মনপুরায় বিষাক্ত টক দই খেয়ে শতাধিক লোক হাসপাতালে

মনপুরায় বিষাক্ত টক দই খেয়ে শতাধিক লোক হাসপাতালে

৯ ডিসেম্বর ২০২৩ শনিবার ১১:২৯:৩২ অপরাহ্ন

Print this E-mail this


মনপুরায় বিষাক্ত টক দই খেয়ে শতাধিক লোক হাসপাতালে

ভোলার মনপুরার মহিষের কাঁচা দুধের সুস্বাদু টক দইয়ের খ্যাতি দেশজুড়ে। সেই টক দই খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন শতাধিক লোক। এর মধ্যে ২৭ জনের অবস্থা বেগতিক হওয়ায় হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা সেবা দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। অনেকে হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে বাড়িতে চলে গেছেন বলে জানিয়েছেন মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দায়িত্বরত মেডিক্যাল অফিসার ডা: খালিদ হাসান তামিম।

ডা: তামিম জানান, টক দইয়ের মধ্যে বিষাক্ত জীবাণু ছিল। সেই বিষাক্ত জীবাণু মিশ্রিত দই খেয়ে সবার ডায়রিয়া ও জ্বর হয়। যাদের অবস্থা খারাপ ছিল সবাইকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। তবে ভয়ের কিছু নেই, অসুস্থ সবাইকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।শুক্রবার রাত থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত বিষক্রিয়া দই খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭ জন।ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দায়িত্বরত আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: তানিম আহমেদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম ও ওসি জহিরুল ইসলাম।

টক দই খেয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসাধীন রোগীরা হলেন- মহিদুল ইসলাম, খাদিজা, ছামিউল, মাইসা, ছাওদা, ফারহানা, ইয়ামিন, আমেনা, ছালেকা খাতুন, জুমুর, ছুমাইয়া, রকি, আলাউদ্দিন, আফিফা, রিয়াজ, অফি, রিক্তা, হান্নান, নুশরাত, ময়ফুল, জহির, মুজাহিদুল ইসলাম, রাশেদ, তানিয়া, তাহমিনা, মিষ্টি ও মনির। এ ছাড়া বাড়িতে চিকিৎসা নিচ্ছেন যুবলীগ সভাপতি ও হাজিরহাট ইউপি চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন হাওলাদার, উপজেলা যুবলীগ সম্পাদক মনিরুজ্জামান মনির, সাংবাদিক নজরুল ইসলাম মামুন, ব্যবসায়ী ও যুবলীগ নেতা আবদুল মতিন মাতব্বর, সাখাওয়াত, হোসেন, আলাউদ্দিন, খোকন, শামীম, খোরশেদ, রাসেল, সুমন, সাহাবুদ্দিনসহ অনেকে। এদের সবার বাড়ি উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে।

হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীদের সাথে আলাপ করে জানা যায়, শুক্রবার রাতে টক দই খাওয়ার পরই পেটে ভীষণ ব্যথা শুরু হয়। পরে ডায়রিয়া শুরুর পাশাপাশি প্রচণ্ড জ¦র অনুভূত হয়। তখন হাসপাতালে এলে চিকিৎসকরা ভর্তি করে চিকিৎসা দেন।

এ ব্যাপারে মনপুরা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা: খালিদ হাসান তামিম জানান, টক দইয়ের মধ্যে বিষাক্ত জীবাণু ছিল, সেই বিষাক্ত জীবাণু মিশ্রিত দই খেয়ে সবার ডায়রিয়া ও জ্বর হয়।

এ ব্যাপারে মনপুরা থানার ওসি জহিরুল ইসলাম জানান, ঘটনা শুনে রাতে হাসপাতালে রোগী দেখতে যাই। অসুস্থ সবাই টক দই খেয়ে এই অবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছে। টক দই কারিগরদের ডেকে বিষয়টি জেনে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

এ ব্যাপারে মনপুরা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জহিরুল ইসলাম বলেন, শনিবার সকালে টক দই খেয়ে অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে দেখতে যাই। চিকৎসকদের পরামর্শ নিয়ে বিষয়টি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

সম্পাদনা: আমাদের বরিশাল ডেস্ক



শেয়ার করতে ক্লিক করুন:

Explore More Districts