স্মার্ট দেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক লাগবে: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী – Ajker Comilla

স্মার্ট দেশ গড়তে স্মার্ট নাগরিক লাগবে: ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী – Ajker Comilla






















আজকের কুমিল্লা ডট কম :

অক্টোবর ২১, ২০২৩


news-image

জাকির হোসেন হাজারী, দাউদকান্দি প্রতিনিধি:

ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তফা জব্বার বলেছেন, স্মার্ট বাংলাদেশ চাই স্মার্ট নাগরিক লাগবে, স্মার্ট সমাজ চাই তাহলেই স্মার্ট নাগরিক লাগবে। যদি আমি স্মার্ট সরকার পরিচালনা করতে চাই তাহলেও আমার স্মার্ট নাগরিক লাগবে। আমার অর্থনীতিকে যদি স্মার্ট করতে চাই, প্রচলিত যে কর্মকান্ড আছে তার বাইরে আমাদের স্মার্ট কর্মকাণ্ড করতে হবে। সামগ্রিকভাবে আমাদের এই কর্মকান্ড ২০০৯ থেকে আজকে পর্যন্ত বর্তমান সরকারের প্রায় সকল নাগরিক সেবাকে ডিজিটালে রূপান্তরিত করা হয়েছে। জমির নামজারি থেকে শুরু করে ই-পাসপোর্টসহ এমন কোন সেবা নেই, যে সেবাকে ডিজিটাল করা হয়নি।

শনিবার (২১অক্টোবর) দুপুরে কুমিল্লার দাউদকান্দি পৌরসদরে আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

মোস্তফা জব্বার বলেন, স্মার্ট মানুষ তৈরি করার জন্য প্রত্যেকটি শিক্ষার্থীর হাতে ডিজিটাল ডিভাইস না দিয়ে আমরা কোনোভাবেই স্মার্ট বাংলাদেশ তৈরির লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো না। আমাদের শিক্ষার্থীদের যদি সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়, তাহলে বিশ্বের যেকোনও মানদণ্ডকে তারা অতিক্রম করতে পারবে।

তিনি আরো বলেন, ২০০৮ সালে এক এমবিপিএস ইন্টারনেটের মূল্য ছিলো ২৭হাজার টাকা, আজ ১৭বছরে এসে সেই একই পরিমানের ইন্টারনেটের দাম ৬০টাকা। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা ২০০৮ এ যেখানে সাড়ে ৭ লক্ষ ছিল, সেখানে আজ ১৩ কোটি লোক ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। এর মধ্যে মোবাইল ব্যবহারেও অগ্রগতি হয়েছে। আমাদের ১৭ কোটি মানুষের দেশে ১৮ কোটি মোবাইল সংযোগ আছে। পুরোদেশ এখন ফোর-জি নেটওয়ার্কের আওতায় আছে। আর এগুলো সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দূরদর্শিতায়।

বঙ্গবন্ধুর প্রসঙ্গ টেনে মন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশকে টেলিফোন ও ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত করার জন্য বেতবুনিয়াতে উপগ্রহ ভূ-কেন্দ্র স্থাপন করেছিলেন। তারই কন্যা শেখ হাসিনা ৯৭ সালে এদেশে টু-জি মোবাইল ফোন, ২০১৩ সালে থ্রী-জি, ২০১৮ সালে ফোর-জি এবং ২০২১ সালে ফাইভ-জি মোবাইল ফোন চালু করেন।

আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের প্রতিষ্টাতা মোস্তফা জব্বার বলেন, আমার কাজই হলো কানেক্টিভিটি, এই কানেক্টিভিটি যদি না দেওয়া হয়, যতসব স্তম্ভের কথা বলেছি তার কোনটিই বাস্তবায়িত হবেনা।

আনন্দ মাল্টিমিডিয়া স্কুলের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলাউদ্দিন এর সভাপতিত্বে বিশেস অতিথির বক্তব্য রাখেন দেশ সেরা উপজেলা চেয়ারম্যান মেজর অবঃ মোহাম্মদ আলী সুমন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সালমা ফেরদৌস, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আশপাকুজ্জামান, দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মহিনুল হাসান, পৌর মেয়র নাইম ইউসুফ সেইন। এছাড়া সম্মানিত অতিথি ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার ( দাউদকান্দি সার্কেল) এনায়েত কবির সোয়েব, দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ মোজাম্মেল হক, জেলা শ্রমিক লীগ সভাপতি ও প্যানেল মেয়র রকিব উদ্দিন রকিব প্রমূখ।
































আর পড়তে পারেন













Explore More Districts