চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) মেয়র হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিএনপি নেতা ডা. শাহাদাত হোসেন। একইসঙ্গে কাউন্সিলর না থাকায় ১৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটি গঠন করে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৩ নভেম্বর) ঢাকায় স্থানীয় সরকার বিভাগের সভাকক্ষে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ তাকে শপথ পাঠ করান।এ সময় প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ছাড়াও আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীসহ বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, গ্রিন সিটি, ক্লিন সিটি এবং হেলদি সিটি হিসেবে চট্টগ্রামকে গড়ে তোলা হবে। চট্টগ্রাম বাঁচলেই বাংলাদেশ বাঁচবে। চট্টগ্রাম শহরের অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করবো। যত দ্রুত সম্ভব জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রকল্প হাতে নেওয়ার চেষ্টা করব। সেইসঙ্গে নির্বাচনি ইশতেহার পূরণের জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করব।
চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেনের করা মামলায় গত ১ অক্টোবর চট্টগ্রামের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নির্বাচনি ট্রাইব্যুনাল মোহাম্মদ খাইরুল আমীনের আদালত তাকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন। একইসঙ্গে ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিবকে গেজেট প্রকাশ করার জন্য নির্দেশ দেন।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের ২৭ জানুয়ারি চসিকের ষষ্ঠ পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। আনুষ্ঠানিক ফলাফলে ৩ লাখ ৬৯ হাজার ভোট পেয়ে মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ প্রার্থী রেজাউল করিম। তবে ওই নির্বাচন ঘিরে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ তোলেন বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন। ওই বছরই ২৪ ফেব্রুয়ারি ৯ জনকে বিবাদী করে নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে একটি মামলা করেন তিনি। এজাহারে তিনি নির্বাচন পরবর্তী ফলাফলসংক্রান্ত প্রকাশিত গেজেট (রেজাউল করিমকে মেয়র ঘোষণা করে) বেআইনি, অবৈধ ও ন্যায় নীতির পরিপন্থী বলে দাবি করেন।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্বে সংঘটিত গণ-অভ্যুত্থানের মুখে চলতি বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে গত ১ অক্টোবর ডা. শাহাদাতকে মেয়র ঘোষণা করে রায় দেন চট্টগ্রামের প্রথম যুগ্ম জেলা জজ ও নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালের বিচারক খাইরুল আমিন। এ ছাড়া আওয়ামী লীগের রেজাউল করিম চৌধুরীর মেয়র নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করেন তিনি। পাশাপাশি ১০ দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির জন্য নির্বাচন কমিশন সচিবকে নির্দেশ দেন। এই রায়ের ৮ দিন পর ৮ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনার সচিব এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপনে স্বাক্ষর করেন।
এর আগে, গত ১৯ আগস্ট দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করে প্রজ্ঞাপন জারির মাধ্যমে প্রশাসক নিয়োগ দেয় সরকার।
এআরই/এসসি/সিটিজিনিউজ