বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) দলটির চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান মঞ্জু ও সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, এ ধরনের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ও উসকানিমূলক প্রবন্ধ নিষিদ্ধ করার দাবি জানাই।
বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, জয়দীপ মজুমদারের প্রবন্ধে প্রধানত পরিকল্পিতভাবে দুটি বিষয় নিয়ে লেখা হয়েছে। এক, ভারতের উত্তর পূর্বের ৭টি রাজ্য তথা সেভেন সিস্টারের ভৌগলিক অসুবিধাসমূহ। দুই, বাংলাদেশে হিন্দুরা অমানবিক অন্যায়, নির্যাতন ও বৈষম্যের স্বীকার হচ্ছে মর্মে নানা কল্পিত বানোয়াট তথ্য। এতে বাংলাদেশের ভৌগোলিক অখণ্ডতা খর্ব ও সার্বভৌমত্বের প্রতি অবমাননাকর উসকানিমূলক প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
নেতৃবৃন্দ তার এরকম অসত্য ও উস্কানিমূলক লেখার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, ভারতসহ বিশ্বাবাসীকে আমরা অত্যন্ত দৃঢ়তার সাথে জানাতে চাই, ভারত বাংলাদেশের প্রতিবেশী হিসেবে আমরা সুন্দর ও সুষ্ঠু পরিবেশে পরস্পর সমমর্যাদার নীতি মেনে বসবাস করতে চাই। এ প্রবন্ধ বাংলাদেশের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়ে ধর্মীয় সহিংসতার উসকানি সৃষ্টির অপচেষ্টা ছাড়া কিছুই নয়, এ লেখার মধ্য দিয়ে গণমাধ্যম নীতিমালাও চরমভাবে লংঘন করা হয়েছে বলে নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন।
তারা বলেন, এ ধরনের শিষ্টাচার বহির্ভূত লেখা দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক নষ্ট করারও একটা পরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
বিবৃতিতে বলা হয়, এবি পার্টি মনে করে দু একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বাংলাদেশে হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান যে ধর্মীয় সম্প্রীতি রয়েছে তা পৃথিবীতে বিরল। যখনই দেশের ভেতর ও বাইরে থেকে ষড়যন্ত্রকারী মহল সাম্প্রদায়িক বিভেদ তৈরির চেষ্টা করেছে তখনই বাংলাদেশের দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলসমূহ, সামাজিক সংগঠন তথা সকল জনগণ ঐক্যবদ্ধভাবে তা নস্যাৎ করে দিয়েছে। বাংলাদেশের কোন সম্প্রদায়ের লোকেরাই বিচ্ছিন্ন রাষ্ট্রের কথা কল্পনা করেনা, এটা লেখকের আড়ালে জয়দীপ মজুমদারদের মত সাম্প্রদায়িক নেতাদের ভোট বাগানোর হীন রাজনৈতিক কৌশল বৈ কিছু নয়।
ভারতের উত্তর পূর্বাঞ্চলের সেভেন সিস্টার খ্যাত ৭ রাজ্যের জনগণের প্রতি সংহতি জানিয়ে এবি পার্টি নেতৃবৃন্দ বলেন, প্রতিবেশীদের ভৌগলিক অসুবিধাসমূহ দুর করতে তাদের প্রতি সহযোগিতামূলক মনোভাব প্রদর্শনে বাংলাদেশের জনগণ সবসময়ই আগ্রহী। তারা ভারতের মানবতাবাদী, বিবেকবান জনগণকে জয়দীপ মজুমদারের হীন উদ্দেশ্য প্রণোদিত লিখা বর্জন ও উসকানিমূলক তৎপরতার বিরুদ্ধে ন্যয়সঙ্গত প্রতিবাদ জানানোর আহ্বান জানান। পাশাপাশি নেতৃবৃন্দ ভারত সরকারকে এ ধরনের জিঘাংসামূলক লেখা প্রকাশ ও প্রচার নিষিদ্ধেরও দাবি জানান।