নিজস্ব প্রতিনিধি : মুরগির ডিমের দাম নিয়ে যখন বাজার টালমাটাল, ঠিক এই সময়ে পিঁপড়ার ডিম বিক্রি হচ্ছে ১২/১৫ শ টাকা কেজি দরে। ব্যাপক চাহিদা থাকায় পিঁপড়ার ডিমের জোগান দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন এ পেশার লোকেরা। তাই টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলার শাল গজারির বনে-বনে ঘুরে সবুজ পাতার আড়ালে থাকা লাল পিঁপড়ার বাসা খোঁজতে ব্যস্ত সময় পার করছেন ডিম সংগ্রহকারীরা। এ যেন বনের গভীরে গুপ্তধন খোঁজে বের করা।
এদিকে অতিরিক্ত পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহের কারণে বনের পরিবেশের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব পড়ার আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন পরিবেশ সচেতন ব্যক্তিরা।
শৌখিন মৎস্য শিকারি ও স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বড়শি দিয়ে মাছ শিকারের জন্য খুব প্রয়োজনীয় এক জিনিস এই লাল পিঁপড়ার ডিম। শৌখিন মৎস্য শিকারিদের চাহিদা মেটাতে বনের গাছগাছালির ডাল-পালা ও পাতা থেকে সারা বছরই এসব ডিম সংগ্রহ করা হয়।
টাঙ্গাইলের সখীপুর উপজেলায় প্রাকৃতিকভাবে অনেক শাল-গজারি বন রয়েছে। উঁচু-উঁচু গজারি গাছের ডালপালা থেকে লম্বা বাঁশ ও টুকরির মাধ্যমে ভাঙা হয় পিঁপড়ার বাসা। ওই সব বাসা থেকে সংগ্রহ করা হয় লাল পিঁপড়ার সাদা ডিম। এই ডিম সংগ্রহ ও সংরক্ষণের কাজটি করতে হয় খুব সতর্কতার সঙ্গে। বাসা থেকে সংগৃহীত ডিমগুলো প্রথমে পিঁপড়াসহ রাখা হয় বাঁশের এক ধরনের টুকরিতে। দিন শেষে টেবিলের ওপর জাল ও কাপড় দিয়ে ডিম থেকে পিঁপড়া আলাদা করা হয়।
রবিবার সকালে বনের মধ্যে দেখা হয় পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহকারী আবুল কাশেমের (৫৫) সঙ্গে। তিনি বলেন, উপজেলার যাদবপুর গ্রামের বাসিন্দা তিনি। তিনি সহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা আরো ১২ জন লোক প্রতিদিন সখীপুরের বিভিন্ন বন জঙ্গলে এসে পিঁপড়ার ডিম সংগ্রহ করি। বড় আকারের একটি বাসা থেকে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রাম পরিমাণ ডিম পাওয়া যায়। এভাবে প্রতিজনে সারা দিনে সর্বোচ্চ এক-দেড় কেজি করে ডিম সংগ্রহ করতে পারে। আর এক কেজি পিঁপড়ার ডিম পাইকারদের ১২ শ থেকে ১৫ শ টাকা বিক্রি করি।
নিউজ টাঙ্গাইলের সর্বশেষ খবর পেতে গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি অনুসরণ করুন
–
“নিউজ টাঙ্গাইল”র ইউটিউব চ্যানেল SUBSCRIBE করতে ক্লিক করুন।