মানিকগঞ্জে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে হামলা

মানিকগঞ্জে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে হামলা

মানিকগঞ্জে নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে হামলা

মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার মহাদেবপুর ঋষিপাড়া গ্রামের নামযজ্ঞ অনুষ্ঠানে কতিপয় বখাটে মদ্যপ অবস্থায় দু’দফা হামলা চালিয়ে গেট ভাঙচুর, যজ্ঞের ত্রিশূল ভাঙচুর ও মন্দিরের প্রতিমা উপুড় করে ফেলে দিয়েছে বলে উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির এক নেতা অভিযোগ করেছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, বুধবার (২৭ ডিসেম্বর) রাতে মহাদেবপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীনের নেতৃত্বে ভবানীপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মো. রিপন কতিপয় বখাটে যুবকের সমন্বয়ে মদ্যপ অবস্থায় এ ঘটনা ঘটিয়েছে। শাহীন একজন নিয়মিত ড্রিংকার। তার ছত্রছায়ায় রয়েছে বেশ কিছু নেশাখোর ছেলেপেলে। ভেকু, ড্রেজার থেকে শুরু করে শাহীন তার প্রয়োজনে এসব ছেলেদের ব্যবহার করে। গতবছরও শাহীনের ভাই শামীম ঋষিপাড়ায় গিয়ে মারামারি করে বেশ কয়েকজন লোককে আহত করেছিল। পরে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে সুরাহা করা হয়।

অনুষ্ঠানের সাধারণ সম্পাদক সুশীল কুমার দাস জানান, রিপনসহ বেশ কয়েকজন ছেলে রাত ৯টার দিকে গেটের কাপড় ছিড়ে ফেলে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এ ঘটনায় লোকজন উপস্থিত হলে তারা এখান থেকে চলে যায়। কিন্তু রাত সাড়ে ১১টার দিকে তারা পুনরায় অতর্কিত হামলা চালিয়ে মন্দিরের শিব প্রতিমা উপুড় করে ফেলে দেয়, যজ্ঞ অনুষ্ঠানের জিনিসপত্র ছড়িয়ে ছিটিয়ে ফেলে এবং সাজানো কুঞ্জ নষ্ট করে ফেলে। তারা এখানে বেশ কিছুক্ষণ তাণ্ডব চালিয়ে পরে চলে যায়। সংবাদের ভিত্তিতে শিবালয়, ঘিওর ও দৌলতপুরের তিন ওসি এখানে এসেছিলেন। শিবালয় থানা ওসির নির্দেশে প্রতিমা উঠিয়ে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। গতবছরও এই ছেলেরাই মন্দিরে হামলা করেছিল। বিনা দোষে এভাবে জুলুম অত্যাচার হলে তারা এদেশে কিভাবে থাকবেন বলে আক্ষেপ তাদের। এ মর্মে থানায় মামলা হয়েছে। কিন্তু মামলার কপি থানা থেকে তাদের কাছে দেয়া হয়নি বলে জানান সুশীল দাস।

সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন জানান, এ বিষয়ে তিনি তেমন কিছু জানেন না। রিপন যখন গেটের কাপড় ছিড়ে ফেলে তখন তিনি ভিতরে ঝালমুড়ির দোকানে ছিলেন। পরবর্তীতে এখানে কি হয়েছে এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলে দাবি তার।

অভিযুক্ত রিপনের মোবাইলে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অনির্বাণ পাল জানান, এ বিষয়ে শিবালয় থানা অফিসার ইনচার্জের সাথে কথা হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, যদিও এ বিষয়ে থানায় এখনও কোন অভিযোগ হয়নি তথাপি অভিযুক্তদের আটকে থানা পুলিশ তৎপর রয়েছে।

শিবালয় থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রউফ সরকারে কাছে মোবাইল ফোনে মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি উল্টো প্রশ্ন করে বলেন, কেন বাদী আপনাকে বলেনি? পরবর্তীতে জানান, মামলা হয়েছে।

ঘিওর থানা অফিসার ইনচার্জ সুকুমার বিশ্বাস দৈনিক ভোরের কাগজকে জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত ন্যক্কারজনক। এই ঘটনা যে বা যারাই ঘটাক কাউকে ছাড় দেয়া হবে না।

ওশিন

Explore More Districts