বিএনপি কে বিতর্কীত করতেই নবগঠিত কমিটি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে একটি মহল
১৯ November ২০২৪ Tuesday ৮:১৫:৩২ PM
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধি: বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার ৬ টি ইউনিয়নের ৫ টিতে আহবায়ক কমিটি দিয়েছে উপজেলা বিএনপি। প্রতিটি কমিটি অনুমোদন দেওয়ার আগে ঢাক-ঢোল পিটিয়ে কর্মসভার মাধ্যমে পুরানো কমিটি বিলুপ্ত করে তৃনমূলের মতামতের ভিত্তিতে নতুন কমিট অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সুলতান আহম্মেদ খান ও সদস্য সচিব ওয়াহিদুল ইসলাম প্রিন্স। তারা আরো জানিয়েছেন, বিএনপি একটি বড় দল যেখানে হাজার হাজার নেতাকর্মী। সবাইকে পদ দেওয়া সম্ভব নয়। আমরা ত্যাগী নেতাদের পদ পদবী দিয়েছি। যদি কোন ত্যাগী নেতাকর্মী কমিটি থেকে বাদ পরে থাকে তাদের পরবর্তীতে মূল্যায়ন করা হবে। আমরা দলের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রতিটি ইউনিয়ন কমিটির অনুমোদন দিয়েছি। যারা কমিটি নিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের উদ্দেশ্য বিএনপিকে বিতর্কীত করা। জানাযায়, মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির একটি মিছিলে হামলা করেছে পদ বঞ্চিতরা। সেই সূত্রধরে একটি পক্ষ মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক কমিটিকে জড়িয়ে সংবাদ মাধ্যমসহ সোসাল মিডিয়ায় অপপ্রচার চালায়। যেখানে বলা হয়েছে বর্তমান উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সুলতান আহম্মেদ খান এর ভাই ওহেদুল ইসলাম খান কে মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক করায় ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা। এসম্পর্কে মাধবপাশা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক অহেদুল ইসলাম খান বলেন, আমি ১৯৯২ সাল থেকে ছাত্র রাজনীতির মাধ্যমে বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পরি। পরে বাবুগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সহ সভাপতি, ২০১৮ সালে ইসরাত হোসেন কচি তালুকদার যখন বাবুগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি হয় তখন ওই কমিটির সহসভাপতি হিসাবে ২০২৩ সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি। এছাড়া ২০১৬ সালে দলীয় মনোনয়ন পেয়ে( ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে মাধবপাশা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হই। পরবর্তীতে দল নির্বাচন বর্জন করায় আমি আর নির্বাচনে অংশ গ্রহন করি নি। রাজনৈতিক মামলায় বহুবার জেল হাজতে গিয়েছি, নির্যাতিত হয়েছি। আমার দলীয় কর্মকান্ড ও দলের জন্য ত্যাগ দেখে ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক করা হয়েছে। এছাড়া ৫ ইউনিয়নে যে কমিটি হয়েছে তার আহবায়ক ও সদস্য সচিব সবাই দলের ত্যাগী নেতা। কিছু উচ্ছৃঙ্খল ও দল থেকে বহিস্কৃত লোকজন কমিটি নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করে বিএনপির ক্ষতি করার চেষ্টায় লিপ্ত হয়েছে। মাধবপাশা বিএনপির মিছিলে যারা হামলা করেছে তাদের বেশিরভাগ জাতীয় পার্টির, আওয়ামী লীগের ও বিএনপির বহিস্কৃত লোকজন।আমরা তাদের সম্পর্কে সবাইকে সজাগ থাকার আহবান জানাই। উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক আলমগীর হোসেন স্বপন বলেন, যারা ইউনিয়ন বিএনপির কমিটি নিয়ে সমালোচনা করেন তারা আওয়ামী ও জাতীয় পার্টির দোসর। বিগতদিনে তারা জাতীয় পার্টির এমপির কাছ থেকে সুবিধা নিয়ে এখন বিএনপির মধ্যে ঢুকতে চায়। তারা কমিটিতে ঢুকতে ব্যার্থ হয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। উপজেলা বিএনপির আহবায়ক সুলতান আহম্মেদ খান বলেন, ১৭ বছর পর ইউনিয়ন কমিটিগুলো কর্মিসভা করে ভেঙে নতুন কমিটি করা হয়েছে। এখানে পকেট কমিটি করার কোন সুযোগ নেই। যারা পকেট কমিটি ও স্বজনপ্রিতির কথা বলছেন তারা গত ১৭ বছর কেউ মাঠে ছিলোনা। অনেকেই দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বহিস্কৃত অথবা পদ স্থগিত করা হয়েছে। আমরা বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদাজিয়ার হাতকে শক্তিশালী করতে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমানের নির্দেশনা অনুযায়ী দলীয় কাজ করছি। আমাদের রাজনৈতিক অভিভাবক বিএনপির সহ সভাপতি এ্যাড. জয়নুল আবেদীনের পরামর্শ নিয়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি। বিষয়টি একটি মহলের সহ্য না হওয়ায় তারা বিএনপিকে বিতর্কীত করতে অপ্রতিকর কর্মকান্ডে লিপ্ত হয়েছে ও অপপ্রচার চালাচ্ছে। আমারা ঐক্যবদ্ধ বাবুগঞ্জ বিএনপি সকল প্রতিকূল অবস্থা ভেদ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাবো।
আমাদের বরিশাল ডটকম -এ প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।
(মন্তব্যে প্রকাশিত মত মন্তব্যকারীর একান্তই নিজস্ব। amaderbarisal.com-এর সম্পাদকীয় অবস্থানের সঙ্গে এসব অভিমতের মিল আছেই এমন হবার কোনো কারণ নেই। মন্তব্যকারীর বক্তব্যের বিষয়বস্তু বা এর যথার্থতা নিয়ে amaderbarisal.com কর্তৃপক্ষ আইনগত বা অন্য কোনো ধরনের কোনো দায় নেবে না।)
বরিশাল বিএনপি অফিস পোড়ানো মামলায় মহিলা আ’লীগ নেত্রী কহিনুর গ্রেপ্তার
অতি প্রয়োজনীয় কিছু সংস্কার করে যত দ্রুত সম্ভব নির্বাচন দেব: আইন উপদেষ্টা
আন্দোলনে আহত ইমরান গাজীর পাশে জেলা প্রশাসক
আ. লীগ নেতার রাইস মিলে অভিযান, গ্রেপ্তার ২
বরিশালে গ*ণধ*র্ষ*ণের পর হ*ত্যা, দুইজনের মৃ*ত্যু*দণ্ড