যবিপ্রবির ৮ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

যবিপ্রবির ৮ শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

just logo

যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে শাহরীন রহমান নামের এক শিক্ষার্থীকে মারপিটের মামলায় আর শিক্ষার্থীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষে আদালতে এচার্জশিট জমা দিয়েছেন তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই এজাজুল হক।

অভিযুক্ত আসামিরা হল, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) ছাত্র মণিরামপুর রামনাথপুর গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে সোহেল রানা, ঝিনাইদহ মহেশপুরের হুদাদূর্গাপুর গ্রামের মোশাররেফ হোসেনের ছেলে ইছাদ হোসেন, মনিকগঞ্জ সদরের সাহারাইল গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে শাহিনুর ইসলাম, টাঙ্গাইল ঘাটাইলের ফতেরপাড়া গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে আমিনুল ইসলাম, কুষ্টিয়া ভেড়ামারার গোসাইলপাড়া গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের ছেলে বেলাল হোসেন, কুড়িগ্রাম চিলমারির মৌজাখান গ্রামের মন্ডলপাড়ার আমিন শেখের ছেলে বিপুল শেখ ও নাটোর বাগতিপাড়ীর নওপাড়ার সুজাত আলীর ছেলে আশিকুজ্জামান।

মামলার অভিযোগে জানা গেছে, শাহরীন রহমান যবিপ্রবির ফিজিক্যাল এ্যাডুকেশন এন্ড স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র। ২০২৪ সালের ৩ জুন বিকেলে শাহরীনসহ কয়েজন শিক্ষার্থী বিশ^বিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মাঠে ফুটবল খেলছিল । খেলাকে কেন্দ্র করে দুইজন সিনিয়রের মধ্যে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে একজন আরেকজনকে ঘুসি মারে।

মারামারি হওয়ায় খেলা বন্দ হয়ে যায়। খেলা শেষে আমরা কয়েকজন বন্ধু কদমতলায় বসে বিশ্রাম নিচ্ছিলাম। এসময় আসামি শাহিনুর ইসলাম এসে শাহরীনকে মারপিট করে জখম করে। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আসামিরা ৫ জুন গভীর রাতে শাহরীনকে তার কক্ষ থেকে ধরে নিয়ে আসামি হোসেল রানার রুমে নিয়ে আটকে রাখে।

এরপর আসামিরা রুমের দরজা বন্দ করে মারপিট করলে শাহরীন জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। একপর্যায়ে আসামিরা শাহরীনকে রুমের বাইরে ফেলে রেখে চলে যায়। পরে তাকে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। শাহরীন রহমান কিছুটা সুস্থ্য হয়ে কোতয়ালি থানায় একটি মামলা করেন

Explore More Districts