বিষখালী নদীতে বিলীন প্রায় মঠবাড়ি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়

বিষখালী নদীতে বিলীন প্রায় মঠবাড়ি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়

২৬ September ২০২৪ Thursday ৩:৫২:৫৯ PM

Print this E-mail this


রাজাপুর (ঝালকাঠি) প্রতিনিধি:

বিষখালী নদীতে বিলীন প্রায় মঠবাড়ি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার বিষখালী নদীতে আবারও ভাঙন দেখা দিয়েছে। ভাঙন আটকাতে ফেলা জিও ব্যাগ দেবে গিয়ে ঝুঁকিতে রয়েছে মঠবাড়ি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ভবন।

এ ছাড়াও ভাঙনের কারণে একটি বাজারের বিভিন্ন দোকানপাট, বসতঘর এবং মসজিদ নিয়েও দুশ্চিন্তায় আছেন এলাকাবাসী।

স্থানীয়রা জানান, বছরের পর বছর ধরে, শত শত বাড়ি ও ফসলি জমি বিষখালীর পেটে গিয়েছে। বিভিন্ন সময় বাদুরতলা বাজারের অনেক দোকানকে গ্রাস করেছে নদী। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় সম্প্রতি হঠাৎ কয়েকটি দোকান নদীগর্ভে গেছে। ঝুঁকিতে রয়েছে একাধিক বসতবাড়ি, প্রাথমিক বিদ্যালয় ও বাদুরতলা জামে মসজিদসহ বেশ কিছু স্থাপনা। জিও ব্যাগ ফেলা হলেও ভাঙনরোধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দ্রুত স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের দাবি জানান তাঁরা।

মঠবাড়ি ইউনিয়ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক স্বপন কুমার বলেন, ‘২০০২ সালে আমি এই বিদ্যালয় যোগদান করি। তখন এই স্কুল নদী থেকে অন্তত আধা কিলোমিটার দূরে ছিল। ইতিমধ্যে স্কুলের কয়েকটি কক্ষ ভেঙে গেছে। এখন জিও ব্যাগ দেবে নতুন করে ভাঙনে বিলীনের পথে স্কুলটি। আতঙ্কের মধ্য দিয়ে ক্লাস করছে শিক্ষার্থীরা। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ যদি আমাদের স্কুলটি রক্ষা করার জন্য বাঁধ বা নদী শাসনের ব্যবস্থা না করেন তবে অচিরেই এটি নদীগর্ভে চলে যাবে। বছর দুই-তিন আগে কিছু বালির বস্তা ফেলেছিল, কিন্তু তা দেবে নদীতে নেমে যাচ্ছে। আমরা শিক্ষকেরা তিন থেকে সাড়ে তিন শ শিক্ষার্থী নিয়ে খুবই উদ্বিগ্ন।’

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুনিল চন্দ্র সেন বলেন, ‘বিদ্যালয়টি ওই স্থান থেকে স্থানান্তর করা প্রয়োজন। এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে তথ্য উপাত্ত আমাদের অফিসে পাঠাতে বলেছি। যা আমরা ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে অতি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য লিখিতভাবে জানাব।’

ঝালকাঠি পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ কে এম নিলয় পাশা বলেন, ‘বিষয়খালী নদীর তীরবর্তী রাজাপুর উপজেলার বাদুরতলা নামক স্থানে আকস্মিক কিছু ভাঙন দেখা দিয়েছে। আমরা স্থানটি পরিদর্শন করেছি। উক্ত স্থানের জন্য আমরা সার্ভে রিপোর্ট তৈরি করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।’

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts