ইমরান হোসেন মনিম, রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
৫ আগষ্ট পরবর্তী সময়ে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা একাধিকবার রাজবাড়ী সদর হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা দূর করার তাগিদ দিলেও হয়নি কোন কাজের কাজ। যে কারণে বৃহস্পতিবার দুপুরে জেলা শহরের বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা ওই হাসপাতালে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। সেই সাথে তারা হাসপাতালের তত্ববধায়কের অপসারণের দাবী জানিয়েছে।
জানাগেছে, রাজবাড়ী জেলায় দশ লক্ষাধীক মানুষের বাস। এ জেলার মানুষের প্রধান স্বাস্থ্য সেবা পাবার স্থান রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল। একশত শয্যার এই হাসপাতালটি দীর্ঘ দিন ধরে চলছে নানা অব্যবস্থাপনায়। শেষ হয়নি এখনো আড়াইশত শয্যায় উন্নিতকরণ কাজ। প্রতিদিন আন্তঃবিভাগে শতাধিক রোগী ভর্তি থাকার পাশপাাশি বহিঃবিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা নেন সহস্রাধিক মানুষ। তবে সেবার মানে তীপ্ত নন সাধারণ মানুষ।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সাইদুর রহমান সাকিব, তাহসীন বিন আতিয়ার তামিম, সৈয়দ আরাফাত বলেন, আমাদের দাবী চিকিৎসকরা সময়মত হাসপাতালে আসেন না। তত্ববধায়কসহ অন্যান্য চিকিৎসকরা রোগীদের স্বাভাবিক চিকিৎসা সেবা না দিয়ে বিভিন্ন ক্লিনিকে ভাগিয়ে নেন এবং ফরিদপুর ও ঢাকায় রেফার্ড করেন। চিকিৎসকের অবহেলার কারণে ইতোপূর্বে জেলা শহরের শিক্ষার্থী অর্নব এবং গত সোমবার রাতে মারা যাওয়া অপর শিক্ষার্থী তানভীর অকালে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করেছেন।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী তাফসীন হক, নুর মোহাম্মদ নয়ন, নাফিসা প্রভা বলেন, হাসপাতালে জখমের কোন রোগী আসার পর চিকিৎসক বা স্টাফ নার্সরা এগিয়ে আসেন না। ওই সময় হাসপাতালের নিযুক্ত পরিচ্ছন্নতা কর্মী পরিচর্যা, সেলাইয়ের ও ব্যান্ডেজের কাজ করে। এ ছাড়া হাসপাতালে ময়লা, আবর্জনা ও নোংরা পরিবেশসহ বিভিন্ন অনিয়ম বিদ্যমান। হাসপাতালটি এখন দূর্নীতির কারখানা বলেও তারা অভিযোগ করেন।
হাসপাতালের তত্ববধায়ক ডাঃ আব্দুল হান্নান বলেন, জনবল সংকটসহ নানা প্রতিক’লতা রয়েছে। তারপরও তারা সঠিক চিকিৎসা দেবর চেষ্টা করছেন। অপসারণ প্রসঙ্গে বলেন, কর্তৃপক্ষ চাইলে তিনি অন্যত্র চলে যাবেন।
রাজবাড়ী সিভিল সার্জন ডাঃ মোহাম্মদ ইব্রাহিম টিটন বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগ তিনি শুনেছেন। বিষয় গুলো সমাধানের চেষ্টা করবেন।
রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা জানান, ঘটনাটি তিনি জেনেছেন। অনিয়মের বিষয় নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সাথে কথা বলবেন।