বিশ্ব অর্থনীতি কতটা ‘অস্ত্রায়ণ’ সহ্য করতে পারে

বিশ্ব অর্থনীতি কতটা ‘অস্ত্রায়ণ’ সহ্য করতে পারে

 একইভাবে ১৯৮০-এর দশকে ডেভিড এ বল্ডউইন তাঁর গবেষণায় দেখান, নিষেধাজ্ঞা, অর্থনৈতিক সহায়তা বা বাণিজ্য–সুবিধা প্রদানও অনেক সময় সরাসরি সামরিক শক্তির মতো রাজনৈতিক চাপ প্রয়োগের হাতিয়ার হতে পারে। 

আরও পরে এসে গবেষক এডওয়ার্ড লুটওয়াক যুক্তি দেন, শীতল যুদ্ধের পর থেকে বিশ্ব শক্তিগুলোর মধ্যে সামরিক লড়াইয়ের চেয়ে অর্থনৈতিক প্রতিযোগিতাই প্রধান হয়ে উঠেছে। অনেকেই মনে করতেন, যদি দেশগুলোর মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক মজবুত হয়, তবে যুদ্ধ বা সংঘাত কমে যাবে। কিন্তু ২০০০ সালের পর থেকে এই ধারণার বিরোধিতা শুরু হয়। সমালোচকেরা বলেন, অর্থনৈতিক সম্পর্ক আসলে ক্ষমতার ভারসাম্যহীনতা সৃষ্টি করে এবং এতে নতুন ধরনের সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়। সহজভাবে বললে, দেশগুলোর মধ্যে পারস্পরিক নির্ভরশীলতা শুধু সহযোগিতা বাড়ায় না, বরং এটি একটি নিয়ন্ত্রণের হাতিয়ার হিসেবেও ব্যবহৃত হতে পারে।

বিশ্বরাজনীতিতে নীতিগুলো সব সময় তাত্ত্বিক ভিত্তির ওপর দাঁড়িয়ে থাকে। শীতল যুদ্ধের সময় অ্যালান পি ডবসন লক্ষ করেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি সামরিক সংঘাতের বদলে ‘অর্থনৈতিক যুদ্ধ’ চালিয়ে গেছে। তারা বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা, প্রযুক্তিগত সীমাবদ্ধতা ও আর্থিক নীতিগুলোকে কৌশলগত অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেছে। সুসান স্ট্রেঞ্জের কাঠামোগত ক্ষমতার তত্ত্ব অনুযায়ী, কোনো রাষ্ট্র যদি আন্তর্জাতিক অর্থনীতি, উৎপাদন বা প্রযুক্তিগত ব্যবস্থার ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে পারে, তবে সেই রাষ্ট্র অন্যদের জন্য শর্ত ঠিক করে দিতে পারে এবং এর ফলে সরাসরি বলপ্রয়োগের প্রয়োজনীয়তা কমে যায়। 

Explore More Districts