ফ্রি ফায়ার খেলতে গিয়ে প্রেম, স্বর্ণালঙ্কার-নগদ অর্থ খোয়াল কিশোরী

ফ্রি ফায়ার খেলতে গিয়ে প্রেম, স্বর্ণালঙ্কার-নগদ অর্থ খোয়াল কিশোরী

১৩ December ২০২৪ Friday ৭:২৪:১৯ PM

Print this E-mail this


নগর প্রতিনিধি:

ফ্রি ফায়ার খেলতে গিয়ে প্রেম, স্বর্ণালঙ্কার-নগদ অর্থ খোয়াল কিশোরী

অনলাইনে ফ্রি ফায়ার গেম খেলার সূত্র ধরে পরিচয়। পরিচয় থেকে প্রেম। শেষে ১৭ বছরের এক কিশোরীর কাছ থেকে বিপুল পরিমাণে স্বর্ণ ও নগদ অর্থ হাতিয়ে নেয় প্রতারক চক্র। 

এরইমধ্যে এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বরিশাল মেট্রোপলিটনের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশ। পাশাপাশি কিছু স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থও উদ্ধার করা হয়েছে। 

শুক্রবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি জানানো হয়। 

সংবাদ সম্মেলনে উপ-পুলিশ কমিশনার রুনা লায়লা জানান, ১২ ডিসেম্বর ১৭ বছরের এক কিশোরী ঢাকা মহানগর পুলিশের লালবাগ থানায় একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের বিরুদ্ধে অপহরণ, স্বর্ণালঙ্কার, নগদ অর্থ আত্মসাতের ঘটনার একটি অভিযোগ দায়ের করেন।  

অভিযোগের বিষয়টি বিস্তারিত জানার পর লালবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ভুক্তভোগীর পরিবারকে বরিশাল মহানগরের এয়ারপোর্ট থানা পুলিশের কাছে পাঠান। পাশাপাশি লালবাগ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) এয়ারপোর্ট থানা পুলিশকে বিষয়টি সম্পর্কেও জানান। 

এয়ারপোর্ট থানায় বসবাসরত মো. নাফিজুর রহমান নামে এক তরুণ আনুমানিক দেড় মাস আগে অনলাইন গেম ফ্রি ফায়ার খেলার মাধ্যমে ওই কিশোরীর সঙ্গে পরিচিত হন এবং তার সঙ্গে গভীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। 

পরে গত ১০ ডিসেম্বর ওই কিশোরীর কাছ থেকে ২১ ভরি দুই আনা স্বর্ণালঙ্কার এবং নগদ ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়ে অজ্ঞাত স্থানে পালিয়ে যান নাফিজুর। এ ছাড়া এর আগে নগদ ও বিকাশ অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ওই কিশোরীর কাছ থেকে আরও ৩৬ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন তিনি। 

উপ-পুলিশ কমিশনার বলেন, ভুক্তভোগীর এমন অভিযোগের প্রাথমিক প্রযুক্তিগত সত্যতা পেলে লালবাগ থানা পুলিশ একটি মামলা দায়ের করে এবং সেই মামলার কপি ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এয়ারপোর্ট থানায় পাঠায়। 

এর পরিপ্রেক্ষিতে এয়ারপোর্ট থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সনজীত চন্দ্র নাথের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রহমতপুর এলাকায় গত রাতে অভিযান চালায়। 

তিনি বলেন, অভিযানে প্রতারক চক্রের প্রধান সদস্য ও মামলার প্রধান আসামি এয়ারপোর্ট থানার পশ্চিম পাংশা এলাকার মিজানুর রহমানের ছেলে মো. নাফিজুর রহমান (২২) ও তার সহযোগী গোপালগঞ্জ জেলার কোটালীপাড়া থানার রাধাগঞ্জ এলাকার শামিউল আলমের ছেলে শফিউল আলম প্রিন্সকে (২৩) গ্রেপ্তার করা হয়। 

গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের হেফাজতে থাকা বিশেষ কায়দায় লুকানো অবস্থা থেকে ১১ ভরি এক আনা দুই রতি স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৭১০ টাকা ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। 

তিনি বলেন, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা লালবাগ থানার এসআই অপু মিত্র আসামিদের নিয়ে যাওয়ার জন্য এসেছেন, নিয়মানুযায়ী গ্রেপ্তারদের লালবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts