বুধবার (৪ অক্টোবর) এ অভিযান পরিচালনা করেন গংগাচড়া উপজেলা প্রশাসন সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার সাহা।
এসময় ডিজেল ইউনিট এ প্রতি ১০ লিটারে ৬০ মিলি কম দেয়ায় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইনে ৫০,০০০ টাকা এবং পেট্রোল, ডিজেল ও অকটেন স্টোরেজ ট্যাংকের ক্যালিব্রেশন সনদ না থাকায় ৫০,০০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও ডিজেল ডিসপেনসিং ইউনিটটি সাময়িকভাবে বন্ধের নির্দেশনাসহ বাংলায় লেখা মূল্যতালিকা প্রদর্শনের নির্দেশনা দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
অভিযানে বিএসটিআই রংপুর বিভাগীয় পরিদর্শক (মেট্রলজি) আলমাস মিয়া, ফিল্ড অফিসার জামিনুর রহমান সহ ভোক্তা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার রাতে (৩ অক্টোবর) শাহ আলম পাম্পে তেল নিতে আসেন কয়েকজন ভোক্তা এসময় তাদের সঙ্গে পাম্প কর্তৃপক্ষের বাগ্বিতণ্ডা হয়। পরে তারা অভিযোগ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার সাহাকে।
এসময় ভুক্তভোগী লাবিব অভিযোগ করে বলেন, ‘১৩০.৩২ টাকায় আমি এক লিটার তেল কিনি। কিন্তু এক লিটারের বোতলে তেল অনেক কম পাই। কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা আমাদের ওপর চড়াও হন। আমরা প্রতারণার শিকার।’
আরেক ক্রেতা বলেন, ‘এখান থেকে প্রতিদিন তেল নেই। কিন্তু মাইলেজ পাচ্ছিলাম না। ভাবলাম আমার গাড়ির সমস্যা আছে। কিন্তু এখন দেখছি শর্ষের মধ্যে ভূত।’
পাম্প মালিক শাহ আলম বলেন, ‘আমি লিগ্যাল ওরা আন লিগাল। বিএসটিআই এলে সব বোঝা যাবে। আমার সাথে শত্রুতা করে এমনটা করা হচ্ছে। এবিষয়ে তেলপাম্প মালিক সমিতিকে জানিয়েছি, তারা যা করবেন সেটাই ম
ঘটনার রাতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নয়ন কুমার সাহা বলেন, ‘অভিযোগ পেয়ে এখানে এসেছিলাম। পাম্প কর্তৃপক্ষ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
অভিযানের পর (৪ অক্টোবর) বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ড অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) রংপুর বিভাগীয় অফিসের প্রধান ও উপপরিচালক (মেট্রোলজি) মফিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, জাতীয় ও জনস্বার্থে বিএসটিআইয়ের রংপুর বিভাগীয় কার্যালয়ের এ ধরনের অভিযান পরিচালনা অব্যাহত থাকবে।