ওয়াশিংটন, ০৪ নভেম্বর – মার্কিন নির্বাচনের বাকি আর দুদিন। এরমধ্যে ফের যৌন কেলেঙ্কারিরর অভিযোগ উঠেছে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন মডেল স্টেসি উইলিয়ামসের পর এ অভিযোগ এনেছেন প্রাক্তন মিস সুইজারল্যান্ড প্রতিযোগী ব্রিটিশ কিউল।
বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সংবাদমাধ্যম ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কিউল বলেন, ১৯৯৩ সালে নিউইয়র্কে নিজের হোটেল স্যুইটে ব্যক্তিগত কথা বলার জন্য ডাকেন ট্রাম্প। এ সময় তিনি কথা বলার ছলে তাকে ডেকে শ্লীলতাহানি করেন।
তিনি অভিযোগ করেন, স্যুইটে ঢুকতেই ট্রাম্প লাফিয়ে দাঁড়িয়ে তাকে জাপটে ধরেন। এ সময় ঠোঁটে ও ঘাড়ে চুমু খান তিনি। তখন বিভিন্ন জায়গায় তার হাত ঘুরছিল। এমনকি পোশাক খোলারও চেষ্টা করেন তিনি। ঘটনার আকস্মিকতায় স্তম্ভিত হয়ে যান কিউল।
এক সাক্ষাৎকারে পুরো ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন ১৯৯২ সালের মিস সুইজারল্যান্ড। তিনি বলেন, সুইজারল্যান্ডের মানুষের কাছে আমেরিকা বিরাট ব্যাপার। এরপর ট্রাম্পের নাম আসলে তো সবাই হা করে তাকিয়ে থাকার মতো বিষয়।
তিনি আরও বলেন, ম্যানহাটনের প্লাজা হোটেলে ৫০ প্রতিযোগীকে একটি ইভেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তাদের সঙ্গে আলাপ করতে আসেন ট্রাম্প। এ সময় তার নাম ভুল করে উচ্চারণ করেন তিনি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দশ-পনেরো মিনিটের সেই প্রথম সাক্ষাতেই কিউলকে পছন্দের বিষয়টি বুঝিয়ে দেন ট্রাম্প। এমনকি প্রেস লাঞ্চের পর এক কর্মীকে দিয়ে তার সঙ্গে দেখা করার জন্য আমন্ত্রণ পাঠান ট্রাম্প।
সুইস সুন্দরীরর অভিযোগ, বিকৃত মানুষের সামনে নিজেকে শান্ত না রাখতে পারলে আমার সঙ্গে ভয়ানক কিছু হয়ে যেতো। আমি আদেও আর দেশে ফিরতে পারব কিনা সেই আশঙ্কা করছিলাম। প্রাণপণে তাকে আমি তখন নিয়ন্ত্রণ করি।
এদিকে সুইস সুন্দরীর এমন অভিযোগকে সম্পূর্ণ মিথা বলে দাবি করেছেন ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট। মার্কিন কূটনীতিকরা বলছেন, নির্বাচনের আগে এমন অভিযোগ প্রভাব ফেলতে পারে।
সূত্র: কালবেলা
আইএ/ ০৪ নভেম্বর ২০২৪