টিনেজারদের জন্য অ্যান্টি এজিং স্কিনকেয়ার

টিনেজারদের জন্য অ্যান্টি এজিং স্কিনকেয়ার

লাইফস্টাইল ডেস্ক : অনেকে আবার বলেন, অ্যান্টি এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন শুরু করা উচিত ৩০-৪০ বছর বয়সে। কিন্তু যত দ্রুত এটি শুরু করা যাবে, ততই ভালো হবে। আমাদের ত্বকের টেক্সচার ধরে রাখে কোলাজেন। ২০ বছরের পর থেকে এর প্রোডাকশন কমে যায়। ব্যক্তিভেদে এই সময় কম বা বেশি হতে পারে। তাই ২২-২৫ বছর বয়সের মধ্যে অ্যান্টি এজিং প্রোডাক্টগুলো স্কিন কেয়ার রুটিনে যোগ করা উচিত।

অ্যান্টি এজিং স্কিনকেয়ারঅ্যান্টি এজিং স্কিনকেয়ার

অনেকেই ভাবেন, বলিরেখা দেখা দিলে তখনই না হয় ক্রিম ইউজ করা শুরু করবো! এ ধারণাগুলোর কারণেই আসলে স্কিনের পিগমেন্টেশন, রিংকেলস, ফাইন লাইনস সহজে রিমুভ হয় না। তাই সময় থাকতেই সচেতন হওয়া জরুরি।

অনেকে আবার বলেন, অ্যান্টি এজিং স্কিন কেয়ার রুটিন শুরু করা উচিত ৩০-৪০ বছর বয়সে। কিন্তু যত দ্রুত এটি শুরু করা যাবে, ততই ভালো হবে। যারা একদমই নতুন তারা অ্যান্টি এজিং স্কিনকেয়ার রুটিনে এই ধাপগুলো ফলো করতে পারেন-

১) ক্লিনজিং

আমাদের ত্বকে জমে থাকা ঘাম কিংবা ডার্ট রিমুভ করার জন্য অবশ্যই ভালো মানের ক্লিনজার ইউজ করতে হবে। সঠিক প্রক্রিয়ায় ক্লিনজিং শেষে বাকি ধাপগুলো শুরু করতে হবে। এক্ষেত্রে ক্লিনজার বাছাই করার সময় খেয়াল রাখুন সেগুলোতে অ্যান্টি এজিং ইনগ্রেডিয়েন্টস যেমন- গ্রিন টি, অ্যালোভেরা, ভিটামিন সি, ভিটামিন ই-সহ অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান, হায়ালুরোনিক অ্যাসিড, গ্লিসারিন, নিয়াসিনামাইড ইত্যাদি আছে কিনা। এই উপাদানগুলো বয়রসর ছাপ পড়া কমিয়ে ত্বককে সুরক্ষা দেয়।

২) টোনিং

স্কিন কেয়ার রুটিনে টোনিং বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি ধাপ। অন্যান্য স্কিনকেয়ার প্রোডাক্ট যেন স্কিনে ভালোভাবে অ্যাবজর্ব হতে পারে সেজন্য ত্বককে প্রস্তুত করে টোনার। তাই টোনার অ্যাপ্লাই করতে ভুলবেন না।

৩) সিরাম অ্যাপ্লাই
বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিরাম পাওয়া যায়, এর মধ্যে এজিং প্রতিরোধকারী কিছু সিরাম রয়েছে। এই সিরামগুলো নিয়মিত ব্যবহার করা উচিত। যারা অ্যান্টি এজিং স্কিনকেয়ার শুরু করতে চাচ্ছেন তাদের জন্য ভিটামিন সি এবং রেটিনয়েড যুক্ত সিরাম উপকারী হবে।

অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ ভিটামিন সি এজিং সাইনস কমাতে বেশ উপকারী। এছাড়া এজিং রোধ করতে অনেক বেশি কার্যকর রেটিনয়েড। এটি ত্বকের কোলাজেন বৃদ্ধি করে এবং স্কিনের রিংকেলস কমায়। তবে অনেকের রেটিনয়েড ব্যবহারে ত্বকে জ্বালাপোড়া দেখা দেয়। তাই রেটিনয়েড ব্যবহার করার আগে ভালো করে লেবেল পড়ে নিবেন এবং ব্যবহারের পূর্বে অবশ্যই প্যাচ টেস্ট করে নিবেন।

ঈদে যেভাবে মিলতে পারে ১১ দিনের ছুটি

তবে রেটিনয়েড প্রতিদিন ব্যবহার না করে, ধীরে ধীরে এর ডোজ বাড়াতে পারেন। যেমন- প্রথম সপ্তাহে একবার, দ্বিতীয় সপ্তাহে দুইবার, তৃতীয় সপ্তাহে তিনবার। এভাবে ধীরে ধীরে রেটিনয়েডের ডোজ বাড়াতে পারেন। এতে আস্তে আস্তে আপনার স্কিন এই সিরামে অভ্যস্ত হয়ে পড়বে। ভালো ফলাফলের জন্য রেটিনয়েড রাতে ব্যবহার করা উচিত। পরের দিন সূর্যের আলোয় যাওয়ার আগে অবশ্যই সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে।

৪) ময়েশ্চারাইজিং

বয়সের সঙ্গে সঙ্গে আমাদের ত্বকের ন্যাচারাল সিবাম প্রোডাকশন কমে যায়। যার কারণে ত্বক রুক্ষ হতে থাকে। এ সমস্যা দূর করতে কোলাজেন ও ইলাস্টিন সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার।

Explore More Districts