প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের পর বাংলাদেশ কোচের সন্তুষ্টি

প্রস্তুতি ম্যাচে জয়ের পর বাংলাদেশ কোচের সন্তুষ্টি

ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ পুরুষ দল শেষ কবে পা রেখেছে, তা স্মৃতি থেকে মুছে যাওয়ার যোগাড়ই হয়েছে। ইংল্যান্ডের মাটিতে ১৪, আর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে সবশেষ দ্বিপাক্ষিক সিরিজটা যে ১৬ বছর আগে খেলেছিল বাংলাদেশ।

তবে পুরুষরা সেসব দেশে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলার সুযোগ না পেলেও নিগার সুলতানা জ্যোতিরা আগামী এফটিপি চক্রে ঠিকই পেয়ে গেছেন সেসব দেশের সফর। বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট ২০২৫ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত চার বছরে একটি করে সফর পাবে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ায়। এখানেই শেষ নয়, দলের জন্য আছে ভারত ও পাকিস্তান সফরের সূচিও।

সোমবার প্রকাশিত এক সূচিতে জানা গেছে এই খবর। আইসিসির ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম, যা আবার আইসিসি উইমেন্স চ্যাম্পিয়নশিপের অংশ, তার অধীনে বাংলাদেশ এই সফরগুলো পাবে।

চারটি অ্যাওয়ে সফর তো জানা গেল, এই সূচিতে ঘরের মাঠেও চারটি সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ। আগামী চার বছরে বাংলাদেশ আতিথ্য দেবে দক্ষিণ আফ্রিকা, ওয়েস্ট ইন্ডিজ, শ্রীলঙ্কা ও জিম্বাবুয়েকে।

এটি আইসিসির গড়া নারীদের দ্বিতীয় এফটিপি চক্র। আসছে চক্রে ১১টি দল খেলবে ৪০০র কাছাকাছি ম্যাচ। ২০২২ থেকে ২০২৫ সালের জন্য তৈরি করা চক্রে দলগুলো যে ম্যাচ খেলেছিল, তার চেয়ে অনেক বেশি এই ম্যাচসংখ্যা।

আসছে এফটিপিতে আছে নারীদের নতুন একটি আইসিসি ইভেন্টও। ২০২৭ সালে প্রথম আইসিসি নারী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি মাঠে গড়াবে ৬ দল নিয়ে। এছাড়াও ২০২৫ সালে ভারতের মাটিতে নারী ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২৬ সালে যুক্তরাজ্যে আইসিসি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ, ও ২০২৮ সালে আরও একটি নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যোগ করা হয়েছে এই সূচিতে।

এই সূচিতে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ হবে ৪৪টি, তিনটি করে ওয়ানডে খেলবে, সব মিলিয়ে ওয়ানডে আছে ১৩২টি। আইসিসি ইভেন্টগুলোর আগে সদস্য দেশগুলোর নিজেদের মধ্যে সম্মতির ভিত্তিতে ত্রিদেশীয় সিরিজও রাখা হয়েছে। আগের এফটিপির চেয়ে এই এফটিপিতে বেশি করে টেস্ট ম্যাচও যোগ করা হয়েছে।

Explore More Districts