাক লাইট ব্যবহার করা হতো। এর শক্ত আলোয় শিক্ষার্থীরা অক্ষর চিনতে শিখেছে, জ্ঞানের আলোয় আলোকিত হয়েছে অনেকেই।
চোখে না পড়লেও এমন অনেক স্মৃতি এখনো জীবিত কারো কারো সংগ্রহে। কুয়াশা ধরা এক স্মৃতির মতোই হয়তো পড়ে আছে কোনো অফিসের এক কোণে। ঠিক যেমনটা আছে কাজী হাফিজুর রহমানের সংগ্রহে থাকা একমাত্র হ্যাছাক লাইটটি। একসময় ২৫টি লাইট থাকলেও সময়ের স্রোতে হারিয়ে গেছে প্রায় সব।
এই হ্যাছাক লাইট শুধু একটি লাইট নয়—এটা এক সময়ের সাক্ষী, যুগের প্রতিচ্ছবি।
হ্যাছাক লাইটের ইতিহাস:
হ্যাছাক লাইটের উৎপত্তি ব্রিটিশ আমলে। ইংরেজিতে একে বলা হয় “Pressure Lamp” বা “Petromax Lamp”। এটি কেরোসিন ও বাতাসের চাপে জ্বলে ওঠে এবং বিদ্যুৎবিহীন এলাকাগুলোতে বেশ কার্যকরী আলো দিতো। একসময় শহরাঞ্চলেও এটি ব্যবহার হতো ছোটখাটো দোকান বা মিলনায়তনে।
বর্তমান অবস্থান:
বর্তমানে হ্যাছাক লাইট প্রায় বিলুপ্ত। এলইডি লাইট, রিচার্জেবল ল্যাম্প ও সৌর শক্তিচালিত আলোর বিস্তারে এর প্রয়োজনীয়তা কমে গেছে।
তবে আমাদের স্মৃতির অ্যালবামে হ্যাছাক লাইট জ্বলতে থাকবে সেই সব দিনগুলোর মতোই, যেগুলো আর ফিরে আসে না।