জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবাসীর ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অপরাধে দুজনকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের দুই লাখ টাকা করে অর্থদণ্ডও করেছেন আদালত। অর্থ অনাদায়ে আরও ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. জিয়াউর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন। অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় আদালত অন্য সাত আসামিকে বেকসুর খালাস দিয়েছেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত দুই আসামি হলেন রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চক নারায়ণপুর গ্রামের হৃদয় আলী (২১) ও নাটোরের লালপুর উপজেলার বিরোপাড়া গ্রামের আরিফুল ইসলাম ওরফে আরিফ (২৫)।
রাজশাহী সাইবার ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী (পিপি) ইসমত আরা এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের একটি ধারায় আসামিদের পাঁচ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের ১ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। জরিমানার অর্থ অনাদায়ে আরও তিন মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া অপর একটি ধারায় দুজনকে একই ধরনের সাজা দিয়েছেন আদালত। অর্থাৎ দুটি ধারায় মোট ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং ২ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে আসামিদের। সাজা একটার পর অন্যটা কার্যকর হবে।
তিনি আরও জানান, এ মামলার বাদী ঢাকার সবুজবাগের আবদুল মালেক নামের এক ব্যক্তি। ২০২৩ সালের ২ মার্চ নাটোরের লালপুর থানায় তিনি এ মামলা করেন। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, তার বোনজামাই জাকির হোসেন সৌদিপ্রবাসী। স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের সঙ্গে তিনি সামাজিকমাধ্যম ইমোতে যোগাযোগ করতেন। ২০২৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি দুর্বৃত্তরা জাকির হোসেনের ইমো অ্যাকাউন্ট হ্যাক করে ফাতেমাকে তার বিপদের কথা জানান। এরপর ফাতেমার কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে ৫৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নেন।
এরপর বাদী আবদুল মালেক খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন যে বিকাশ নম্বরে টাকা নেওয়া হয়েছে তা রাজশাহীর বাঘা উপজেলায় নিবন্ধিত। বিষয়টি তিনি র্যাবকে অবহিত করলে র্যাব এ প্রতারণার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত করে। পরে পাঁচ জনকে আটক করে র্যাব। এরপর মালেক লালপুর থানায় বাদী হয়ে মামলা করেন।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতের কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর দণ্ডপ্রাপ্ত দুজনকে কারাগারে পাঠানো হয়।