বাঘায় বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মারামারি, আহত ৭

বাঘায় বিদ্যালয়ের সভাপতি পদ নিয়ে বিএনপির দুই পক্ষের মারামারি, আহত ৭

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মাকসুদুল হক জানান, গুরুতর আহত মানিক হোসেন ও রফিকুল ইসলামকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

ফোন বন্ধ থাকায় আবু সাইদ চাঁদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তাঁর অনুসারী বাউসা ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন বলেন, তাঁরা ওয়ালিউর রহমানের পক্ষে সভাপতির পদে আবেদনপত্র জমা দিতে যান। মোটরসাইকেল নিয়ে কিছু লোক বিদ্যালয় মাঠে নামতেই আনোয়ার হোসেন পলাশের পক্ষের লোকজন তাদের ওপর হামলা করে। তাদের সঙ্গে থাকা আরও লোকজন একত্র হয়ে পাল্টা আক্রমণ করলে সংঘর্ষ বাধে। নাসির উদ্দিন বলেন, প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে তাঁদের লোকজন নিয়ে চলে আসেন। তবে বিদ্যালয়ের চেয়ার, মাউথপিস ও কি–বোর্ড ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।

এ বিষয়ে আনোয়ার হোসেন পলাশ বলেন, একই দল করলেও আবু সাইদ চাঁদের অনুসারীরা প্রভাব বিস্তার করে উপজেলার বাউসা ইউনিয়নের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে নিজেদের লোককে সভাপতি করার জন্য আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। একইভাবে তাঁর বাবার প্রতিষ্ঠিত বিদ্যালয়েও প্রভাব বিস্তার করে ওয়ালিউর রহমানকে সভাপতি করার জন্য তাঁর পক্ষে আবেদন জমা দিতে আসে। তাদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণের কারণে সংঘর্ষ বেধেছে।

প্রধান শিক্ষক আজিবর রহমান বলেন, তিনি উপজেলা সদরে মিটিংয়ে ছিলেন। এর কারণে বিদ্যালয়ে ছিলেন না। পরে শিক্ষকের মাধ্যমে চেয়ার, মাউথপিস, কি–বোর্ড ভাঙচুরের বিষয়টি জেনেছেন।

বাঘা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ ফ ম আশাদুজ্জামান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেছে। ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Explore More Districts