শেবামেকে কমপ্লিট শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে সুনসান নীরবতা

শেবামেকে কমপ্লিট শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে সুনসান নীরবতা

১৮ February ২০২৫ Tuesday ৫:৫৩:৩৭ PM

Print this E-mail this


নগর প্রতিনিধি:

শেবামেকে কমপ্লিট শাটডাউনের দ্বিতীয় দিনে সুনসান নীরবতা

বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজে (শেবামেক) শিক্ষার্থীদের ডাকা কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির দ্বিতীয় দিন চলছে। ফলে মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে কলেজের অ্যাকাডেমিক ভবনসহ ক্যাম্পাসে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছে। 

শিক্ষার্থীরা জানিয়েছে, কলেজে চলমান শিক্ষক সংকট নিরসনের দাবি না মানা পর্যন্ত তাদের এ আন্দোলন চলবে। আর কলেজ প্রশাসন বলছে, তারা বিষয়টি মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছেন, তারা উদ্যোগ না নিলে মেডিকেল কলেজের শূন্য পদে শিক্ষক পদায়ন সম্ভব নয়। 

এদিকে মঙ্গলবার দুপুর ১২টায় কলেজের ছাত্র শাখার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন,  সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে কমপ্লিট শাটডাউন ঘোষণা করেন। এরপর থেকেই মূলত কলেজের প্রশাসনিক ও ছাত্র শাখার কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে। আর মঙ্গলবারও কলেজের প্রধান দুটি গেট তালাবদ্ধ রয়েছে এবং গেট দুটিতে শাটডাউন লেখা ব্যানার সাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যথাসময়ে কর্মস্থলে এলেও তারা কোনো কার্যক্রমই পরিচালনা করতে পারেননি। এমনকি গোটা ক্যাম্পাসে সকাল থেকে কোনো শিক্ষার্থীকেও অ্যাকাডেমিক কাজে আসতে দেখা যায়নি। 

কলেজের প্রশাসনিক শাখা জানিয়েছে, কলেজে শিক্ষকদের ৩৩৪টি পদের মধ্যে ১৪৬টি পদে শিক্ষক রয়েছে। বাকি ১৮৮ পদ শূন্য রয়েছে। 

শিক্ষার্থীরা জানান, দেশের অন্যতম প্রধান চিকিৎসা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হিসেবে শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করলেও বর্তমানে শিক্ষক সংকটের কারণে শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা উভয় ক্ষেত্রেই বড় চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হচ্ছে। বর্তমানে কলেজে প্রয়োজনীয় সংখ্যক শিক্ষক না থাকায় অ্যাকাডেমিক কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটছে। বিশেষ করে মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি, ফিজিওলজি, সিসিইউ, গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজি  ডিপার্টমেন্টসহ ডেন্টাল ইউনিটেরও অধিকাংশ ডিপার্টমেন্টে শিক্ষক সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে। এতে মেডিকেল শিক্ষার্থীরা মানসম্মত ক্লাস ও প্রশিক্ষণ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে, যা ভবিষ্যতে চিকিৎসা ব্যবস্থার ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করেন শিক্ষার্থীরা। 

শিক্ষার্থীরা বলছেন, অনতিবিলম্বে মেডিকেল কলেজের সব ডিপার্টমেন্টে শূন্য পদগুলোতে শিক্ষক পদায়ন করার পাশাপাশি অবিলম্বে কমিউনিটি মেডিসিন, মাইক্রোবায়োলজি, প্যাথলজি ও অন্যান্য ডিপার্টমেন্টের বদলিকৃত শিক্ষকদের তাদের স্ব-পদে পুনরায় পদায়ন করতে হবে এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ব্যাপারে প্রজ্ঞাপন জারি করতে হবে। 

শিক্ষক সংকটের কথা শিকার করে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ফয়জুল বাশার বলেন, শিক্ষার্থীদের এ দাবি যৌক্তিক এবং তাদের দাবি-দাওয়াগুলো নিয়ে মন্ত্রণালয়ে কথা বলেছি। দ্রুত সমস্যা সমাধান করার চেষ্টা চলছে।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts