মহসিন মোল্যা, বিশেষ প্রতিবেদক-
শ্রীপুর উপজেলার নাকোল ইউনিয়নের বরালিদাহ গ্রামের মুরগীর খামার থেকে সৃষ্ট মাছির অত্যাচার ও প্রকট দূর্গন্ধে অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে পড়েছেন। এলাকাবাসী মাছির অত্যাচার ও দূর্গন্ধের কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন। বিশেষ করে, শিশুরা মশারির ভেতরে খাওয়া-দাওয়া করছে মাছির যন্ত্রনায়। বাইরে খাওয়া-দাওয়া করতে পারছে না সাধারন মানুষ। যেখানেই যাচ্ছে সেখানেই মাছির উৎপাত। হাজারো মাছিতে ভরে গেছে ঐ গ্রাম। এমন এক পরিবেশ যেন বসতে গেলেও মাছি, খেতে গেলেও মাছি, শুতে গেলেও মাছির উপদ্রব। রেহাই মিলছে না শিশু থেকে শুরু করে সব বয়েসীদের। জনবহুল এলাকায় এমন একটি খামারের অনুমতি দেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের উদাসিতাকে দায়ী করছেন তারা।
স্থানীয়দের ভাষায়, মাছি যেন পুরো এলাকা দখলে নিয়েছে। মাছির এ অস্বস্তিকর পরিস্থিতির জন্য দায়ী হিসেবে এলাকাবাসী স্থানীয় মুরগীর খামারকে দায়ী করছেন। এক স্থানীয় ব্যবসায়ী তার খামারে হাজারো মুরগী পালন করছেন, যার ফলে মুরগীর বিষ্ঠা থেকে মাছি ছড়িয়ে পড়ছে গোটা গ্রামে। খামারের নিকটবর্তী বসতভিটার জন্য মাছির উপদ্রব এতই বেশি হয়ে গেছে যে, এলাকার বাসিন্দারা তাদের বসবাসে সমস্যা অনুভব করছেন। শিশুদের অসুখ-বিসুখ বেড়ে গেছে, যা এলাকার জন্য এক বড় উদ্বেগের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।

এলাকা্বাসীর অভিযোগ, শিক্ষার্থীরাও ঠিক মত পড়ালেখা করতে পারছেন না। সামনে এসএসসি পরীক্ষা তাই বেশি ভোগান্তি তাদের বলে জানান তারা।
এলাকাবাসী এ পরিস্থিতির সমাধানের জন্য মাগুরা জেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। অভিযোগে তারা দাবি করেছেন, খামারটির কারণে তাদের জীবনযাত্রা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে এবং দ্রুত এই সমস্যার সমাধান চাচ্ছেন তারা। মাগুরা প্রশাসন ইতোমধ্যে তদন্তে নেমেছে এবং তদন্তের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে নাকোল ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যানকে।
প্যানেল চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফা জানিয়েছেন, ঈদের ছুটি শেষে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন এবং বিষয়টি সমাধানের জন্য উদ্যোগ নেবেন।

এদিকে, খামারের মালিকপক্ষ রয়েল মিয়ার সাথে কথা বললে তিনি জানান, ইতিমধ্যে মাছি ও দূর্গন্ধ কমানোর জন্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছি। তার এই খামারের জন্য অনেক অর্থ বিনিয়োগ করা হয়েছে। তবে শিগগিরই এ সমস্যা সমাধানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তবে, স্থানীয়দের অভিযোগ, তাদের সমস্যার সমাধান এখনো কার্যকর হয়নি। এলাকার বাসিন্দাদের অসুবিধা কমানোর জন্য এই সমস্যা দ্রুত সমাধান করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। সেই সাথে স্থানীয় সরকারে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন এইসব ভুক্তভোগী পরিবারগুলো।
এ বিষয়ে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মিহির কান্তি বিশ্বাস জানান, খামারটি অনেক আগে থেকেই চালু রয়েছে। অনেক আগের বিষয় হওয়ায়, এ বিষয়ে আমি অবগত নই। খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে সরেজমিন পরিদর্শনের পর বিস্তারিত জানাতে পারবো।