যশোরে ধানের শীষের অফিস ভাংচুর ও পোড়ানোর ঘটনার ৬ বছর পরে মামলা

যশোরে ধানের শীষের অফিস ভাংচুর ও পোড়ানোর ঘটনার ৬ বছর পরে মামলা

২০১৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বচনে যশোরে ধানের শীষের অফিস ভাংচুর ও পোড়ানোর ঘটনার ৬ বছর পরে আদালতেদ মামলা হয়েছে। ৮১জনকে আসামি দিয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সদর উপজেলার ডাকাতিয়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম এই মামলাটি করেছেন। বিচারক মামলাটি তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য কোতোয়ালি থানার ওসিকে আদেশ দিয়েছেন।

আসামিরা হলেন, ডাকাতিয়া গ্রামের মাহবুব আলম বিদ্যুৎ, বজলুর রহমান, লিটন, ইনতাজ আলী, মিন্টু হোসেন, টিটো, রাজু, ডাক্তার কাওসার, শাহজাহান, নাজিম হোসেন, বিদ্যুৎ, রফিকুল ইসলাম, জোহর আলী, শরিফুল, হালিম, বদরুল আলম বদু, ফন্টু, আক্তার হোসেন লেদু, নওদাগার শরিফুল ইসলাম, উজ্জল, জিল্লু হোসেন, আলিম হোসেন, মাহাবুর, রাফসান, আজগর আলী, আকের আলী, ডাক্তার মােহাম্মদ জুব্বার, খায়রুল ইসলাম, শ্যামনগরের ইব্রাহিম হোসেন, শাহিন, পরভেজ, শফিয়ার রহমান, জুয়েল হোসেন, ফারুক হোসেন, নুরপুরের লিয়াকত হোসেন টিপু, কাইয়ুম, মশিয়ার রহমান, সানতলার লিটন হোসেন, কাশিমপুরের মতিয়ার রহমান ইকবাল সরদার, রাসেল, মান্নান, মন্টু, সামাদ আলী, ইকলাচ হোসেন, ইবরা, মিকাইল হোসেন, ইনামুল, মিলন হোসেন, সোহেল হোসেন, এনায়েতপুরের সাইফুল ইসলাম, কাসেদ, সেলিম হোসেন, খোজারহাটের আসাদুজ্জামান লাল্টু, নান্নু হোসেন, ইকরামুল, রশিদ মোল্যা, শাহিন, কনেচপুরের শিমুল হোসেন, জাফর, রানা, সাজিয়ালির লুৎফর রহমান, দৌলতদিহির মুনায়েম, জিকো, তানজিল হোসেন, সেলিম হোসেন, শিমুল হোসেন, কেফায়েতনগরের ওলিয়ার রহমান, ডহেরপাড়া সাকাওয়াত হোসেন, আসলাম মন্ডল, বিজয়নগরের জিল্লু মৃধা, হালিম মৃধা, লিটন হোসেন, আকাশ হোসেন, দাউদ, রহেলাপুরের ইউসুফ আলী, কচি, রায়হান, সরুইডাঙ্গার শাহিনুর রহমান, মুরাদ হোসেন ও আসাদুজ্জামান চুক্ষু।

বাদী শহিদুল ইসলাম মামলায় বলেছেন, তারা ২০১৮ সালের জাতীয় সংস নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে কাজ করেন। আসামিরা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে যুক্ত। ওই সময়ে কাশিমপুর বাজারের তেতুলতলা ধানের শীষ কর্মী ও সমর্থকদের একটি নির্বাচনী অফিস করা হয়। ২০১৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর রাত ১০টার দিকে সকল আসামি দেশিয় অস্ত্রসহ নির্বাচনী অফিসে হামলা করে। এসময় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। একই সাথে মাইকসেট, সাউন্ড বক্স ও ইলেক্ট্রিক মালামালসহ এক লাখ টাকার ক্ষুিত সাধন করেছে। ওই সময় আসামিরা বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী হওয়ায় তাৎক্ষণিক ভাবে থানা বা আদালতে মামলা গ্রহণ করেনি। সম্প্রতি আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পরে পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ায় এই মামলাটি করা হয়েছে।

Explore More Districts