নরুন্দিতে জমি বিরোধের জের ধরে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি বেদখলের চেষ্টা – দৈনিক আজকের জামালপুর

নরুন্দিতে জমি বিরোধের জের ধরে পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমি বেদখলের চেষ্টা – দৈনিক আজকের জামালপুর

স্টাফ রিপোর্টার : জামালপুর সদর নরুন্দি পশ্চিম কোচনধরা গ্রামে খুশি খাতুন, পিতা-মৃত সফর উদ্দিন এর পৈত্রিক সূত্রেপ্রাপ্ত জমি বেদখলের চেষ্টায় খুশি খাতুন বাদী হয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একই গ্রামের মোঃ ইব্রাহীম খলিল সোহাগ, পিতামৃত সফর উদ্দিন, মোছাঃ তানিয়া বেগম, মোঃ শফিল মিয়া, পিতা মোঃ কুদ্দুছ, মোঃ হরমুল আলী, পিতা নায়েব আলী মন্ডল, মোঃ জয়েন উদ্দিন, মোঃ লোকমান, মোঃ কদ্দুছ মিয়া, পিতা-নাছির, সর্বসাং-পশ্চিম কোচনধরা। এরা সংঘবদ্ধ ভাবে মোছাঃ খুশি খাতুন, বিধবা আন্না বেগমের জমি জমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে দীর্ঘদিন থেকে। এ জমি সংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে মোঃ ইব্রাহীম খলিল গংরা দির্ঘদিন খেকে খুশি খাতুন, আন্না বেগম ও তাদের পরিবারের উপর নানাভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে। অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ২০২২ সালে আন্না বেগম বাদী হয়ে জামালপুর সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করে যার নং-৯৪৪। যা ছিল বাড়ীঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাটের ঘটনা। ইব্রাহীম খলিল সোহাগ মোছাঃ খুশি খাতুনের সহদোর ভাই এরা এক ভাই, পাঁচ বোন। ইব্রাহীম খলিল একমাত্র ভাই বলে মা, বোনদের তোয়াক্কা না করে দিন রাত যা ইচ্ছে তা করে যাচ্ছে। এবং জুয়া খেলাসহ নানা অনৈতিক কাজে জড়িত ইব্রাহীম খলিল। তার এ সমস্ত অনৈতিক কাজে বাধা দিতে গেলে অত্যাচার শুরু করে মা, বোনদের উপর। জমি-জমা বিক্রি করে তার জুয়াখোলার ঋণ পরিশোধ করতে বাধ্য হয় তার পরিবার। তাদের পিতা রেখে যাওয়া জমি থেকে মা বোনদের বঞ্চিত করার লক্ষে এলাকার কিছু সংখ্যক লোকদের সহায়তা নিয়ে তার বোন মোছাঃ খুশি খাতুন ও বিধবা মায়ের উপর অথ্যচার, নির্যাতন করে যাচ্ছে দিনের পর দিন। এ ঘটনায় এলাকাবাসীকে জানানো হলে শালিশ বৈঠক করে। শালিশ দরবারে কোন সুরাহা না পেয়ে আন্না বেগম বাদী হয়ে কোর্টে আরেকটি মামলা করে যার মামলা নং-১০৫১/২২। কোর্ট গ্রামীন আদালতে মোকাদ্দমাটি প্রেরণ করলেও এতেও কোন কাজ হয়নি। ইব্রাহীম খলিলের উপর বিভিন্ন অভিযোগ থাকলে থানা পুলিশ কোন কার্যক্রর ভূমিকা রাখেনি। বর্তমানে উল্লেখ্য বিবাদীগংদের হুমকি ধমকিতে আমরা নিরাপত্তাহীনতায় আছি। পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত তফশীল জমির মৌজা শ্রীবাড়ী মধ্যে বিআরএস ১৯৫, ২০২, ২২৬, ৪১৩, ৪১৬,, খঃ নং-৩৮, ৩৯, ৫১, ৭০, ৭১, ৭২, দাগে ১ একর। মৌজা পশ্চিম কোচনধরা, জমি-৮৫ শতাংশ, মৌজা তারগঞ্জ, জমির পরিমান ১ একর ৫০ শতাংশ। সর্বমোট জমি ২.৭৫ একর। এ জমির ওয়ারিশ ৫ বোন, ১ ভাই। এ বিষয়ে মোছাঃ খুশি খাতুন পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত জমির ওয়ারিশ ফিরে পেতে বাদী হয়ে জেলা পুলিশ সুপার বরাবর একটি অভিযোগ দায়ে করে এবং উক্ত গংদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন।

Explore More Districts