Post Views:
৩৯
নিজস্ব প্রতিনিধি : প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজীর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় সাতক্ষীরায় দি ক্লাইমেট সিরিজ আন্ত:স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪ সাফল্যের ধারা অব্যাহত রেখে আবারও চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। শনিবার (১৬ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টায় শহরের চালতেতলা কাথলিক মিশন হলরুমে সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবের আয়োজনে সিডো সংস্থার বাস্তবায়নে গেøাবাল প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের সহযোগিতায় দি ক্লাইমেট সিরিজ আন্ত: স্কুল বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০২৪ এর বিতর্ক প্রতিযোগিতায় ৪টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সাতক্ষীরা ইয়ূথ গ্রæপের সদস্যবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। বিতর্ক প্রতিযোগিতার বিষয়বস্তু ছিল “জনপ্রিয় মিডিয়ার উচিত জলবায়ূ পরিবর্তন নিয়ে উদ্বেগজনক ভবিষ্যদ্বাণীর পরিবর্তে এটিকে আশাবাদিভাবে প্রচার করা”। “প্রধান দূষণকারী দেশগুলি জলবায়ূ পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলিকে ক্ষতিপূরন দিবে”। একটি উন্নয়নশীল জাতি হিসেবে আমরা জলবায়ূ পরিবর্তনের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য দেশীয় ও আঞ্চলিক নীতি গ্রহন করবো”। “বৈশ্চিক জলবায়ূ পরিবর্তনজনিত ঝুঁকি মোকাবেলায় প্রশমন অপেক্ষা অভিযোজন অধিক গুরুত্বপূর্ন”। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় মডারেটরের দায়িত্ব পালন করেন একশনএইড বাংলাদেশ ইন্সপেরিটর শারার মাহবুব ধ্রæব, বিচারকের দায়িত্ব পালন করেন সিডো সংস্থার প্রধান নির্বাহী শ্যামল কুমার বিশ^াস, সাতক্ষীরা কমার্স কলেজের উপধ্যক্ষ কাজী তাজউদ্দিন, গাভা আইডিয়াল কলেজের প্রভাষক বিশ^নাথ কয়াল। বিতর্ক প্রতিযোগিতা ৮টি গ্রæপে কোয়ার্টার রাউন্ড দিয়ে শুরু হয়। উপরোক্ত ৪টি বিষয়ের উপর বিতর্ক প্রতিযোগিতায় নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, দ্য পোল স্টার এন্ড পৌর হাইস্কুল, মাছখোলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ ও সাতক্ষীরা ইয়ূথ গ্রæপের সদস্যবৃন্দ পক্ষে-বিপক্ষে অংশগ্রহন করেন। “আগামীর বৈশি^ক সংকট হিসেবে ক্ষুধা দারিদ্র্যের চেয়ে জলবায়ূ বিপর্যায়কে অধিক গুরুুত্ব দিতে হবে”। “ক্লাইমেট সর্ম্পকিত পলিসি শুধু রাজনীতিবিদরা করবেন না বরং এতে বিজ্ঞানীদের ও সুযোগ দিতে হবে”। উপরোক্ত ২টি বিষয়ের উপর নবারূন উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়, কারিমা মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং সাতক্ষীরা ইয়ুথ গ্রæপ ও দ্য পোল স্টার এন্ড পৌর হাইস্কুল বিজয়ী হয়ে সেমিফাইনাল রাউন্ডে ৪টি গ্রæুপ অংশগ্রহন করে। সেমিফাইনাল থেকে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাব বিজয়ী হয়ে ফাইনাল রাউন্ডে অংশগ্রহন করেন। ফাইনাল রাউন্ডের বিষয় ছিল “জলবায়ূ দুর্যোগ মোকাবেলায় স্থানীয় সরকার এর ভুমিকা অধিক গুরুত্বপূর্ন” পক্ষে-বিপক্ষে চুড়ান্ত লড়াই করে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং রানার্স আপ হয়েছে সাতক্ষীরা ইয়ূথ গ্রæপ। শ্রেষ্ঠ বক্তা নির্বাচিত হয়েছে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের দলনেতা ফাতেমা মাহজাবিন আনিসা।
নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের সাফল্যের ইতিহাস “৫৬ বছরের ইতিহাসের সেরা কারিগর, আধুনিক আবিষ্কারক, শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নে, বিদ্যালয়ের অবকাঠামগত উন্নয়নের এক অসাধারণ নেতৃত্ব দিয়ে তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বরাবর এর মতো সাফল্য ধরে রেখেছে নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজী। শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবক, ম্যানেজিং কমিটি, সুধীজনের পরামর্শক্রমে নবারুণ স্কুলের ইতিহাসের শ্রেষ্ঠ ফলাফল। সকল বেসরকারি বালিকা বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে উপজেলা এবং জেলা পর্যায়ে একাধারে ৯বার, যার একবার খুলনা বিভাগের সেরা বেসরকারি বালিকা বিদ্যালয় গুলোর মধ্যে অন্যতমদের একটি হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে এই স্কুল। এমনই একজন করে প্রধান শিক্ষক, প্রতিটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে থাকলে দেশের শিক্ষারগুণগত মান উন্নয়ন হতে বেশি সময় লাগবে না ইনশাআল্লাহ। প্রধান শিক্ষকের কাছে বিতর্কের ফলাফল সম্পর্কে অভিমত জানতে চাইলে তিনি বলেন, “সাতক্ষীরা বাসির দোয়া ও ভালোবাসায় আমি মুগ্ধ। আমি শিক্ষার্থী, শিক্ষক, ম্যানেজিং কমিটি অভিভাবক সুধীজন সর্বাগ্রে সাতক্ষীরাবাসীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি এবং দোয়া চাই, আমি আমার চাকরি জীবনের শেষ সময় পর্যন্ত এভাবে যেন নবারুণ স্কুলকে, তথা সাতক্ষীরার নারী শিক্ষাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি। বিতর্ক প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ও রানার্স আপ দলকে পুরস্কার হিসেবে ক্রেস্ট ও শ্রেষ্ঠ বক্তাকে মেডেল ও দলীয়ভাবে শ্রেষ্ঠ বক্তাদের ডায়েরী প্রদান করা হয়। নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের চ্যাম্পিয়ন শিক্ষার্থীদের দাবীর প্রেক্ষিতে তাদের সাফল্যের নেতৃত্বদানকারী একমাত্র প্রাণপ্রিয় প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজীর হাত থেকে চ্যাম্পিয়ন ক্রেস্ট গ্রহণ করে। এছাড়াও প্রত্যেক অংশগ্রহনকারীদের সার্টিফিকেট প্রদান করা হয়। এই বিতর্কের মধ্যে দিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মেধার বিকাশ ঘটানো এবং অন্যান্যদের মধ্যে প্রতিযোগিতার মনোভাব সৃষ্টি হয়েছে। উপস্থিত ছিলেন নবারুণ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আব্দুল মালেক গাজী , খন্ডকালীন শিক্ষক সালমা আক্তার ও আল-আমিন, মো. তহিদুজ্জামান, তহিদ, প্রকল্প সমন্বয়কারী, সাতক্ষীরা ইয়ূথ হাবেব সদস্যবৃন্দ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।