চিটাগাং চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা বলেন, স্বাধীনতার পর থেকে বাংলাদেশে উল্লেখযোগ্য অর্থনৈতিক অগ্রগতি হয়েছে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামের তৈরিপোশাক, ফার্মাসিউটিক্যালস, শিপবিল্ডিং, শিপব্রেকিং এবং আইটি সেক্টর এই ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান রেখে যাচ্ছে। পাশাপাশি চিটাগাং চেম্বার ব্যবসায়িক পরিবেশ ও বিনিয়োগের উন্নয়নে সরকারের সহযোগী হিসেবে কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি ফিলিপাইনের সাথে বাংলাদেশের বাণিজ্য সম্পর্কে বলেন, ২০২২ সালে বাংলাদেশ থেকে ফিলিপাইনে ১১০ মিলিয়ন ডলার রপ্তানি করা হয়। ফিলিপাইন থেকে ৩৮ মিলিয়ন ডলার পণ্য আমদানি করা হয়। এতে বুঝা যায় উভয়দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক সেইভাবে গড়ে ওঠেনি। তাই এই বাণিজ্য সম্পর্ক উন্নয়নের ক্ষেত্রে প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে ভিসার জটিলতা। তাই বিজনেস টু বিজনেস সম্পর্ক বাড়াতে এবং বিনিয়োগ ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও সুদৃঢ় করতে ভিসা প্রক্রিয়া সহজীকরণের উপর জোর দেন চেম্বার প্রশাসক।
অন্যান্য বক্তারা বলেন, চট্টগ্রামে রয়েছে প্রায় ৪/৫টি অর্থনৈতিক অঞ্চল। অঞ্চলগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য সরকার যথেষ্ট সুযোগ-সুবিধা প্রদান করছে। ফিলিপাইনের মত কৃষি প্রধান বাংলাদেশে খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরণ, ম্যানুফ্যাকচারিং, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং পর্যটন সেক্টরে ফিলিপাইনের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশী ব্যবসায়ীদের সাথে একক ও যৌথ বিনিয়োগের আহবান জানান।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) ও চিটাগাং চেম্বার প্রশাসক মুহাম্মদ আনোয়ার পাশা’র সভাপতিত্বে ফিলিপাইনের অনারারী কনসাল এম. এ. আউয়াল, চিটাগাং চেম্বারের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি এরশাদ উল্যাহ, সাবেক পরিচালক আমজাদ হোসেন চৌধুরী ও মাহফুজুল হক শাহ, ইন্ডাস্ট্রিয়ালিস্ট এন্ড বিজনেসম্যান ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশন’র ভাইস প্রেসিডেন্ট ও পার্ক শিপিং লাইন এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, চট্টগ্রাম বিজনেস ফোরামের এসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারী কামরুল হুদা, লুব-রেফ’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ ইউসুফ, উইমেন চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রি’র সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খালেদা আউয়াল, শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশ এর পরিচালক লোকপ্রিয় বড়–য়া, বিএসআরএম গ্রæপের সঞ্জয় কুমার ঘোষ ও চিটাগাং চেম্বারের যুগ্ম সচিব নুরুল আবছার চৌধুরী বক্তব্য রাখেন।