রাজবাড়ী বার্তা ডট কম :
নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য গঠিত রাজবাড়ী জেলা ‘‘বিশেষ টাস্কফোর্স’’ কমিটি। এই কমিটির আহবায়ক ও রাজবাড়ীর অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোঃ তারিফ-উল-হাসানের নেতৃত্বে সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে। আজ রবিবার দুপুর ২টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ কার্যক্রম পরিচালনাকালে সদর উপজেলার বসন্তপুর ইউনিয়নের কোলারহাট বাজারের দুইটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
জানাগেছে, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রীর বাজার পরিস্থিতি ও সরবরাহ চেইন তদারক ও পর্যালোচনার জন্য গঠিত রাজবাড়ী জেলা ‘‘বিশেষ টাস্কফোর্স’’ কমিটির আহবায়কের নেতৃত্বে এবং বিশেষ টাস্কফোর্স কমিটির সংশ্লিষ্ট সদস্যবৃন্দের অংশগ্রহণে রাজবাড়ী জেলা কার্যালয় কর্তৃক রাজবাড়ী জেলার সদর উপজেলার বিভিন্ন বাজারে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে সদর উপজেলার বড় বাজার, পৌর কাঁচা বাজার ও কোলারহাট এলাকায় বিভিন্ন পণ্যের পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় প্রতিষ্ঠানে তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনাকালে পণ্যের মূল্য যথাযথভাবে বিক্রয় সঠিকতা যাচাইসহ ব্যবসায়ীদের মূল্য তালিকা দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শন ও প্রতিদিন হালনাগাদকরণ, ক্রয় রশিদ সংরক্ষণ এবং ন্যায্য মূল্যে পণ্যসামগ্রী বিক্রয় করার নির্দেশনা প্রদান করা হয়। এছাড়াও মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য এবং অননুমোদিত ও অবৈধ পণ্য বিক্রয় না করার বিষয়ে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হয় এবং সর্বসাধারণের মাঝে সচেতনতামূলক লিফলেট ও প্রচারপত্র বিতরণ করা হয়।
জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর রাজবাড়ী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক কাজী রকিবুল হাসান বলেন, কৃষি বিপণন অধিদপ্তরের মাঠ ও বাজার পরিদর্শক মোঃ আফজাল হোসেন ও রাজবাড়ী পুলিশ লাইন্সের এএসআই মো: নজরুল ইসলামের সহযোগিতায় এই কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। সে সময় কোলার হাট বাজারের মেসার্স মল্লিক ট্রেডার্স মালিককে জরিমানা করা হয় ৫ হাজার টাকা। এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ (মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করার অপরাধ) আনা হয় এবং ওই বাজারের মেসার্স আশা কৃষি ভান্ডার মালিককে জরিমানা করা হয় ৫ হাজার টাকা। এ দোকানের মালিকের বিরুদ্ধে ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর ৪৫ ও ৫১ ধারার লঙ্ঘনজনিত অপরাধ (প্রতিশ্রুত পণ্য যথাযথভাবে বিক্রয় বা সরবরাহ না করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ পণ্য বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে সংরক্ষণ ও প্রদর্শন করার অপরাধ) আনা হয়।