১০ March ২০২৫ Monday ৭:৩৯:৪৫ PM | ![]() ![]() ![]() ![]() |
মুলাদী ((বরিশাল) প্রতিনিধি:

ভেকুবোঝাই পন্টুন ডাকাতির চেষ্টাকালে বরিশালের মুলাদীর জয়ন্তী নদী থেকে ৫ ডাকাতকে আটক করে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেছে গ্রামবাসী। এরমধ্যে একজন বরিশাল নগরে ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা রয়েছেন।
আটক ডাকাতদের কাছ থেকে একটি ভেকু ও পন্টুন, একটি শর্টগান, একটি চায়নিজ রাইফেল, কাতুর্জ ১৭টি, রাইফেলের গুলি পাঁচটি, রিভলবারের গুলি ১৬টি, ম্যাগাজিন দুইটি, গজারি কাঠের লাঠি তিনটি, একটি হকিস্টিক, রামদা দুইটি ও ছুরি দুইটি উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১০ মার্চ) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন বরিশালের নাজিরপুর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম।
এর আগে সকালে মুলাদী উপজেলার চরকালেখান ইউনিয়নের বানীমর্দন এলাকা থেকে ওই ৫ ডাকাতকে আটক করা হয়।
আটকরা হলেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) ২৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাশিপুরের বাসিন্দা আজাহার মুন্সির ছেলে ও ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা মহিউদ্দীন ওরফে রাইফেল মহিউদ্দীন (৩৮), নগরীর ১০ নম্বর ওয়ার্ডের বাবুল হাওলাদারের ছেলে হাবিব (২৩), বরিশালের গৌরনদীর সরিকল ইউনিয়নের ইদ্রিস ফকির (৫৫), বাবুগঞ্জ উপজেলার জাহাঙ্গির নগর ইউনিয়নের চরফতেহপুর গ্রামের মৃত মালেক আকনের ছেলে ফিরোজ আকন (৪২) এবং আগরপুর ইউনিয়নের নতুন চরজাহাপুর গ্রামের ফরিদ বেপারীর ছেলে সায়েম বেপারী (২২)। এর মধ্যে মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদকসহ বিভিন্ন অপরাধে অন্তত এক ডজন মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
মুলাদীর নৌ-পুলিশ পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম বলেন, ৮ মার্চ বিকেলে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে বাবুগঞ্জ উপজেলার কেদারপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নূরে আলমের ইটভাটা থেকে পন্টুন ও ভেকু ডাকাতি হয়। ওই ভেকু ও পন্টুন জয়ন্তী নদীর মাদারীপুরের কালিকিনি উপজেলার নুর মোহাম্মদ মোল্লার ইটভাটায় এলাকায় নিয়ে রাখে। পরে ডাকাতি করা ভেকু ও পন্টুনসহ দুটি ট্রলারযোগে ২০-২২ ডাকাত বাবুগঞ্জের দিকে পালাচ্ছিল। এ সময় স্থানীয়রা ধাওয়া দিয়ে ৫ জনকে আটক করেছে।
এ বিষয়ে মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহিরুল আলম বলেন, সকাল নৌ-পুলিশ ও থানা পুলিশের সদস্যরা ওই ৫ ডাকাতকে কিছু অস্ত্রসহ আটক করে। পরে তাদের দেওয়া তথ্যানুযায়ী গোটা দিন চরকালেখান এলাকায় পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে আরও কিছু অস্ত্র উদ্ধার করে। এর মধ্যে ২টি দেশীয় পিস্তল, ম্যাগাজিন, ৩৭ রাউন্ড গুলি ও বেশ কিছু রামদা, চাপাতি, ড্যাগার রয়েছে।
এ ঘটনায় পুলিশ ও ভেকু মালিক বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে বলেও জানান পুলিশের ওই কর্মকর্তা।
সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক
শেয়ার করতে ক্লিক করুন: | Tweet |