অন্তর্বর্তী সরকারের বেকারত্ব দূর করার কোনো এজেন্ডা নাই বলে মন্তব্য করেছেন গণতন্ত্র মঞ্চের শীর্ষ নেতা এবং নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না।
মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের জহুর হোসেন চৌধুরী হলে বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত “ফ্যাসিস্ট, ফ্যাসিজম, বেকার মুক্ত রাষ্ট্র গঠন ও জাতীয় নির্বাচন” শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, এসরকারের বেকারত্ব দূর করার কোনো এজেন্ডা নাই। সংস্কার করার জন্য যে দশটি কর্মসূচি রয়েছে সেখানে বেকারত্ব দূর করার কোনো কমিশন গঠন করা হয়নি। এদেশে শিক্ষিত অশিক্ষিত মিলিয়ে মোট চার কোটি লোক বেকার। আমাদের দেশে বিনিয়োগকারী নাই। চাকরি চাইলে সরকার চাকরি দিবে কি করে। এসরকার বেকারত্ব দূর করার কথা বলেননি এবং সামনের দিকে বলবেও না।
মান্না বলেন, আমরা যে সংস্কারের কথা গুলো বলেছি এবং সরকার যে সংস্কার করছে সেখানে মানুষের জীবনের মান উন্নয়ন এবং মানুষ মন খুলে কথা বলবে সেটার কথা বলা হয়নি। রাতের বেলায় যদি কোনো মেয়ে নির্ধিদায় বাসায় যেতে না পারে তাহলে সে দেশের উন্নয়ন হবে কি করে।
আলোচনা সভায় এসময় বিএনপি চেয়াপারসনের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আব্দুস সালাম বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে। সংস্কারের মাধ্যমে বেকারত্ব দূর করতে হবে। দেশের আমূল পরিবর্তন করতে হবে। জনগণ এখনো শঙ্কায় আছে। কি হচ্ছে, কি হবে। এরকম শঙ্কায় জনগণকে রাখবেন না। এরকম শঙ্কায় কিন্তু ষড়যন্ত্র তৈরী হয়। এই শঙ্কা কাটাতে নির্বাচন দিন।
তিনি আরও বলেন, বেকার যারা রয়েছে তারে বুঝে এক একটা দিন তাদের কিভাবে যায়। বেকারদেরকে লোন দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরী করা দরকার। কিন্তু, দেশের ব্যাংক গুলো খালি করে দিয়েছে স্বৈরাচার সরকার। অন্তর্বর্তী সরকার এখনো কালো টাকা গুলোকে দেশে আনতে পারেনি। কালো টাকা গুলোকে দেশে নিয়ে আনুন। ব্যাংক গুলোকে সচল করুন। বেকারদেরকে লোন দিয়ে উদ্যোক্তা তৈরী করে বেকারত্ব দূর করুন। নতুন শিল্প কারখানা করতে হবে। তাহলে বেকারত্ব দূর হবে।
বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি আতিকুর রহমান রাজা’র সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন ফারুক রহমানসহ আরও অনেক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।