সৌদি আরব যেতে ইচ্ছুক প্রবাসী কর্মীদের আঙুলের ছাপ (ফিঙ্গার প্রিন্ট) বাধ্যতামূলক করেছে দেশটির ঢাকার দূতাবাস। এজন্য ঢাকায় স্থাপিত ভিসা সার্ভিস সেন্টার দৈনিক পাঁচ হাজার ভিসার অনুমোদন দিলেও আঙুলের ছাপ দিতে পারছেন প্রতিদিন আড়াই হাজার কর্মী। এতে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে সারাদেশ থেকে আসা হাজারও মানুষকে।
সংকট কাটাতে সোমবার (১৬ অক্টোবর) ভিসা প্রসেসিং সেন্টার পরিদর্শন করেছেন সৌদি রাষ্ট্রদূত, পররাষ্ট্র ও প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তাসহ খাত সংশ্লিষ্টরা।
এ সময় ফিঙ্গার প্রিন্ট নেয়াকে আন্তর্জাতিক পদ্ধতি আখ্যা দিয়ে প্রয়োজনে ভিসা সেন্টার বাড়ানোর আশ্বাস দেন ঢাকায় নিযুক্ত সৌদি রাষ্ট্রদূত ঈসা বিন ইউসুফ আল দুহাইলান।
তবে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা) নেতাদের দাবি, অসংখ্য কর্মীর আঙুলের ছাপ নিতে দুই-তিনটি ভিসা সেন্টার যথেষ্ট নয়। সংগঠনটির সভাপতি আবুল বাসার বলেন, ঢাকায় আরও ৫-৭টি ভিসা সেন্টার করা হলে প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আসা মানুষেরা দুর্ভোগ এড়িয়ে তাদের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন।
এদিকে, দুর্ভোগ এড়াতে গণমাধ্যমের সহযোগিতা চান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পশ্চিম এশিয়া উইংয়ের মহাপরিচালক।
উল্লেখ্য, সৌদি আরব অনেক আগে থেকেই বাংলাদেশের কর্মীদের জন্য আকর্ষণীয় শ্রমবাজার। এ বছরের প্রথম ছয় মাসে বাংলাদেশ থেকে সৌদি গেছে ২ লাখ ১৭ হাজারেরও বেশি কর্মী। এমনকি, গেলো তিন অর্থবছর সৌদি আরব থেকে এসেছে সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স।
/এমএন