মৌলভীবাজার-১ (বড়লেখা -জুড়ি) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন চার বারের সংসদ সদস্য পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী এমপি শাহাব উদ্দিন আজ রোববার বিকেলে বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের অনুষ্ঠানিকভাবে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করেন।
এদিকে শাহাব উদ্দিনের মনোনয়ন প্রপ্তির খবরে বড়লেখা জুড়িতে আওয়ামী লীগের নেতা কর্মীরা আনন্দ মিছিল করেছেন। তারা তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দলের প্রতি তার ত্যাগ-তিতিক্ষা, এলাকার স্বার্বিক উন্নয়ন এবং সমাজে ভালো মানুষ হিসেবে পরিচিতি ও গ্রহণযোগ্যতা থাকায় দলের পক্ষ থেকে এবারও এই আসনে তাকে পঞ্চমবারের মতো মনোনয়ন দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। মো. শাহাব উদ্দিন প্রথমে ১৯৯৬ সালে এ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। পরে ২০০৮, ২০১৪ ও ২০১৮ পরপর তিনবার আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীক নিয়ে এ আসন থেকে তিনি নির্বাচিত হন।
সবমিলে তিনি চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। ১৯৯৬ সালে প্রথম বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পেয়ে বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থী সাবেক প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট এবাদুর রহমান চৌধুরীকে পরাজিত করে এমপি নির্বাচিত হন মো. শাহাব উদ্দিন। ২০০৮ সালে আবারো সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। সে ধারাবাহিকতায় ২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। দলের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তখন তাকে জাতীয় সংসদের হুইপ নির্বাচিত করেন। তখন সফলতার সাথে তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৮ সালে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিত হয়ে তিনি পরপর তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন।
এই মেয়াদে তাকে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মতো বড় দায়িত্ব দেন প্রধানমন্ত্রী। সম্প্রতি জুড়ী উপজেলার লাঠিটিলা সংরক্ষিত উদ্যানকে ঘিরে একটি বড় প্রকল্প (বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক) একনেকের শেষ সভায় পাস হয়েছে। যা এই এলাকার পর্যটনকেন্দ্রিক সম্ভাবনাকে আরো উন্নিত করবে বলে জানিয়েছেন আসনের এমপি পরিবেশ, বন ও জলবায়ু বিষয়ক মন্ত্রী মো. শাহাবুদ্দিন। পাশাপাশি মো. শাহাবুদ্দিন এ জেলার নির্বাচিত মন্ত্রী হওয়া তার আমলে জেলাজুড়ে বিস্তৃতি ঘটেছে নানা উন্নয়নমূলক প্রকল্পের। রেললাইন পুনর্বাসন প্রকল্প, ফায়ার সার্ভিস স্টেশন নির্মাণ, জুড়ী ও বড়লেখা খানা কমপ্লেক্স নির্মাণ, উপজেলায স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নির্মাণ, অসংখ্য ব্রিজ-কাালভার্ট-সেতু, সড়ক, প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ, নদী-খাল খননসহ জনহিতকর উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। যা মানুষ দীর্ঘদিন মনে রাখবে।
সংবাদটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন