রাঙামাটিতে টোল আদায় কেন্দ্রের টেন্ডার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

রাঙামাটিতে টোল আদায় কেন্দ্রের টেন্ডার নিয়ে অনিয়মের অভিযোগ

রাঙামাটি মানিকছড়িতে রাঙামাটি সদর উপজেলা পরিষদের টোল আদায় কেন্দ্রটি নতুন অর্থ বছরে পরিচালনার জন্য দরপত্র প্রকাশ নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন ঠিকাদাররা। তাদের অভিযোগ সম্পূর্ণ গোপনীয় রক্ষা করে এ কাজ করা হয়েছে। উপজেলা পরিষদ থেকে তাদের নামে দরপত্র ক্রয় করা হলেও ঠিকাদাররা বলছেন এ বিষয়ে তারা জানেন না।

ঠিকাদাররা অভিযোগ তুলেছেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার নতুন কর্মস্থলে যোগদানের আগে ঠিকাদারের একটি অংশের সাথে যোগসাজশে এ কাজ করেছেন।

জানা যায়, গত ৭ মার্চ স্থানীয় দৈনিক রাঙামাটি ও দৈনিক আলোকিত বাংলাদেশ পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। এ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর উপজেলা পরিষদ থেকে শিডিউল সংগ্রহ করে ৬টি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ সময় ছিল ২৪ মার্চ দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এবং খোলার দিন ছিল ২৪ মার্চ দুপুর ২ টায়।


উপজেলা পরিষদের সূত্রমতে শিডিউল সংগ্রহ করা ৬ ঠিকাদারের মধ্যে বায়োজিদ এন্টার প্রাইজ, মমতাজ স্টোর, তারিক হোসেন, মোর্শেদ আলম, উর্মি চাকমার নাম বলেন, উপজেলা পরিষদের সাঁট মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর কাজী নাজমা আক্তার। তবে এ নিয়ে সংবাদকর্মীদের কোনো তথ্য প্রদান ও কথা বলতে রাজি হননি নাজমা। তিনি জানান, আমি ইউএনও স্যারের অনুমতি ছাড়া কোন কিছু দিতে পারব না।

উর্মি চাকমার ঠিকাদারি লাইসেন্স নিয়ে বর্তমানে টোল আদায় কেন্দ্রটি পরিচালনা করছেন উর্মির স্বামী সব্যসাচী চাকমা, মো. খালেদ মাসুদ ও মো. শওকত আলম।

মো. খালেদ মাসুদ ও মো. শওকত আলম বলেন, আমরা এ টোল আদায় কেন্দ্রে কাজ করছি গত ২ বছর ধরে। নতুন অর্থ বছরে কবে দরপত্র আহ্বান করা হবে এ নিয়ে আমি উপজেলা পরিষদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রাখছিলাম। কিন্তু এ বিষয়ে অফিসে খোঁজ নেওয়ার পরও আমাকে কোনো তথ্য দেয়া হয়নি। আমাদের লাইসেন্সের নামে শিডিউল সংগ্রহ করা হয়েছে আমরা কেউ জানি না। কখন বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হয় সেটাও আমরা জানি না। এ দুর্নীতি বন্ধ করতে হলে অনলাইনে টেন্ডার কাজ করতে হবে। এভাবে ম্যানুয়েল টেন্ডার আহ্বানের কাজ অব্যাহত থাকলে অনিয়ম বন্ধ হবে না। আমরা এ দরপত্র বাতিল করে অনলাইনের মাধ্যমে পুনঃ দরপত্রের জন্য জেলা প্রশাসকের কাছে দাবি করেছি।

সব্যসচী চাকমা বলেন, আমার স্ত্রী উর্মি নামে লাইসেন্স নিয়ে আমি কাজ করছি। কিন্তু আমার লাইসেন্স নিয়ে কে শিডিউল ক্রয় করল আমি জানি না। গত পর পর দুই বছর আমার লাইসেন্স কাজ পেয়েছি। সম্ভবত উপজেলা পরিষদের কর্মকর্তারা গোপনে আমার নামে শিডিউল বিক্রি করে দিয়েছে। গত বছর ১১ টি শিডিউল বিক্রি হয়। এবার অত্যন্ত গোপনীয়তার সাথে এ কাজ করায় অনেক ঠিকাদার শিডিউল ক্রয় করতে পারেনি। এর কারণে সরকার রাজস্ব হারিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মোস্তফা জাবেদ কায়সার মোবাইল রিসিভ করেন নি। ইউএনও’র পি-এ টু সুজন দে বলেন, স্যার আজকে বদলি হয়ে কর্মস্থল ত্যাগ করবেন, তাই খুব ব্যস্ত আছেন।

রাঙামাটি সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শহীদুজ্জামান রোমান বলেন, আমি টেন্ডার কমিটির কোনো সদস্য নই। এ বিষয়ে আমি কোন কিছু জানি না।

Explore More Districts